সীমা কেরমানি |
---|
সিন্ধে সুফি সম্মেলনে নৃত্যরতা কেরমানি |
পরিচিতির কারণ | সক্রিয় অংশগ্রহণকারী, থিয়েটার পরিচালক এবং নর্তকী |
---|
সীমা কেরমানি বা কিরমানি (জন্ম ১৯৫১) একজন পাকিস্তানি সামাজিক কর্মী, তেহরিক-ই-নিসওয়ান প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং ভরতনাট্যম নৃত্য বিশারদ।[১][২]
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
কেরমানি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির একটি মধ্যবিত্ত শিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি করাচির জেসাস অ্যান্ড মেরি কনভেন্টে পড়াশুনো করেছেন। তিনি কলা বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন এবং পরে তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে পাকিস্তানি সমাজের মহিলারা সমাজে সাম্য অর্জন করতে সক্ষম হয় নি। তাই তিনি 'তেহরিক-ই-নিসওয়ান' (মহিলা আন্দোলন) নামে একটি আন্দোলন শুরু করেছিলেন। এটি একটি সাংস্কৃতিক সক্রিয় কর্মী দল, যারা থিয়েটার এবং পরিবেশন শিল্পের মাধ্যমকে ব্যবহার করে এবং অধিকার সম্পর্কিত বিষয়ে সচেতনতা আনতে চেষ্টা করে। [৩]
কেরমানির পিতা পাকিস্তান সেনার একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার ছিলেন এবং তিনি কেইএসসি করাচি বৈদ্যুতিক সরবরাহ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান।[৪] কেরমানির বাবাকে কর্মসূত্রে যেখানে যেখানে যেতে হয়েছে, কেরমানি সেখানকার কনভেন্ট স্কুলে তাঁর পড়াশোনা করেছেন।[৪] কেরমানি ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ভরতনাট্যম শিখতে শুরু করেছিলেন। কেরমানি ভারত সফরকালে অলোকা পানিকারের কাছে ওড়িশি এবং লীলা স্যামসনের কাছে ভরতনাট্যমের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তিনি ১৯৮৪ সালে পাকিস্তানে প্রথম তাঁর একক নৃত্য প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি করাচিতে থিয়েটার পরিচালক প্রসন্ন রামস্বামীর নির্দেশে থিয়েটার কর্মশালাও পরিচালনা করেন এবং করাচিতে তেহরিক-ই-নিসওয়ান নামক সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রধান হন। [৫][৬][৭]
২০১৭ সালে উপস্থিতি
২০১৭ সালে বর্বর সুলভ আত্মঘাতী হামলার পরে কেরমানি সেহওয়ান শরীফের মাজারে উপস্থিত হয়েছিল এবং ধামাল (একটি সুফি নৃত্যের রূপ) পরিবেশন করেছিলেন।
তিনি আবেগপূর্ণ নৃত্যাভিনয় করেছিলেন এবং সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন যে কেউই গান এবং নাচ থামাতে পারবে না। [৮]
তিনি লাহোরের ফয়েজ আমান মেলায় নৃত্য পরিবেশনা করেছিলেন যেখানে তিনি আসমা জাহাঙ্গীরকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমরা একে অপরকে ভালবাসার মাধ্যমে এবং একে অপরের সাথে ভালবাসার বার্তা ভাগ করে শান্তি, সম্প্রীতি এবং সাম্যতা আনতে পারি।
তথ্যচিত্র
জেনারেল জিয়ার শাসনকালে দেশে সামাজিক অবিচারের অবসান ঘটাতে লড়াইয়ের জন্য পাকিস্তানের অন্যতম ব্যক্তিত্ব সীমা কেরমানির জীবন ও কাজের ভিত্তিতে একটি তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছে। এটির পরিচালক তৈমুর রহিম এবং সহ-প্রযোজক ওয়াহিদ আলী। এটির নাম উইথ বেলস অন হার ফিট। এটি এই শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পীর অতীতের এক ঝলক এবং এর ছোট খণ্ডটি অনুপ্রেরণার চেয়ে কম কিছু নয়। [৯]
তথ্যসূত্র