সিক্কি ঘাসের কারুশিল্প হল নানা রকমের হস্তশিল্প, যেগুলি ভারতেরবিহার এবং উত্তর প্রদেশে পাওয়া সিক্কি নামে পরিচিত বিশেষ ধরনের ঘাস থেকে তৈরি করা হয়ে থাকে।[১] সিক্কি ঘাস থেকে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির এই কারুশিল্পটি বিহার প্রদেশের প্রাচীন লোকশিল্পগুলোর একটি। [২]
নেপালের দক্ষিণ অঞ্চলের সমভূমিতে থারু নারীরা বহু শতাব্দী ধরে সিক্কি ঘাস থেকে ঐতিহ্যবাহী ঝুড়ি বুনে আসছেন।[৩] বর্তমানে অনেক থারু নারী সহযোগী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সিক্কি হস্তশিল্প তৈরিতে নিযুক্ত রয়েছেন।
ঘাস সংগ্রহ
বর্ষাকালে হরিজনরা সিক্কি ঘাস সংগ্রহ করে এবং বিক্রি করার আগে সেগুলো তারা শুকিয়ে নেয়। ঘাসটি সাপ্তাহিক হাট বা বাজারে এবং ভ্রমণকারীদের কাছে ফেরিওয়ালার মাধ্যমেও বিক্রি করা হয়। এর মূল্যের হার অনেক কিছুর উপর ভিত্তি করে নির্ণীত হয় এবং প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। তবে সিক্কি ঘাস ওজন করে বিক্রি হয় না, বরং মুষ্টি দ্বারা পরিমাপ করে বিক্রি হয়।[৪]
পদ্ধতি
সিক্কি শুকানো হয় এবং এর ফুলের মাথাগুলো কেটে ফেলা হয়। ফলস্বরূপ পাওয়া যায় সূক্ষ্ম সোনালি আঁশ যা খেলনা, পুতুল এবং ঝুড়ি (ডোলচি) তৈরি এবং বুননে ব্যবহৃত হয়। কখনও কখনও এসব সামগ্রীর গায়ে রঙ দিয়ে বিভিন্ন নকশা আঁকা হয়।
পৌতি নামে পরিচিত সিক্কির তৈরি বাক্স কন্যা সন্তানকে তাদের বিয়ের উপলক্ষে বাবার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। বাক্সগুলো সিন্দুর, অলঙ্কার এবং গহনা রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
তথ্যসূত্র
↑"Archived copy"। ২০১৩-১২-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-২৫।