কাকদ্বীপ

কাকদ্বীপ
শহর
কাকদ্বীপ থানা
কাকদ্বীপ পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রে দেখুন কাকদ্বীপ ভারতের মানচিত্রে দেখুন পশ্চিমবঙ্গে ও ভারতে কাকদ্বীপের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২১.৮৭৯১৪৪৬° উত্তর ৮৮.১৯১২৯৯২° পূর্ব / 21.8791446; 88.1912992
দেশ	ভারত
রাজ্য	পশ্চিমবঙ্গ
জেলা	দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
আয়তন
• মোট	৫.৩৬ বর্গকিমি (২.০৭ বর্গমাইল)
উচ্চতা	৪ মিটার (১৩ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)
• মোট	১৯,৩৬৮
• জনঘনত্ব	৩,৬০০/বর্গকিমি (৯,৪০০/বর্গমাইল)
ভাষা
• দাপ্তরীক ভাষা	বাংলা, ইংরাজি
সময় অঞ্চল	IST (ইউটিসি+5:30)
যানবাহন নিবন্ধন	WB
লোকসভা কেন্দ্র	মথুরাপুর(এসসি)
বিধানসভা কেন্দ্র	কাকদ্বীপ
ওয়েবসাইট	s24pgs.gov.in

কাকদ্বীপ হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার একটি শহর। এটি কাকদ্বীপ মহকুমার সদর দপ্তর। এই শহরটি মুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এই শহরে একটি মৎস বন্দর রয়েছে। এই শহরের মোট জনসংখ্যা ১৯,৩৬৮ জন।^[১]

ইতিহাস

কথিত আছে ভগীরথ গঙ্গাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসার সময় এই স্থানে রাত্রিযাপন করেন৷ পরেরদিন ভোরবেলায় কাকের ডাক শুনে ঘুম ভাঙ্গে ভগীরথের৷ ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান তাঁরা সাগরের খুবই কাছে এসে পরেছেন। তাই এই স্থানের নামকরন হয় কাকদ্বীপ ৷ এরপর গঙ্গাকে সাগরে মিলিত করেন এবং সেই স্থানের নাম হয় গঙ্গাসাগর ৷ আর ভগীরথের নামানুসারে এই নদীর নামকরন হয় ভাগীরথী ৷

ভূপ্রকৃতি

কাকদ্বীপ শহরটি সমুদ্র সমতল থেকে ৪ মিটার (১৩ ফু) উচুতে অবস্থিত। ২১°৫২'৪৫" ডিগ্রি উত্তর ও ৮৮°১১'২৯" ডিগ্রি পূর্বে কাকদ্বীপ শহটি অবস্থান করছে। এই শহরটি মুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত।

জনসংখ্যা

২০১১ সালের আদমশুমারী রিপোর্ট অনুযায়ী কাকদ্বীপের জনসংখ্যা ১৯,৩৬৮। এর মধ্যে ৯,৮৯৬ জন পুরুষ ও ৯,৪৭২ জন মহিলা। মোট জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ পুরুষ ও ৪৯ শতাংশ মহিলা। এই শহরে ১৮৭২ জন ৬ বছরের কম বয়সের শিশু রয়েছে।^[২]

আঞ্চলিক ভাষা ও জনগোষ্ঠী

কাকদ্বীপের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী মেদিনীপুর জাত। এঁরা অধিকাংশই মেদিনীপুরী বাংলা ভাষার অন্তর্গত কাঁথি বাংলায় কথোপকথন করেন। কাকদ্বীপে কলকাতার ভাষারও চল রয়েছে।

যোগাযোগ

সড়ক

কাকদ্বীপ শহরটি জাতীয় সড়ক ১১৭ দ্বারা কলকাতা, ডায়মন্ড হারবার, নামখানা ও ফ্রেজারগঞ্জ এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এই শহর থেকে কলকাতা, বর্ধমান, দীঘা , নামখানা, হাওড়া, সোনারপুর রুটে বাস চলাচল করে।^[৩]

রেলপথ

কাকদ্বীপ রেলওয়ে স্টেশন হল এই শহরের প্রধান রেল স্টেশন। এই রেল স্টেশনটি শিয়ালদহ-নামখানা লাইন-এ অবস্থিত। শিয়ালদহ থেকে বালিগঞ্জ জংশন , সোনারপুর জংশন এবং বারুইপুর জংশন হয়ে প্রথমে লক্ষীকান্তপুর অব্দি ৬২ কিমি দীর্ঘ দ্বিত্ব বৈদ্যুতিক লাইনে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ও বাকি ৩৫ কিমি একক বৈদ্যুতিক লাইনে ১ ঘণ্টার পথ।

জলপথ

কাকদ্বীপে জলপথ একটি গুরুত্ব পূর্ণ পরিবহন মাধ্যম।জলপথে এখানে যাত্রী ও পণ্য উভয়ই পরিবহন করা হয়। এই শহরের এলটিসি ঘাট থেকে সাগরদ্বীপ এ পন্য, যাত্রী বাহী বার্জ ও নৌকো চলাচল করে।

অর্থনীতি

এই শহরের অর্থনীতি প্রধানত নদীর উপর অবস্থিত।এই শহর বৃহত্তর মাছের বাজার রয়েছে। মৎস আহরণ এই শহরের অর্থনীতিকে অগ্রগামী করেছে। নিকটবর্তী গঙ্গাসাগর একটি হিন্দু তীর্থক্ষেত্র ও সমুদ্র পর্যটন কেন্দ্র হওয়ায় কাকদ্বীপ বাংলার পর্যটনশিল্পে একটি নতুন স্থান অধিকার করেছে।

মৎস বন্দর

কাকদ্বীপে অবস্থিত কাকদ্বীপ মৎস্য বন্দর হল ভারতের একটি গুরুত্ব পূর্ণ মৎস বন্দর। এই বন্দর থেকে ট্রলার গুলি হুগলি নদীর মোহনায় ও গভীর সমুদ্র মৎস আরোহণ করতে যায়। প্রতিদিন এই বন্দরে প্রায় ২০০ টি ট্রলার চলাচল করে। তাছাড়া এখানে একটি বরফ কল রয়েছে।

তথ্যসূত্র

1. "INDIAN VILLAGE DIRECTORY"। সংগ্রহের তারিখ ৩১-০১-২০১৭।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
2. "C.D. Block Wise Primary Census Abstract Data(PCA)"। ২০১১ census: West Bengal – District-wise CD Blocks। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৬। 
3. "কাকদ্বীপ থেকে কলকাতা ও নবান্ন, হাওড়ায় নতুন বাস পরিষেবা"। সংগ্রহের তারিখ ৩১-০১-২০১৭।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)^{[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]}