আনাতোলিয়া পশ্চিম এশিয়ার একটি উপদ্বীপ । আনাতোলিয়া শব্দটি বাংলাভাষাও ব্যবহৃত হয়। তবে তুর্কিরা একে আনাদোল বা আনাদোলো ( তুর্কি : Anadolu ) বলে। [৫]তুরস্কের বেশিরভাগ অংশ এই উপদ্বীপেই গঠিত। আনাতোলিয়াকে ইংরেজিতে এশিয়া মাইনর (Asia minor) নামেও ডাকা হয়।
আনাতোলিয়া শব্দটি গ্রীক শব্দ Aνατολή বা Ανατολία (আনাতোলিয়া) থেকে এসেছে। যার অর্থ - সূর্যোদয় বা পূর্ব।
ভূগোল
সাধারণত আনাতোলিয়ার অঞ্চলটি আলেকজান্দ্রিয়া উপসাগর থেকে আটলান্টিক পর্যন্ত বিবেচনা করা হয়। [৬] আনাতোলিয়ার এই সংজ্ঞাটি আধুনিক মেরিয়াম ওয়েবস্টার অভিধানে এভাবেই রচিত। তদনুসারে, আনাতোলিয়া পূর্বে ফোরাত নদী এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিক আর্মেনিয়ান মালভূমি থেকে ঘুরে সিরিয়ার অর্ণেট উপত্যকা পর্যন্ত প্রসারিত। আর্মেনিয়ান গণহত্যার পর, আর্মেনিয়া নামটি আধুনিক তুর্কি সরকার পূর্ব আনাতোলিয়া নামে পরিবর্তন করা হয়েছে। [৭][৮] পূর্ব আনাতোলিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতগুলো হলো সুফান (৪০৫৮ মিটার) এবং আরারাত (৫১২৩ মিটার)। [৯] ফুরাতনদী, আরাস নদী। কারাসাও এবং মুুরাত নদী, আর্মেনিয়াকে ককেশাস অঞ্চলের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। [১০]
ইতিহাস
পূর্ব ইতিহাস
আনাতোলিয়ায় মানব জীবন শুরু হয়েছিল প্রাচীন প্রস্থর যুগে । [১১] আধুনিক যুগের আনাতোলিয়া ইউরোপীয় ভাষাগুলোর আদিবাস ছিল। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, আদিবাসী ইওরোপীয় ভাষাগুলি তৈরি হয় প্রশান্ত মহাসাগরের অঞ্চল থেকে। যাইহোক, এটা নিশ্চিত যে ইন্দো-ইউরোপীয় প্রথম ভাষা হলো আনাতোলিয়ান ভাষা। আনাতোলিয়ায় খ্রীষ্টের পূর্ব থেকে এই ভাষা ব্যবহৃত হচ্ছে এবং উভয় ভাষার মধ্যে কিছু সম্পর্ক হয়েছে। ইতিহাসের পাতায় সর্বত্র এই অঞ্চলটি বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। গ্রীক, রোমান, কুর্দি, বাইজান্টাইন, সেলজুক এবং তুর্কীদেরআবাসস্থল ছিল । বর্তমানে আনাতোলিয়ায় বৃহত্তম নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী হল তুর্কিরা। যদিও এটি তুর্কিদের প্রকৃত স্বদেশ নয়। তবে এটি সেলজুক ও অটোমান আমলে তুর্কিদের অঞ্চল হয়ে উঠেছে।
এশিয়া মহাদেশের পশ্চিম অঞ্চলটির নাম আনাতোলিয়া। একে এশিয়ান টার্কিও বলা হয়। আনাতোলিয়া অঞ্চলটি এশিয়া মাইনারের সর্বাধিক মালভূমি। উত্তর এবং দক্ষিণে রয়েছে ইয়োনটিক এবং তারসার কূপ। যা পূর্বে আর্মেনিয়ার পাহাড়ের সাথে মিলিত হয়। উত্তরে কৃষ্ণ সাগরের শক্ত পাথুরে তীর। দক্ষিণ উপকূলে রয়েছে বিশাল উপসাগর। তবে পশ্চিম উপকূলটি বেশ ছিন্নভিন্ন এবং এখানে বেশ কয়েকটি ছোট দ্বীপ রয়েছে। আনাতোলিয়ার অঞ্চলটি শুকনো। যেখানে নোনতা পানির হ্রদ রয়েছে। প্রায়শই ভূমিকম্প হয়। উপকূলীয় অঞ্চলগুলি এই অঞ্চলের জলবায়ুর কারণে হিমশীতল।
↑Stephen Mitchell, Anatolia: Land, Men, and Gods in Asia Minor. The Celts in Anatolia and the impact of Roman rule۔ Clarendon Press, Aug 24, 1995 – 266 pages. আইএসবিএন৯৭৮-০১৯৮১৫০২৯৯[১]
↑Sahakyan, Lusine (২০১০)। Turkification of the Toponyms in the Ottoman Empire and the Republic of Turkey (ইংরেজি ভাষায়)। Arod Books। আইএসবিএন978-0-9699879-7-0।
↑Kit Tan (২০০৫)। "A new subspecies of Silene acaulis (Caryophyllaceae) from East Anatolia, Turkey" (ইংরেজি ভাষায়): 143–149। জেস্টোর23726860।Authors list-এ |শেষাংশ1= অনুপস্থিত (সাহায্য)