পূর্ব-নির্ধারিত সময়সূচী মোতাবেক ইভো ব্লাইয়ের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল ১৮৮২-৮৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও সিলন গমন করে। ১৮৮২ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দল ওভালে স্বাগতিক ইংরেজ দলকে পরাজিত করার প্রেক্ষিতে জনপ্রিয় আরআইপি বিজ্ঞপ্তিতে ঐ ছাইগুলো উদ্ধারে তদন্তকারীর ভূমিকায় দলনেতা ইভো ব্লাইকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
প্রকৃতপক্ষে ঐ সফরে তিনটি টেস্ট খেলার আয়োজন করা হয় ও প্রথমটিতে পরাজিত হবার পর ইংল্যান্ড বাদ-বাকী দুইটিতে জয় পায়। তবে, প্রকৃত ঘটনাগুলো কখনো পূর্ণাঙ্গভাবে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তৃতীয় টেস্টে জয়ের পর ইভো ব্লাইকে কোন একজন ‘ক্ষুদ্রাকৃতি ভস্মাধার’ বা ছাইদানি উপহার দেয়। ধারণা করা হয় যে, ঐ পাত্রটি বেইল পুড়িয়ে ছাঁইপূর্ণ করা হয়েছিল। তিনি ঐ পাত্রটি ইংল্যান্ডে নিয়ে যান। বর্তমানে লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের যাদুঘরে সর্বাপেক্ষা দর্শনীয় সামগ্রী হিসেবে তা সংরক্ষিত আছে। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া দল এরপর থেকেই ঐ পুরাকল্পীয় অ্যাশেজ লাভের জন্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হচ্ছে।
মূল সিরিজ শেষ হবার পর শেষ মুহুর্তে পারস্পরিক সম্মতিক্রমে সফরের চতুর্থ টেস্ট ‘বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে’ আয়োজন করা হয়েছিল। ঐ টেস্টে চারটি পৃথক উইকেট ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রত্যেক ইনিংসে একটি করে ব্যবহৃত হয়।[১]
ইংল্যান্ড টসে জয়লাভ করে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
২১ জানুয়ারি বিশ্রামবার ছিল
এটিই প্রথম টেস্ট খেলা হিসেবে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের ঘটনা ঘটে।
ডব্লিউ বেটস প্রথম ইংরেজ খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাট্রিক করেন। প্রথম ইনিংসে পিএস ম্যাকডোনেল, জি গিফেন ও জিজে বোনর তাঁর শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। এছাড়াও, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে খেলায় ৫০ রান ও ১০ উইকেট পান।
ইংল্যান্ড টসে জয়লাভ করে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
২৮ জানুয়ারি বিশ্রামবার ছিল।
এ খেলার মাধ্যমে অ্যাশেজ ভস্মের উৎপত্তি ঘটে; ইংল্যান্ড সিরিজ জয় করে। কয়েকজন অস্ট্রেলীয় ভদ্রমহিলা একটি বেইল পুড় ও ছাইগুলো একটি আধারে সংরক্ষণ করে। এটি অদ্যাবধি লর্ডসের মেমোরিয়াল গ্যালারিতে সংরক্ষিত আছে।
দীর্ঘ নৌ-ভ্রমণের এক পর্যায়ে কলম্বোয় দলটি যাত্রাবিরতি করে। অক্টোবর, ১৮৮২ সালে স্থানীয় দলগুলোর বিপক্ষে দুই খেলায় অংশ নেয়। এরফলে, সিলনে প্রথমবারের মতো কোন বিদেশী দল সিলন গমন করে। তবে সেগুলো প্রথম-শ্রেণীর খেলার মর্যাদাপ্রাপ্ত ছিল না।