স্লো-মিডিয়াম বোলার হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। গুগলি, অফ-ব্রেক, টপ-স্পিন, ফ্লিপারসহ লেগ-ব্রেকের সংমিশ্রণে অজন্তা মেন্ডিস বোলিং করেন। শ্রীলঙ্কা আর্মি’র পক্ষ হয়ে ২০০৭-০৮ মৌসুমে ৬টি খেলায় ১০.৫৬ রান গড়ে ৪৬ উইকেট লাভ করেন, স্ট্রাইক রেট ছিল ৩১। অনন্য সাধারণ দক্ষতা প্রদর্শনের প্রেক্ষাপটে তিনি শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য হিসেবে এপ্রিল, ২০০৮ সালে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে যান।
ব্যক্তিগত জীবন
শ্রীলঙ্কার মরতোয়ার কাদালানা গ্রামে জন্মগ্রহণকারী অজন্তা'র পরিবারে পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তার অবস্থান তৃতীয়। তিনি ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী। সেন্ট এন্থনী'জ কলেজে মৌলিক শিক্ষালাভ করেন। ২০০০ সালে মরতোয়া মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৩ বছর বয়সে ক্রিকেট কোচিং ক্লাসে লাকী রজার্স নামীয় এক কোচের নজর কাড়েন। ২০০০ সালে অনূর্ধ্ব-১৫ ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।
শ্রীলঙ্কা আর্মি ক্রিকেট কমিটি তার প্রতিভা সম্পর্কে অবগত হন যখন তিনি সেনাবাহিনীর অনূর্ধ্ব ২৩ ডিভিশন ১১ দলের বিরুদ্ধে ২০০৩-০৪ মৌসুমে খেলতে নামেন। এরপর তিনি শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী'র নিয়মিত সৈনিক হিসেবে যোগদানের জন্যে আমন্ত্রিত হন। এর প্রধান কারণ ছিল ঐ সময়ে কলম্বোর বিদ্যালয়গুলো থেকে সীমিতসংখ্যক ক্রিকেটার সেনাবাহিনীতে যোগদান করতো। এছাড়াও আংশিকভাবে পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম পিতার মৃত্যুজনিত কারণও জড়িত ছিল।[১]
মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে তিনি সেনা দলের পক্ষ হয়ে খেলতে থাকেন। শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর গোলন্দাজ বিভাগে গানার হিসেবে সামরিক দায়িত্ব পালন করেন। ৭ জুলাই, ২০০৮ সালে এশিয়া কাপ চূড়ান্ত খেলার পর তিনি সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি পান।[২] এর পরদিনই তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে কমিশন্ড পান।[৩]