সুবিমান ঘোষ (১৯০৬ – ২১ অক্টোবর ১৯৬৯) ছিলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ, যিনি অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লকের অন্তর্গত।
ব্যক্তিগত জীবন
ঘোষ নগেন্দ্র নাথ ঘোষের পুত্র এবং প্রতিভা রানী ঘোষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[১] তিনি ব্যাচেলর অফ আর্টস এবং ব্যাচেলর অফ ল ডিগ্রী অর্জন করেন।[১] তার পাঁচ সন্তান ছিল (তিন ছেলে ও দুই মেয়ে)।[১] ঘোষ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খন্দ্রঘোষের তেলো গ্রামে থাকতেন।[১]
সংসদ সদস্য
ঘোষ বর্ধমান জেলায় তার দলের জনপ্রিয় স্থানীয় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন।[২] তিনি বর্ধমানের বারের একজন নেতৃস্থানীয় সদস্যও ছিলেন।[৩]
তিনি ফরওয়ার্ড ব্লক (মার্ক্সবাদী) টিকিটে ১৯৫২ সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনে বর্ধমানের একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি ৯০,২৪২ ভোট পেয়েছেন।[৪]
ঘোষ ফরওয়ার্ড ব্লক (মার্ক্সবাদী) টিকিটে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার গোঘাট আসন থেকে ১৯৫২ সালের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি ৩৫৫ ভোট (ভোটের ২%) নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।[৫][৬]
তিনি ফরওয়ার্ড ব্লক (মার্কসবাদী) টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৯৫৭ সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনে বর্ধমান আসন থেকে লোকসভায় (ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ) নির্বাচিত হন।[১][৭] ২,০৫০ ভোটের ব্যবধানে ভারতীয় ন্যাশনাল কংগ্রেস প্রার্থীকে পরাজিত করে ঘোষ অল্পের জন্য আসনটি জিতেছেন।[৭]
ঘোষ ১৯৬২ সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনে বর্ধমান আসন থেকে পরাজিত হন, আবার সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থীর মুখোমুখি হন।[৮] ঘোষ পেয়েছেন ১২৩,০১৫ ভোট (৪৪.১৭%)।[৮] ফলাফল আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়।[৯]
তিনি ১৯৬৭ সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনে বর্ধমান আসনটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন। সংযুক্ত বামফ্রন্ট -সমর্থিত প্রার্থী এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থীর পরে ঘোষ তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।[১০] ঘোষ পেয়েছেন ২৮,৯৫০ ভোট (১০.৩৮%)।[১১]
জীবনের শেষ দিকে ঘোষ প্রজা সমাজতান্ত্রিক দলে যোগ দেন।[৩] ঘোষ ১৯৬৯ সালের ২১ অক্টোবর বর্ধমানে মারা যান।[৩]
তথ্যসূত্র