সিঙ্গাপুর ইসলামিক কেন্দ্রস্থল (সমাহার: SIH; মালে: HAB ইসলাম সিঙ্গাপুরা; জাবি: هاب اسلام سيڠاڤورا) সিঙ্গাপুরে অবস্থিত একটি ধর্মীয় প্রাঙ্গণ। যেখানে মুহাজিরিন মসজিদ, ইরশিয়াদ জুহরি আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসা এবং মজলিস উগামা ইসলাম সিঙ্গাপুরা (মুইস) এর সদর দফতর অবস্থিত। এই প্রতিষ্ঠানগুলি সম্মিলিতভাবে (মসজিদ, মাদ্রাসা ও মজলিস) একত্রিত হয়ে, ইসলামিক মূল নীতিগুলিঃ ইমান, ইলম ও আমল (বিশ্বাস, জ্ঞান এবং আমল)-এর বাস্তব রূপ দান করে।[২]
ইতিহাস
১৯৭০ সালের শেষদিকে এখানে মুহাজিরিন মসজিদ স্থাপন করা হয়। মজলিস উগামা ইসলাম সিঙ্গাপুরা (মুইস)পূর্বে এমপ্রেস প্লেসে অফিসের কাজ করত। ১৯৮৮ সালে মুহাজিরিন মসজিদ পাশেই মুইস নির্মাণ করা হয় ও এখানে কার্যালয়টি স্থানান্তরিত করা হয়। ৬.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে ব্যয়ে ৬ তলা বিশিষ্ট একটি কার্যালয় ভবন তৈরি করা হয়। এটি সিঙ্গাপুরের ইসলামিক কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে পরিচিত।[৩][৪]
২০০৬সালে মসজিদটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং উভয় ভবন ভেঙ্গে হয় এবং বর্তমানের সিঙ্গাপুর ইসলামিক কেন্দ্রস্থল সেখানে তৈরি করা হয়। ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এটি নির্মাণ করা হয়।[৫] ২০০৯ সালের জুলাইে মুইসের ৪০ তম বার্ষিকীর সাথে মিল রেখে ক্যাম্পাসটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়।[৬]
মুইস সদর দফতর
সিঙ্গাপুর ইসলামিক কেন্দ্রস্থলের উচ্চতম কাঠামোটি "মুইস ভবন" নামে পরিচিত। এখানে মুইসের সদর দফতর রয়েছে।
মুহাজিরিন মসজিদ
ইতিহাস
মসজিদ ভবন নির্মাণ তহবিলের (এমবিএফ) সহায়তায় নির্মিত প্রথম মসজিদ হলঃ মুহাজিরিন মসজিদ। ১৯৭৫ সালের অক্টোবরে এই মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ১৯৭৭ সালের এপ্রিল মাসে নির্মাণকাজ শেষ হয়। মসজিদটি তৎকালীন সমাজ বিষয়ক মন্ত্রী প্রয়াত ওথম্যান ওক উদ্বোধন করেন। মূল মসজিদটিতে মিনারের ওপরে পার্সিয়ান-ভারতীয় স্থাপত্য শৈলীর একটি পেঁয়াজ আকৃতির গম্বুজযুক্ত রয়েছে এবং ঐতিহ্যবাহী মিনাঙ্গকাবাউ নকশার প্রভাবও এই মসজিদে রয়েছে।[৭]
মসজিদটির সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। কারণ মসজিদটি তোয়া পাওহ ঐতিহ্যের অংশ।[৮]
স্থাপত্য
মসজিদ টি সিঙ্গাপুর ইসলামিক কেন্দ্রস্থল (এসআইএইচ)-এর অন্যান্য স্থাপনার সাথে একত্রে অবস্থিত হলেও মসজিদ ভবনের নকশা এবং স্থাপত্যগুলি এসআইএইচ-এর অন্যান্য স্থাপনার চেয়ে আলাদা। গ্লাস প্যানেল এবং অ্যালুমিনিয়াম গ্রিলসের বিস্তৃত ব্যবহার সমসাময়িক স্থাপত্য শৈলীর মিশ্রণ তৈরি করা হয়েছে। লতাপাতা ফুল ইত্যাদির চিত্রবিচিত্র জ্যামিতিক উপাদানগুলি বিশ্ব ইসলামি স্থাপত্য শৈলীর আদলে নির্মিত হয়েছে। মসজিদের জানালা এবং বাহ্যিক দেয়ালগুলিতে মিশ্রিত খিলানগুলোর স্তম্ভগুলো কাঠের রংয়ের রঙিন করা যা ভবনের ছাদ পর্যন্ত বিস্তৃত। মসজিদের দ্বি-স্তরযুক্ত ছাদে ঐতিহ্যবাহী মালয় শৈলীর ওচার টাইলস রয়েছে।[৯]
পরিবহন
ব্র্যাডেল এমআরটি স্টেশন থেকে ভবনটিতে সহজেই যাওয়া যায়।
তথ্যসূত্র