অহিংসার মূর্তিভারতেরমহারাষ্ট্র রাজ্যের নাসিকের কাছে মাঙ্গি-টুঙ্গিতে অবস্থিত। এটি বিশ্বের উচ্চতম জৈন মূর্তি। মূর্তিটি প্রথম জৈন তীর্থঙ্করঋষভনাথের।[৩] এটার উচ্চতা ১০৮ ফুট।[৩][৪]জৈনদের পবিত্র পাহাড় মাঙ্গি-টুঙ্গির গায়ে খোদাই করে এই মূর্তিটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি বিশ্বের উচ্চতম জৈন মূর্তি হিসেবে গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে নাম নথিভুক্ত করেছে। ২০১৬ সালের ৬ মার্চ বিশ্ব রেকর্ডের শংসাপত্র জ্ঞানিনী জ্ঞানমতী মাতাজি, চন্দনামতী মাতাজি ও স্বামী রবীন্দ্রকীর্তির হাতে তুলে দেওয়া হয়।[৫]
জৈন সন্ন্যাসিনী আর্যিকাজ্ঞানমতী মাতাজি ও আর্যিকা চন্দনামতী মাতাজির তত্ত্বাবধানে এই মূর্তিটি নির্মিত হয়েছে। প্রকল্পটির সভাপতি ছিলেন স্বামী রবীন্দ্রকীর্তি। ২০০২ সালে প্রধান সচিব ড. পান্নালাল পাপড়িওয়ালের তত্ত্বাবধানে মূর্তি নির্মাণকার্য শুরু হয়েছিল। নির্মাণকার্য সমাপ্ত হয় ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি। অন্যান্য ভক্তেরা ছিলেন প্রধান বাস্তুকার সি. আর. পাটিল, আশিষ নাহাতা ও সচিব সঞ্জয় পাপড়িওয়াল।[৬]
ইতিহাস
১৯৯৬ সালে জ্ঞানমতী মাতাজি এই মূর্তিটি নির্মাণের অণুপ্রেরণা প্রদান করেন।[২] ২০০২ সালে ‘শিলাপূজন’ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।[২] পাহাড় খোদাই করতে গিয়ে দশ হাজারেরও বেশি ট্রাকবোঝাই পাথর খোদিত হয়।[২]
ঋষভনাথের মূর্তিটি একটি মাত্র পাথর খোদাই করে নির্মাণ করা হয়েছে। এটির উচ্চতা ১০৮ feet[রূপান্তর: অনির্ধারিত একক] (পাদপীঠ সহ ১২৭ feet[রূপান্তর: অনির্ধারিত একক])। ১৮৪০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে এই মূর্তিটি অবস্থান করছে। এটি বিশ্বের উচ্চতম জৈন মূর্তি।[১০] মূর্তিটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪,৩৪৩ feet[রূপান্তর: অনির্ধারিত একক] উচ্চতায়[২]বাগলান তালুকেরমাঙ্গি-টুঙ্গি পাহাড়ে অবস্থিত।[৩][১১] গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের আধিকারিকরা মাঙ্গি-টুঙ্গিতে এসেছিলেন এবং মূর্তিটির স্থপতি সি. আর. পাটিলের হাতে বিশ্বের উচ্চতম জৈন মূর্তির শংসাপত্রটি তুলে দিয়েছিলেন।[১২][১৩]
চত্বর
মহারাষ্ট্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী পঙ্কজা মুন্ডে প্রাথমিকভাবে ১০০ একর জমির উপর মন্দির নির্মাণের জন্য ₹ ১৮.৫ কোটি (ইউএস$ ২.২৬ মিলিয়ন) তহবিল মঞ্জুর করেন।[৪]
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এগুলি সম্ভবত মহারাষ্ট্র পর্যটন উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃক সম্পাদিত হবে। হারানবারি বাঁধ থেকে জল আনার কিছু সমস্যা ছিল। এই কাজের আনুমানিক ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ₹ ৩ কোটি (ইউএস$ ৩,৬৬,৬৯৯)।[১১]
পঞ্চ কল্যাণক মহোৎসব
২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখের মধ্যে মাঙ্গি-টুঙ্গিতে এই মূর্তিটির পঞ্চ কল্যাণক প্রতিষ্ঠা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় প্রশাসন তীর্থযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধির কথা অনুমান করে জায়গাটি পরিমাপ করে।[৩]
প্রায় ৫০০০ ইন্দ্র-ইন্দ্রাণী ও তাদের পরিবারের সদস্যেরা পঞ্চ কল্যাণক মহোৎসবের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। একশোরও বেশি জৈন মুনি ও আর্যিকা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।[১৬]