সাও পাওলো ব্রাজিল যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্রের ২৬ টি রাজ্যের মধ্যে একটি এবং সাধু পলের নামে রাজ্যটির নামকরণ করা হয়। রাজ্যে একটি বড় শিল্প এলাকা ও ব্রাজিলের জনসংখ্যার ২১.৯% রয়েছে, এছাড়া রাজ্যটি রাষ্ট্রের মোট জিডিপির ৩৩.৯%[৬] উৎপাদন করে। ব্রাজিলের যুক্তরাষ্ট্রীয় এককসমূহের মধ্যে সাও পাওলোয়ের মাথাপিছু দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মানব উন্নয়ন সূচক (এইচডিআই) ও জিডিপি, চতুর্থ-সর্বনিম্ন শিশু মৃত্যুর হার, তৃতীয়-সর্বোচ্চ আয়ু এবং নিরক্ষরতার তৃতীয়-সর্বনিম্ন হার রয়েছে। সাও পাওলো একক ভাবে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে ও বলিভিয়ার চেয়ে সমৃদ্ধ।[৭] সাও পাওলো বিশ্বের ২৮তম জনবহুল উপ-জাতীয় সত্তা এবং আমেরিকার সর্বাধিক জনবহুল উপ-জাতীয় সত্ত্বা।
সাও পাওলো ২০১৪ সালের হিসাবে ৪৬ মিলিয়নেরও বেশি বাসিন্দা নিয়ে, আমেরিকার সবচেয়ে জনবহুল জাতীয় উপবিভাগ[১] এবং দক্ষিণ আমেরিকার তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল রাজনৈতিক একক। স্থানীয় জনসংখ্যা দেশের অন্যতম বৈচিত্র্যময় এবং বেশিরভাগ ইতালীয় বংশোদ্ভূত, যারা এই দেশে ১৯ শতকের শেষ দিকে অভিবাসন শুরু করে;[৮] ব্রাজিলে উপনিবেশ স্থাপনকারী পর্তুগীজরা এই অঞ্চলে প্রথম ইউরোপীয় বসতি স্থাপন করে; রাজ্যটিতে আদিবাসী জনগণ, বহু স্বতন্ত্র নৃগোষ্ঠী; উপনিবেশিক যুগে ক্রীতদাস হিসাবে আসা আফ্রিকান জনগণ ও দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে অভিবাসীরাও বসতি স্থাপন করে। এছাড়াও, আরব, জার্মান, স্পেনীয়, জাপানি, চীনা ও গ্রীকরাও স্থানীয় জনগোষ্ঠী রচনায় উপস্থিত রয়েছে।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ