ভৈরব-এর বিশিষ্ট দানবীর ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব, অসংখ্য স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা।
উল্লেখযোগ্য কর্ম
কিশোরগঞ্জ ভৈরব-এর ঐতিহ্যবাহী হাজী আসমত সরকারী কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা।
সন্তান
২ পুত্রঃ হাজী সোনা মিয়া সওদাগর ও হাজী সুরুজ মিয়া সওদাগর
পিতা-মাতা
পিতাঃ সেকান্দর বেপারী
হাজী আসমত আলী বেপারীবাংলাদেশ এর কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার পলতাকান্দা (চন্ডিবের) গ্রামের একজন প্রখ্যাত মুসলিম জনহিতৈষী, ধার্মিক, উদার, বিশিষ্ট দানবীর ও শিক্ষানুরাগী, যিনি তাঁর নিজের দানশীলতার জন্য "ভৈরব-এর দানবীর" নামেই দেশব্যাপী সর্বজনবিদিত।
তিনি তাঁর জেলার যথাযথ শিক্ষা এবং দরিদ্র মানুষের দুর্দশা ও দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য তার সম্পত্তির বিশাল অংশ আত্মত্যাগ করেছিলেন। তাঁর একটি নামই অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে রূপ নেয়। পিছিয়ে পরা জনপদ ভৈরবে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে অন্ধকার দূর করার মহান ব্রত নিয়েছিলেন তিনি।
জনহিতৈষী কর্মকাণ্ড ও দানশীলতার কারণে তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ জেলায় কিংবদন্তীতে পরিণত হন এবং বর্তমানেও দানের ক্ষেত্রে তুলনা অর্থে তার দৃষ্টান্ত ব্যবহার হয়ে থাকে।
হাজী আসমত সরকারী কলেজ, ভৈরব
এই দেশনন্দিত সুপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী হাজী আসমত কলেজটি ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভৈরবের দানবীর মরহুম হাজী আসমত আলী বেপারী এবং অন্যান্য শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের ঐকাত্মিক প্রচেষ্টায় ভৈরবের কেন্দ্রস্থলে প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলেজটি অনুমোদন দিয়েছিলেন।
৩৯ বিঘা (১২.৮৫ একর) জমির উপর এই কলেজটি নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। এমপিওভূক্ত শিক্ষক রয়েছেন ৩০ জন, ননএমপিওভূক্ত শিক্ষক রয়েছেন ১৫ জন। সুষ্ঠপরিবেশে সুশিক্ষাদানের ফলে কলেজটি গোটা কিশোরগঞ্জ জেলায় এক অনন্য সাধারণ বিদ্যাপীটে পরিণত হয়েছে তা সর্বজনবিদিত ও স্বীকৃত।[২]
বাংলাদেশ সরকারের প্রজ্ঞাপনে বিগত ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখ হতে কলেজটি সরকারী করন করা হয়।[৩][৪]
অন্যান্য জনহিতৈষীকর প্রতিষ্ঠান সমূহ
হাজী আসমত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (স্থাপিত ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ)
মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল পারিবারিক বাসস্থানটি জনাব হাজী আসমত আলী ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত করেন ভৈরব উপজেলার পলতাকান্দা গ্রামে। এতে অনেক গুলো বাসভবন রয়েছে যেখানে তাঁর উত্তরাধিকারীগন বসবাস করে আসছেন।[৬]
এলাকায় এটি ঐতিহাসিক ভাবে পলতাকান্দার"বড় বাড়ি" নামে সুপরিচিত।
মৃত্যু
২১ আগস্ট ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে (০৪ ভাদ্র ১৩৭৪ বঙ্গাব্দ) মরহুম হাজী আসমত আলি বেপারী পরলোকগমন করেন। তাঁকে ভৈরব উপজেলার চন্ডিবের দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে সমাধিস্ত করা হয়।[৭]