সুলতানা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একজন চরিত্রাভিনেত্রী। প্রথমে শিশুশিল্পী হিসেবে তাকে সিনেমায় নিয়ে আসেন রানী সরকার। ’৭০ এবং ’৮০র দশকের অনেক চলচ্চিত্রেই পার্শ্বনায়িকা, নায়ক বা নায়িকার ছোটবোন। আরও বড় হয়ে ভাবি এমনকি খলচরিত্রও করেছেন।
চলচ্চিত্র
সুলতানা ‘বেহুলা’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘সুয়োরাণী দুয়োরাণী’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘দুই ভাই’, ‘পীচ ঢালা এই পথ’, ‘মাসুদ রানা’সহ একাধিক চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[১] ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’তে সুলতানা আলেয়ার দাসী চরিত্রে ছিলেন।[২]
- ১৯৬৮ — কুঁচ বরণ কন্যা, এতটুকু আশা, রূপকুমারী, আবির্ভাব, সুয়োরাণী দুয়োরাণী (শাহজাদী চরিত্রে), দুই ভাই (লায়লার একজন বান্ধবী হিসেবে) এবং সংসার (সংসার-এ তার চরিত্রের নামও ছিল সুলতানা)
- ১৯৬৯ — নীল আকাশের নীচে (হাসিনা চরিত্রে), আগন্তুক, স্বর্ণকমল এবং মুক্তি
- ১৯৭০ — মধুমিলন, আকাবাঁকা, দীপ নেভে নাই, অধিকার, রং বদলায়, একই অঙ্গে এত রূপ, স্বরলিপি (ডালিয়া চরিত্রে), পীচ ঢালা পথ, আদর্শ ছাপাখানা এবং বিনিময় (ফরিদা চরিত্রে)
- ১৯৭১ — নাচের পুতুল (রুবি চরিত্রে)
- ১৯৭২ — সমাধান (শারমিন চরিত্রে), প্রতিশোধ (শিলা চরিত্রে), নিজেরে হারায়ে খুঁজি (সোনিয়া চরিত্রে), ছন্দ হারিয়ে গেলো এবং রক্তাক্ত বাংলা (বিশ্বজিতের বোনের চরিত্রে)
- ১৯৭৩ — বলাকা মন এবং জীবন তৃষ্ণা
- ১৯৭৪ — দূর থেকে কাছে, মাসুদ রানা (অফিস সেক্রেটারি চরিত্রে), অনেক দিন আগে
- ১৯৭৫ — অনেক প্রেম অনেক জ্বালা, উপহার, আলো তুমি আলেয়া, দুশমন
- ১৯৭৬ — জালিয়াত, কি যে করি, কাজল রেখা
- ১৯৭৭ — অনুভব, দাতা হাতেম তাই
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
১. রক্তাক্ত প্রান্তর মুভিতে ‘ও দাদা ভাই মূর্তি বানাও.. মন বানাতে পারো’ গানে বিশ্বজিতের সঙ্গে সুলতানা
২. কোথায় হারিয়ে গেলেন অভিনেত্রী সুলতানা?