সারিকা সিং হলেন একজন ভারতীয় দক্ষ থাঙ্কা চিত্রশিল্পী এবং একজন উৎসাহী সাংস্কৃতিক কর্মী। তিনি নতুন দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং বর্তমানে স্বামী ও দুই সন্তানের সাথে ধর্মশালায় থাকেন। তিনি বিশ্বের প্রথম মহিলা থাঙ্কা চিত্রশিল্পী, পাশাপাশি তিনি প্রথম ভারতীয় যিনি এই শিল্প রূপটি অনুশীলন করেছেন। তাঁর বহু বছরের গবেষণায় তিনি থাঙ্কা চিত্রকর্মের সংরক্ষণ ও প্রচারে ব্যাপক অবদান রেখেছেন।[১]
শিক্ষাজীবন
সারিকা দিল্লির লেডি শ্রী রাম কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তিনি ১৯৯৭ সালে বড় শহরের বিলাসবহুল জীবন ত্যাগ করে বৌদ্ধ বিষয়ের উপর ভিত্তি করে হিমালয় শাস্ত্রীয় শিল্প শিখতে ধর্মশালায় এসেছিলেন। তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ধর্মশালার নিকটবর্তী সিদ্ধবাড়ির বিশ্বখ্যাত নরবুলিংকা ইনস্টিটিউটে প্রথম এই শিল্পকলাটি অধ্যয়ন করেছিলেন। তারপরে তিনি ২০০৬ সাল পর্যন্ত থাঙ্গদে গটসাল স্টুডিও এবং আর্ট স্কুলে অধ্যয়ন করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে, চিরাচরিত কৌশল এবং পদ্ধতি ব্যবহার করে বিদ্যালয়টি ২০০টিরও বেশি উচ্চ মানের থাঙ্কা তৈরি করেছে। [২]
কর্মজীবন
চতুর্দশ দলাই লামার এক বিবৃতি অনুসারে, হিমালয়ান বৌদ্ধ শিল্পের থাঙ্কা চিত্রকলার ঐতিহ্যে সম্ভবত সারিকা হলেন প্রথম মহিলা চিত্রশিল্পী এবং শিক্ষক। [৩] সারিকা বর্তমানে, তাঁর স্বামী গুরু লোচোর সাথে, থাঙ্গদে গটসাল থাঙ্কা স্টুডিও এবং আর্ট স্কুল পরিচালনা করছেন। লোচো একজন বরিষ্ঠ থাঙ্কা চিত্রশিল্পী।[৪] এই দম্পতি সম্প্রতি ধর্মশালায় হিমালয় শিল্প ও সংস্কৃতি যাদুঘরের প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং সেখানে কাজ শুরু করেছেন।[৫] সারিকা থাঙ্কার শিল্প নিয়ে বক্তৃতা দেন। লন্ডনের অক্টোবর গ্যালারী তে তাঁর স্টুডিওর কাজ প্রদর্শিত হয়েছে। [৬] লেডি শ্রী রাম কলেজ ফর উইমেনের স্নাতক সারিকা, ২০১২ সালের নভেম্বরে, আরেকজন উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন ছাত্রী অং সান সু চিকে শ্বেত তারার থাঙ্কা চিত্রকর্ম দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন।[৫]
তথ্যসূত্র