শ্রীলঙ্কা রাষ্ট্রটি একটি বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র এবং দেশটির রাষ্ট্রধর্মও বৌদ্ধ ধর্ম। সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ছাড়াও শ্রীলঙ্কায় হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষ স্বল্প পরিমাণে রয়েছে। ২০১২ সালের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার ৭০.২% মানুষ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর, ১২.৬% হিন্দু, ৯.৭% মুসলিম (প্রায় সবাই সুন্নী) এবং ৭.৪% খ্রিষ্টান (প্রায় সবাই ক্যাথলিক)।[১][২] শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুযায়ী বৌদ্ধ ধর্ম হচ্ছে দেশটির রাষ্ট্রীয় ধর্ম এবং বৌদ্ধ ধর্মের নীতি নিয়ম কানুন রাষ্ট্রের সর্বস্তরে চালু করার কথা বলা আছে এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় নীতি বিরোধী কোনো কিছু দেশে তৈরি করা যাবেনা এরূপও বলা আছে।[৩][৪] রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ধর্মনিরপেক্ষতা না থাকলেও এবং সংবিধানে বৌদ্ধ ধর্মকে গুরুত্ব দিয়ে রাখা হলেও দেশটিতে অন্যান্য সকল ধর্মের মানুষের বসবাসের অধিকার সম্পর্কিত কথাও সংবিধানে বলা আছে। ২০০৮ সালে একটি আন্তর্জাতিক জরিপ (গ্যালাপ পোল) অনুযায়ী শ্রীলঙ্কা বিশ্বের তৃতীয় ধর্মপ্রাণ দেশের কাতারে পড়েছিলো, ৯৯% শ্রীলঙ্কীয় মানুষ নিজেদের জীবনে ধর্মের গুরুত্বকে সবার উপরে রাখে এরকমটা জরিপে উঠে এসেছিলো।[৫]