সুভদ্রা কুমারী চৌহান(১৬ আগস্ট ১৯০৪[২][৩] - ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮)একজন ভারতীয় কবি এবং তিনি তার হিন্দি কবিতাগুলির জন্য ভারতীয় কবিদের মধ্যে জনপ্রিয় কবি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার প্রধান রচিত কবিতা বীর রাস, যা হিন্দি কবিতার নয় রাসের একটি অনুবাদ ছিল (অনুবাদ: গন্ধ / উপবর্গ)। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় কবিতাগুলির মধ্যে একটি হল ঝাঁসী কি রাণী (সাহসী রানী ঝাঁসী সম্পর্কে)।[৪]
প্রথম জীবন
তিনি উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ জেলার নিহলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিকভাবে আলাহাবাদের ক্রোস্টওয়ায়েট গার্লস স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন এবং ১৯১৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করেন। একই বছর তার খান্দোওয়ায়ের ঠাকুর লক্ষ্মণ সিং চৌহানের সঙ্গে বিয়ে হয় এবং পরবর্তিতে তিনি জব্বুলপুর স্থানান্তর হন। (বর্তমানে জবলপুর), সিপি।[৫]
পরিবার
তিনি ১৯১৯ সালে খান্দোওয়ায়ের ঠাকুর লক্ষ্মণ সিং চৌহানকে বিয়ে করেছিলেন তখন তিনি ছিলেন মাত্র ১৬ বছর বয়সী। ঠাকুর লক্ষ্মণের সঙ্গে সংসার জীবনে তিনি পাঁচ জন সন্তানের জননী ছিলেন।
কর্মজীবন
১৯২১ সালের দিকে সুভাদ্র কুমারী চৌহান ও তার স্বামী ঠাকুর লক্ষ্মণ সিং চৌহান একসাথে মহাত্মা গান্ধীরঅসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন। তিনি ১৯২৩ এবং ১৯৪২ সালে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন এবং এই প্রতিবাদ আন্দলনে জড়িত থাকার জন্য তিনি নাগপুর আদালতে দুইবার গ্রেফতার হন। তিনি ছিলেন প্রথম নারী সত্যাগ্রহী।[৬]
লেখিকা জীবন
চৌহান হিন্দি কবিতার বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় কবিতা রচনা করেছেন। তার
মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা ঝাঁসী কি রানী যাতে রানী লক্ষ্মী বাইের জীবনী একটি আবেগী ভাষায় রচনা করেন। কবিতাটি হিন্দি সাহিত্যে সবচেয়ে বেশি গীত সংগীত কবিতা হিসেবে পরিচিত। রাণী ঝাঁসীর (ব্রিটিশ ভারত) জীবনী এবং ১৮৫৭ সালের বিপ্লবে তার অংশগ্রহণের এক আবেগী বিবরণ কবিতাটিতে রয়েছে এবং এটি প্রায়শই ভারতের স্কুলে পড়ানো হয়।[৭] কবিতার প্রতিটি স্তবক শেষে নিম্নের লাইন দুটির পুনরাবৃত্তি এইভাবে পড়তে হয়:
এটি ও তার অন্যান্য কবিতা, ভীরন কা কেইসা হো বাসান্ত, রাখি কি চুনৌতি, এবং ভিদা, যা স্বাধীনতা আন্দোলনের বিষয়ে খোলাখুলিভাবে কথা বলছে। ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য কবিতাগুচ্ছ বিপুল সংখ্যক ভারতীয় তরুণকে অনুপ্রাণিত করেছে। ঝাঁসী কি রানী এর উদ্বোধনী স্তবক এখানে:
মূল হিন্দি:
सिंहासन हिल उठे राजवंशों ने भृकुटी तानी थी,
बूढ़े भारत में भी आई फिर से नयी जवानी थी,
गुमी हुई आज़ादी की कीमत सबने पहचानी थी,
दूर फिरंगी को करने की सबने मन में ठानी थी।
चमक उठी सन सत्तावन में, वह तलवार पुरानी थी,
बुंदेले हरबोलों के मुँह हमने सुनी कहानी थी,
खूब लड़ी मर्दानी वह तो झाँसी वाली रानी थी।।
মৃত্যু
১৯৪৮ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি সেওনি এমপি এর কাছে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান।একটি সমাবেশে যোগ দান করার পর দুর্ঘটনাটি ঘটে যখন তিনি রাজধানী নাগপুর থেকে জাবালপুরে ফিরে আসছিলেন । তিনি রাজ্যের আইন পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন।