ক্রিস মার্টিন

ক্রিস মার্টিন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ক্রিস্টোফার স্টুয়ার্ট মার্টিন
জন্ম (1974-12-10) ১০ ডিসেম্বর ১৯৭৪ (বয়স ৪৯)
ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড
ডাকনামদ্য ফ্যান্টম, দি ওয়াকিং উইকেট, টমি
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২১১)
১৭ নভেম্বর ২০০০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট২ জানুয়ারি ২০১৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১১৯)
২ জানুয়ারি ২০০১ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ ওডিআই২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ বনাম ইংল্যান্ড
টি২০আই অভিষেক
(ক্যাপ ২৪)
১২ সেপ্টেম্বর ২০০৭ বনাম কেনিয়া
শেষ টি২০আই৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৭/৯৮ – ২০০৯/১০ক্যান্টারবারি
২০০৫/০৬ – ২০১২/১৩অকল্যান্ড
২০০৮ওয়ারউইকশায়ার
২০১০এসেক্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৭১ ২০ ১৯২ ১৪২
রানের সংখ্যা ১২৩ ৪৭৯ ৮৬
ব্যাটিং গড় ২.৩৬ ১.৬০ ৩.৭১ ২.৮৬
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১২* ২৫ ১৩
বল করেছে ১৪,০২৬ ৯৪৮ ৩৬,৮৫৮ ৬,৯২০
উইকেট ২৩৩ ১৮ ৫৯৯ ১৯৩
বোলিং গড় ৩৩.৮১ ৪৪.৬৬ ৩১.৮৩ ২৯.১৬
ইনিংসে ৫ উইকেট ১০ ২৩
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/২৬ ৩/৬২ ৬/২৬ ৬/২৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৪/– ৭/– ৩৪/– ২৮/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১২ মার্চ ২০১৯

ক্রিস্টোফার স্টুয়ার্ট মার্টিন (ইংরেজি: Chris Martin; জন্ম: ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭৪) ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০ থেকে ২০১৩ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড, ক্যান্টারবারি উইজার্ড এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ওয়ারউইকশায়ার ও এসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ‘টমি’ ডাকনামে পরিচিত ক্রিস মার্টিন

ঘরোয়া ক্রিকেট

প্রাদেশিক ক্রিকেটে অকল্যান্ড এইস দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন ক্রিস মার্টিন। এরপূর্বে ক্যান্টারবারি উইজার্ডের সদস্যরূপে খেলেছেন। এছাড়াও, ২০০৮ সালে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেট দলে ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। ২০১০ সালে এসেক্সের পক্ষে একটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। ১৯৯৯ সালে স্কটল্যান্ডের হারিয়টস এফপি ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে এক মৌসুম খেলেন।

২০১১ সালে নিউজিল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেন। এ পর্যায়ে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট পুরস্কার অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী স্যার রিচার্ড হ্যাডলি পুরস্কার লাভ করেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপে আঘাতপ্রাপ্ত ড্যারিল টাফি’র স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তার দল সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পেরেছিল।

৯ জানুয়ারি, ২০১১ তারিখে সেডন পার্কে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলোয়াড়ী জীবনের ১০০ রান স্পর্শের মাইলফলকে পৌঁছেন।[] একই টেস্টের তৃতীয় দিনে তানভীর আহমেদকে আউট করে নিজস্ব ৫০০তম প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পান।[]

অর্জনসমূহ

চারজন নিউজিল্যান্ডীয় টেস্ট ক্রিকেটারের একজন হিসেবে দুই শতাধিক উইকেট লাভের সম্মাননা অর্জন করেছেন ক্রিস মার্টিন।[]

ক্রিস মার্টিন আদিকালের নিচেরসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন। তার বোলিংয়ের চেয়ে ব্যাটিংই ক্রিকেটবোদ্ধাদের অধিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল।[] অগৌরবজনক সম্মাননার সাথে নিজনামকে জড়িয়ে রেখেছেন তিনি। কমপক্ষে ৩০ টেস্টে অংশগ্রহণকারী স্বল্প কয়েকজন ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে প্রাপ্ত উইকেটের তুলনায় রান সংখ্যা কম ছিল তার। তার সাথে ভারতীয় ক্রিকেট তারকা ভাগবত চন্দ্রশেখর জড়িয়ে আছেন।[] এছাড়াও, টেস্ট ক্রিকেট ও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন শেষে সর্বনিম্ন গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকান আল্ফ হলহলকম্ব হুপার রিড রয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটে সংগৃহীত ৩২৩ উইকেটের বিপরীতে তার রান সংখ্যা মোটে ১২৩।

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাধিক সাতবার জোড়া শূন্য রানের ইনিংস খেলারও রেকর্ড রয়েছে তার।[] এছাড়াও, একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ক্রিকেটে দুইবার গোল্ডেন ডাকের সন্ধান পেয়েছেন। কোন বলের মুখোমুখি হওয়া ব্যতিরেকে ০ রানে রান আউটের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। ২০০৪ সালে ইংল্যান্ড ও ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ ঘটনা ঘটে।[]

ব্যক্তিগত জীবন

জুন, ২০১১ সালে ক্রিস মার্টিনকে জাল ঘেরা আবদ্ধ স্থানে মার্টিন ক্রোকে লক্ষ্য করে বোলিং করতে দেখা যায়। পরে জানা যায় যে, শৈশবকালে তিনি মার্টিন ক্রো’র অনুশীলনীতে বোলিং করতেন।[]

৩ জুলাই, ২০১৩ তারিখে সকল স্তরের ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার কথা ঘোষণা করেন।[] এ সময়ে তিনি নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট সংগ্রাহক ছিলেন।

তথ্যসূত্র

  1. "1st Test Match Scorecard between Pakistan and New Zealand"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-০৯ 
  2. "Resurgent Pakistan thrash poor New Zealand in Hamilton"BBC Sport। ৯ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১১ 
  3. "100 or More Wickets for New Zealand in Test Cricket"। CricketArchive। ২০১১-০৬-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২৪ 
  4. "Player Profile: Chris Martin"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২৪ 
  5. "Hughes' familiar problem, and Steyn's wickets"Cricinfo (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২৯ 
  6. "Records / Test matches / Batting records / Most pairs in career"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২৪ 
  7. http://www.howstat.com/cricket/Statistics/Batting/BattingDucksDiamond.asp
  8. "Unexpected reunion for Crowe"Television New Zealand। ২০ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  9. "Martin calls time on fascinating career"। Wisden India। ৩ জুলাই ২০১৩। ৬ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৩ 

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!