হিজাব সম্পর্কে মুসলিম নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি

পরিধান রীতি - নীতি সম্পর্কে ইসলামিক নারীবাদী মতামত লেখাটিতে ইসলামী ধর্মে নারীদের পোশাক পরিধানের রীতি-নীতি সম্পর্কে নারীবাদী মতামতকে তুলে ধরা হয়েছে।

সাধারণ আলোচনা

ইসলামে নারী ও পুরুষ উভয়েরই পরিমিত পোশাককে বাধ্যতামূলক করেছে। মেয়েদের হিজাব নামে পরিচিত পোশাক পরতে হয়। যাতে করে পুরুষদের কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তবে বাহ্যিকভাবে আরোপিত এই পোশাক সম্পর্কে মুসলিম নারীবাদীদের মধ্যে মিশ্র মতামত রয়েছে


বুরকা বা হিজাবের পক্ষেও রয়েছে শক্তিশালী সমর্থন। নারী-পুরুষ উভয়েই এখন পর্দাকে ইসলামী স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে দেখছেন। যেহেতু ক্রমবর্ধমান সংখ্যক ব্যক্তি হিজাবকে তাদের সাংস্কৃতিক পোশাকে গ্রহণ করেছে এবং অন্তর্ভুক্ত করেছে, তাই মহিলারা পর্দাকে গ্রহণ করতে শুরু করেছে। এই ওড়না মুড়িতে হিজাব হিসেবে পরাকে অন্যরকম ভালো অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখছেন হিজাবি নারীরা। এ বিষয়ে নারীরা জানান: "হিজাব এখন আর চাপিয়ে দেয়া অপছন্দের কোন পোশাক নয় কিংবা নারীদের ব্রেইনওয়াশ করে পরানো কোন পোশাক নয়।" অর্থাৎ তারা স্বেচ্ছায় ইসলামী পোশাক পরায় আগ্রহী হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।

ক্রমবর্ধমান বিপুলসংখ্যক নারী হিজাবকে তাদের সাংস্কৃতিক পোশাকে অন্তর্ভুক্ত করতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে তারা মুসলিম প্রধান দেশগুলিতে থাকুক বা না থাকুক, হিজাবকে পোশাক হিসেবে স্বাচ্ছন্দে গ্রহণ করছে। এই ওড়না মুড়িতে হিজাব হিসেবে পরাকে অন্যরকম ভালো অভিজ্ঞতা হিসেবে কাজ করে হিজাবি নারীদের কাছে, পুরুষের মত পোশাকের চেয়ে। গত দশ বছরে, বিশ্বের যেসব দেশে হিজাব পরার বাধ্যবাধকতা নেই, সেখানওে হিজাব তুমুল জনপ্রিয় ও প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে। যেসব জায়গায় হিজাবের বাধ্যবাধকতা নেই কিন্তু তারপরও নারীরা স্বেচ্ছায় হিজাব পরছে, সেটাকে ধার্মিকতার বড় প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। যেখানে একসময় পর্দা নারীর নিপীড়নের প্রতিনিধিত্ব করত, এখন এটি ধর্ম, নারীত্ব এব গর্বিত নারী পরিচয়ের শক্তি হিসাবে প্রকাশিত হচ্ছে। বিভিন্ন নারীবাদী দার্শনিক যেমন লুস ইরিগারে মনে করেন যে পর্দা পুরুষের থেকে নারীর যৌন পার্থক্য সম্পর্কে ক্ষমতায়নের ভূমিকা নিতে পারে।

কুরআনে বলা হয়েছে যে নারী ও পুরুষ উভয়েরই পরিমিত পোশাক পরিধান করা উচিত (আল-কুরআন ৩৩:৫৯-৬০, ২৪:৩০-৩১; আলি-এর অনুবাদ, ১৯৮৮, ১১২৬-২৭)। এই আয়াতগুলোতে ওড়না, হিজাব, বোরকা, চাদর বা আবায়া শব্দ ব্যবহার করে নি। এখানে জিলবাব (অর্থ চাদর) এবং খুমুর (অর্থ শাল) শব্দদ্বয় ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলি মুখমণ্ডল, হাতের কব্জি বা পায়ের পাতাকে ঢাকে না। উপরন্তু, তৃতীয় থেকে নবম শতাব্দী পর্যন্ত নারীরা মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করত।

র‍্যাচেল উডলক উল্লেখ করেছেন যে, হিজাব পরা মুসলিম সংস্কৃতির দ্বারা প্রাসঙ্গিক। উপরন্তু, আধুনিক মুসলিম নারীবাদীরা বিশ্বাস করেন যে, পর্দা করা বা না করা একজন নারীর ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।

আরও দেখুন

রেফারেন্স

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!