ওগো বধূ সুন্দরী হল ১৯৮১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাকমেডি চলচ্চিত্র। এই ছবিটি পরিচালনা করেন সলিল দত্ত। এই ছবিটিই বিশিষ্ট বাঙালি অভিনেতা উত্তম কুমারের সর্বশেষ ছবি। ছবিটিতে অভিনয় অসমাপ্ত রেখেই তার মৃত্যু ঘটেছিল। ছবির শেষাংশে “ও ড্যাডি, ও মাম্মি” গানের দৃশ্যায়নের সময় প্রবীর কুমার উত্তম কুমারের 'বডি ডবল' হিসেবে কাজ করেন। ডাবিং-এর সময় উত্তম কুমারের ছোটোভাই তরুণ কুমারের কণ্ঠস্বর ব্যবহৃত হয়।
বাংলা ভাষার অধ্যাপক ও গবেষক গগন সেন (উত্তম কুমার) উচ্চবিত্ত সমাজের সঙ্গে মেলামেশা করা পছন্দ করেন না। কিন্তু তার স্ত্রী চিত্রা (সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়) পার্টিতে যোগ দিতে পছন্দ করেন। কলকাতা বইমেলায় সাবিত্রী (মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়) বাঁদরের খেলা দেখাতো। গগন ও তার বন্ধু অবলাকান্তের (সন্তোষ দত্ত) সঙ্গে সাবিত্রীর দেখা হয়। গগন সাবিত্রীকে লেখাপড়া শেখানোর দায়িত্ব নিতে চান। কিন্তু সাবিত্রী প্রথমে রাজি হয় না। কিন্তু এক রাতে পিতৃমাতৃহীনা সাবিত্রীকে তার অভিভাবক কাকা মদের টাকার জন্য একটি লোকের কাছে বিক্রি করে দিলে, সাবিত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। ঘটনাচক্রে অবলকান্তের কাছ থেকে সে গগন সেনের ঠিকানা জোগাড় করে। সাবিত্রী তার বাড়িতে আশ্রয় নিলে চিত্রা চলে যান তার ব্যারিস্টার দাদু (বিকাশ রায়) ও ভাই সন্দীপের (রঞ্জিত মল্লিক) বাড়িতে। এদিকে গগন চ্যালেঞ্জ নেন এটা প্রমাণ করতে যে উপযুক্ত শিক্ষা, পরিবেশ পরিস্থিতি পেলে সাবিত্রীর মত অশিক্ষিত মেয়েও বদলে যেতে পারে। সাবিত্রীকে লেখাপড়া শিখিয়ে ভদ্রসমাজের উপযুক্ত করে তোলেন তিনি একাজে প্রথমে অরাজি হলেও তাকে সাহায্য করেন অবলাকান্ত। গগন সেনকে অপদস্থ করার জন্য চিত্রা সেন একটি ফ্যাশন প্যারেড আয়োজন করেন। কিন্তু সাবিত্রীকে চিনতে না পেরে, তাকেই ক্রাউন পরিয়ে দেন চিত্রা। এদিকে চিত্রার দাদু আর গগন সেন গোপনে সন্দীপের সঙ্গে সাবিত্রীর বিবাহ স্থির করেন। বিবাহের দিন চিত্রা খবর পান গগন সেন বিবাহ করতে চলেছেন। কিন্তু ছুটে এসে তিনি দেখেন, সন্দীপই সাবিত্রীকে বিবাহ করেছে।