হংকং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বা এয়ারপোর্ট অথরিটি হংকং (সংক্ষেপে এএ - AA বা এএএইচকে - AAHK) (চীনা: 香港機場管理局, সংক্ষেপে 機管局) হল হংকং সরকারের একটি সাংবিধানিক সংস্থা (অনুচ্ছেদ ৪৮৩ অনুযায়ী), যা হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনা সম্পর্কিত সার্বিক দায়িত্বপালন করে থাকে।
ইতিহাস
১৯৯৫ সালে এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে ১৯৯০ সালে প্রাদেশিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়ে[১] এটি সরকার থেকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন সংস্থা হিসেবে গড়ে ওঠে। এএ'র বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে একে হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করার কথাও বর্তমানে ভাবা হচ্ছে।
এশিয়াওয়ার্ল্ড-এক্সপো নামের একটি সম্মেলন এবং প্রদররনি ছেক লাপ কোক দ্বীপের উত্তর-পুর্বপ্রান্তে অনুষ্ঠিত হয়, ২১শে ডিসেম্বর, ২০০৫ সালে।
১৭ জানুয়ারি, ২০০৫ সালে এএ হাংচৌ চিয়াওশান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৪৯% শেয়ার ১.৯৯ বিলিয়ন হংকং ডলার দিয়ে অধিকার করে নেয়, এর সাথে সিঙ্গাপুর চ্যাঙ্গি বিমানবন্দর, কোপেনহেগেন বিমানবন্দর, জর্জ বুশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং বিএএ পিএলসি এর সাথে নিলামের মাধ্যমে। জিয়াওশান বিমানবন্দরের একটি নতুন হোল্ডিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হবে, যা হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত হবে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ সালে এএ নিশ্চিত করে, যে ঝুনাই বিমানবন্দর পরিচালনাকারী সংস্থার সাথে ৫৫% শেয়ার অধিকার করবে, বাকি ৪৫% ঝুনাই বিমানবন্দরেরই থাকবে। কোম্পানিটি বিমানবন্দরের কোনো দায়িত্বে থাকবে না।
সিসিটিভি বিতর্ক
২০১৩ সালের মার্চ মাসে ছেক লাপ কোক বিমানবন্দরের পণ্য পুনঃপ্রাপ্তি হলে একটি রহস্যজনক চুরির ঘটনা দেখতে পান। তিনি বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তা জানালেও সে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। তখন লোকটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে সিসিটিভির ধারণকৃত রেকর্ড দেখতে চায়। বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানান, সিসিটিভি দিয়ে শুধুমাত্র ঘটনাগুলো তৎক্ষণাত দেখা যায়, এগুলো রেকর্ড করা হয় না।[২]
বিধান পরিষদের উপদেষ্টা অ্যালিস ম্যাক যাত্রীর পক্ষে এ ঘটনার জবাবদিহি চাইলে জানা যায়, সিসিটিভির অবশ্যই রেকর্ড করার ক্ষমতা আছে। এ ঘটনার পরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়, যিনি ব্যাপারটার প্রতি শুরু থেকেই খুব একটা সৎ ছিলেন না।[২][৩]
অফিস অব অম্বুডসম্যান কর্তৃক জানুয়ারি, ২০১৫ সালে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এএএইচকে উল্লেখ করে যে এএএইচকের প্রশিক্ষণসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ "সিসিটিভিতে ভিডিও ধারণ হয় না" বলে জানান, প্রকৃতপক্ষে যা মিথ্যা। অম্বুডসম্যান অভিযোগ করে যে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মোটেও সৎ ছিলেন না, এবং তাদের কথাও বিভ্রান্তিকর ছিল। অম্বুডসম্যান বলেন, জেনেশুনে ভুল তথ্য দেওয়া মেনে নেয়া যায় না। অম্বুডসম্যান তখন কর্তৃপক্ষকে বিমানবন্দরসম্পর্কিত বিষয়গুলো ও নিয়ম-নীতিগুলো পুনঃগঠন করার পরামর্শ দেয়, যেন এএএইচকের সততা এবং স্বচ্ছতা বজায় থাকে।[২] বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, এই ঘটনার পর তারা অম্বুডসম্যানদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করে।[৪]
অর্জন
এএএইচকে'র ব্যবস্থানাধীনে হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নানা ধরনের পুরস্কার লাভ করে।
- বর্ষসেরা বিমানবন্দর - স্কাইট্র্যাক্স (২০০১ থেকে ২০০৫; ২০০৭-২০০৮)
- জার্নালিস্টস চয়েজ অ্যাওয়ার্ড - ওএজি ওয়ার্ল্ডওয়াইড (জানুয়ারি ১৯৯৯)[৫]
- সেরা বিমানবন্দরসমূহের অন্যতম - কন্ডে নাস্ট ট্রাভেলার (অক্টোবর ১৯৯৯ সংখ্যা)
- এশিয়ার সেরা বিমানবন্দর - এশিয়াউইক (২০০০)
- এশিয়ার সেরা বিমানবন্দর - ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস (২০০০)
- বর্ষসেরা কার্গো বিমানবন্দর; দুরপ্রাচ্যের বর্ষসেরা কার্গো বিমানবন্দর - এয়ার কার্গো নিউজ (২০০২-২০০৩)
- এয়ার কার্গো অ্যাওয়ার্ড অব এক্সিলেন্স - এয়ার কার্গো ওয়ার্ল্ড (২০০৭-২০১০)
- বিশ্বসেরা বিমানবন্দর - ট্রাভেল ট্রেড গ্যাজেট (২০০৩-২০০৬)
- ঈগল অ্যাওয়ার্ড - আইএটিএ (২০০২)
- স্পেশাল আইএটিএ ফুয়েল অ্যাওয়ার্ড - আইএটিএ (২০০৪)
হংকং আন্তর্জাতকি বিমানবন্দরের ওয়েবসাইটে পুরস্কারের সম্পূর্ণ তালিকা খুঁজে পাওয়া যায়নি।[৬][৭]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ