ক্রিস্টোফার স্টুয়ার্ট মার্টিন (ইংরেজি: Chris Martin; জন্ম: ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭৪) ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০ থেকে ২০১৩ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড, ক্যান্টারবারি উইজার্ড এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ওয়ারউইকশায়ার ও এসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ‘টমি’ ডাকনামে পরিচিত ক্রিস মার্টিন।
ঘরোয়া ক্রিকেট
প্রাদেশিক ক্রিকেটে অকল্যান্ড এইস দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন ক্রিস মার্টিন। এরপূর্বে ক্যান্টারবারি উইজার্ডের সদস্যরূপে খেলেছেন। এছাড়াও, ২০০৮ সালে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেট দলে ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। ২০১০ সালে এসেক্সের পক্ষে একটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। ১৯৯৯ সালে স্কটল্যান্ডের হারিয়টস এফপি ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে এক মৌসুম খেলেন।
২০১১ সালে নিউজিল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেন। এ পর্যায়ে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট পুরস্কার অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী স্যার রিচার্ড হ্যাডলি পুরস্কার লাভ করেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপে আঘাতপ্রাপ্ত ড্যারিল টাফি’র স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তার দল সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পেরেছিল।
৯ জানুয়ারি, ২০১১ তারিখে সেডন পার্কে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলোয়াড়ী জীবনের ১০০ রান স্পর্শের মাইলফলকে পৌঁছেন।[১] একই টেস্টের তৃতীয় দিনে তানভীর আহমেদকে আউট করে নিজস্ব ৫০০তম প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পান।[২]
অর্জনসমূহ
চারজন নিউজিল্যান্ডীয় টেস্ট ক্রিকেটারের একজন হিসেবে দুই শতাধিক উইকেট লাভের সম্মাননা অর্জন করেছেন ক্রিস মার্টিন।[৩]
ক্রিস মার্টিন আদিকালের নিচেরসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন। তার বোলিংয়ের চেয়ে ব্যাটিংই ক্রিকেটবোদ্ধাদের অধিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল।[৪] অগৌরবজনক সম্মাননার সাথে নিজনামকে জড়িয়ে রেখেছেন তিনি। কমপক্ষে ৩০ টেস্টে অংশগ্রহণকারী স্বল্প কয়েকজন ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে প্রাপ্ত উইকেটের তুলনায় রান সংখ্যা কম ছিল তার। তার সাথে ভারতীয় ক্রিকেট তারকা ভাগবত চন্দ্রশেখর জড়িয়ে আছেন।[৫] এছাড়াও, টেস্ট ক্রিকেট ও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন শেষে সর্বনিম্ন গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকান আল্ফ হল ও হলকম্ব হুপার রিড রয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটে সংগৃহীত ৩২৩ উইকেটের বিপরীতে তার রান সংখ্যা মোটে ১২৩।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাধিক সাতবার জোড়া শূন্য রানেরইনিংস খেলারও রেকর্ড রয়েছে তার।[৬] এছাড়াও, একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ক্রিকেটে দুইবার গোল্ডেন ডাকের সন্ধান পেয়েছেন। কোন বলের মুখোমুখি হওয়া ব্যতিরেকে ০ রানে রান আউটের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। ২০০৪ সালে ইংল্যান্ড ও ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ ঘটনা ঘটে।[৭]
ব্যক্তিগত জীবন
জুন, ২০১১ সালে ক্রিস মার্টিনকে জাল ঘেরা আবদ্ধ স্থানে মার্টিন ক্রোকে লক্ষ্য করে বোলিং করতে দেখা যায়। পরে জানা যায় যে, শৈশবকালে তিনি মার্টিন ক্রো’র অনুশীলনীতে বোলিং করতেন।[৮]
৩ জুলাই, ২০১৩ তারিখে সকল স্তরের ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার কথা ঘোষণা করেন।[৯] এ সময়ে তিনি নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট সংগ্রাহক ছিলেন।