শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী মেডিক্যাল কোর |
---|
|
সক্রিয় | ১৮৮১ - বর্তমান |
---|
দেশ | শ্রীলঙ্কা |
---|
শাখা | শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী |
---|
ধরন | সামরিক বাহিনীর চিকিৎসা শাখা |
---|
ভূমিকা | সামরিক চিকিৎসা সেবা |
---|
আকার | ৬টি ইউনিট |
---|
অংশীদার | সামরিক হাসপাতাল |
---|
রেজিমেন্ট কেন্দ্র | বীরহেরা বরালাসগামুয়া |
---|
ডাকনাম | এসএলএমসি |
---|
যুদ্ধসমূহ | প্রথম বিশ্বযুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ |
---|
|
কেন্দ্র অধিনায়ক | ব্রিগেডিয়ার ডাক্তার ডব্লিউ এম সেনরত্ন |
---|
কর্নেল কমান্ড্যান্ট | মেজর জেনারেল ডাক্তার এইচ এস মনসিংহ |
---|
উল্লেখযোগ্য কমান্ডার | মেজর জেনারেল ডাক্তার চেল্লিয়াহ দুরাইরাজা |
---|
শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী চিকিৎসা শাখা (মূল নামঃ শ্রীলঙ্কা আর্মি মেডিক্যাল কোর, এসএলএএমসি) হচ্ছে শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবা শাখা। ১৮৮১ সালে ব্রিটিশরা এটি তৈরি করে দিয়ে যায়, তখন এটি একটি ছোটো সংস্থা ছিলো।
ইতিহাস
এই কোরটির সূত্রপাত ২৯ জুলাই ১৮৮১ সালে ফিরে আসে যখন স্ট্রেচার বিয়ারার মেডিকেল সংস্থাটি প্রথমদিকে সিলন লাইট ইনফ্যান্ট্রি স্বেচ্ছাসেবীদের অংশ হিসেবে তৈরি হয়, এটি পরবর্তীতে সিলন স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল কোরে (সিলন ভলান্টিয়ার মেডিকেল কোর বা সংক্ষেপে সিভিএমসি) পরিবর্তিত হয়ে ওঠে এবং সিলন প্রতিরক্ষা বাহিনীর অংশ হয়ে যায়, প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এর সদস্যদেরকে মোতায়েন করা হয়েছিলো।
শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার পরে সিলন প্রতিরক্ষা বাহিনীটি (সিলন ডিফেন্স ফোর্স বা সংক্ষেপে সিডিএফ) ভেঙে ফেলার পর সিলন সেনাবাহিনী গঠিত হলে, সিলন স্বেচ্ছাসেবক মেডিকেল কোর সিলন স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর একটি অংশে পরিণত হয় এবং লেঃ কর্নেল সিডনি জয়বর্ধনে এটার প্রথম অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৫০ সালের অক্টোবরে সিলন আর্মির নিয়মিত বাহিনীতে সিলন আর্মি মেডিকেল কোর তৈরি করা হয়েছিলো। এর শুরুতে এটির ৩ জন কর্মকর্তা ছিলো এবং যুদ্ধের সময় সিভিএমসিতে দায়িত্ব পালন করা আরও ২০টি পদ এতে যুক্ত করা হয়। মেজর এইচ সি সিরাসিংহে, ওবিই নিয়মিত মেডিকেল কোরের প্রথম কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। সে বছর রয়্যাল আর্মি মেডিকেল কোরের প্রাক্তন ব্রিটিশ সামরিক হাসপাতালে একটি ১০ শয্যাবিশিষ্ট শিবিরের অভ্যর্থনা কেন্দ্র চালু করা হয়েছিলো, শীঘ্রই এটিকে একটি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করা হয়। ১৯৭২ সালে শ্রীলঙ্কা প্রজাতন্ত্র হয়ে উঠলে এই কোরটির পুনরায় নামকরণ করা হয় শ্রীলঙ্কা আর্মি মেডিকেল কোর হিসেবে।
স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসে কোর বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সেবা দিয়েছিলো; প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় এটি বেসামরিক মেডিকেল পরিষেবাগুলিতে সহায়তা করেছিলো এবং বেসামরিক চিকিৎসকরা এবং নার্সরা অনশনে গেলে জাতীয় ও প্রাদেশিক হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালিত করেছিলো। একাত্তরের জেভিপি বিদ্রোহ এবং শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ চলাকালীন সেনাবাহিনীর সদস্যরা আক্রমণে নেমে এলে মেডিকেল কোরের সদস্যদের সংখ্যা, সামরিক হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয় এবং কয়েকটি নতুন সামরিক হাসপাতাল তৈরি করা হয় যেমন ১৯৮৫ সালে পানাগোদা সেনানিবাসে নতুন একটি সামরিক হাসপাতাল তৈরি করা হয়।
বহিঃসংযোগ
|
---|
সরাসরি যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত শাখাসমূহ | |
---|
যুদ্ধে সহায়তা প্রদানকারী শাখাসমূহ | |
---|
যুদ্ধে বিশেষ প্রয়োজনীয় বা সেবাদানকারী শাখাসমূহ | |
---|
ভেঙে দেওয়া রেজিমেন্ট |
- সিলন মাউন্টেড রাইফেলস
- সিলন প্ল্যান্টার্স রাইফেলস
- সিলন রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স
- সিলন রাইফেলস
- কলম্বো টাউন গার্ড রেজিমেন্ট
- ন্যাশনাল সার্ভিস রেজিমেন্ট
- পোস্ট অ্যান্ড টেলিগ্রাফ সিগনালস
- রজরত রাইফেলস
- রুহুনু রেজিমেন্ট
- প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট
|
---|