অস্থায়ীভাবে জিম্বাবুয়ে দলকে ৬ টেস্ট ও ১২টি একদিনের আন্তর্জাতিকে নেতৃত্ব দেন কার্লাইল। তন্মধ্যে একদিনের আন্তর্জাতিকের সিরিজে ২-৩ ব্যবধানে স্বাগতিক ভারতের কাছে পরাজিত হয়েছিল তার দল। ২০০২ মৌসুমের শুরুতে জিম্বাবুয়ে দলের অধিনায়ক হিসেবে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। কিন্তু ৬ টেস্টের পাঁচটিতেই পরাজিত হয় জিম্বাবুয়ে দল। এরফলে তিনি অধিনায়কত্ব হারান। এমনকি ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ দলেও তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
খেলোয়াড়ী জীবন
ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি প্রায়শঃই বিভিন্ন অবস্থানে মাঠে নামতেন। ২০০০-০১ মৌসুমে মোহাম্মদ মাঞ্জুরুল ইসলামের টেস্টে ৫-উইকেট লাভের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। ১৯ এপ্রিল, ২০০১ তারিখে বুলাওয়েরকুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে অবশ্য স্বাগতিক দল জয় পায়।[১] সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি দুইটি টেস্ট শতক লাভ করেন। অক্টোবর, ২০০৩ সালে সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেন। অস্ট্রেলিয়া সফরে ১৭ অক্টোবর, ২০০৩ তারিখে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিজস্ব সর্বোচ্চ ১১৮ রান তোলেন।[২] ২০০৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে অপরাজিত ১০৩* রান তুলেছিলেন।
২৬ অক্টোবর, ২০০১ তারিখে শারজায় অনুষ্ঠিত ‘খালিজ টাইমস ট্রফি’ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী খেলায় শ্রীলঙ্কার চরিত বুদ্ধিকা’র দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। অবশ্য ঐ খেলায় তার দল জয় পায়।[৩] কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার চামিন্দা ভাসের হ্যাট্রিকের দিনে প্রথম শিকারে পরিণত হন। ৮ ডিসেম্বর, ২০০১ তারিখে সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ১ম ওডিআইয়ে সুরেশ পেরেরা’র হাতে তিনি কট দেন।
[৪]
অবসর
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক বিতর্কিতভাবে হিথ স্ট্রিককে সরানোর সাথে তিনিও নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। ফলশ্রুতিতে বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে তিনিও জিম্বাবুয়ের প্রতিনিধিত্ব করতে অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দলে ফিরে আসলেও অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে বাধ্য হন। বর্তমানে তিনি হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডের পাশে নিজস্ব ক্রীড়াসামগ্রী বিক্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করছেন।