শ্বশুর-শাশুড়ি হলো এমন দুজন ব্যক্তি যারা স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের পিতামাতা। অনেক সংস্কৃতি এবং আইনি ব্যবস্থা এই সম্পর্কের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের উপর কর্তব্য এবং দায়িত্ব আরোপ করে। একজন ব্যক্তি স্বামী-স্ত্রীর পিতামাতার কাছে জামাই বা পুত্রবধূ, যারা স্বামী-স্ত্রীর ভাইবোন, ভাইবোনের বিপরীতে সেই সব ভগ্নীপতি ও শ্যালকের পিতামাতা। এই পারিবারিক সম্বন্ধ গোষ্ঠীর সদস্যদের একত্রে শ্বশুরবাড়ির আত্নীয় বলা হয়।[১]
শ্বশুর
একজন শ্বশুর বীপরিতক্রমে একজন স্বামী বা স্ত্রীর পিতা।[২] দুজন পুরুষ যারা একে অপরের সন্তানের শ্বশুর হতে পারেন। তাদের সহ-পিতৃ-শ্বশুর বলা যেতে পারে বা যদি তাদের নাতি-নাতনীর মধ্যে সম্পর্ক হয় তাহলে তাদের সহ-পিতামহ বলা যেতে পারে।
শাশুড়ি
শ্বাশুড়ি হলো বীপরিতক্রমে একজন স্বামী বা স্ত্রীর মা।[৩] দু'জন মহিলা যারা একে অপরের সন্তানের শ্বাশুড়ি হন তাদের সহ-শ্বাশুড়ি বা তাদের নাতি-নাতনীদের মধ্যে সম্পর্ক হলে তাদের সহ-মাতামহ বলা যেতে পারে।
কৌতুক এবং জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে শ্বাশুড়ীকে অসহ্যকর, কৃপণ, অসহনশীল এবং সাধারণত অপ্রীতিকর হিসাবে হিসাবে উপস্থাপন করা হয়। তাদের প্রায়শই স্বামীর শত্রু হিসাবে চিত্রিত করা হয় যিনি শাশুড়ির মেয়ের সাথে বিবাহিত। শাশুড়ির কৌতুকে শাশুড়ির চরিত্রকে অশ্লীল ভাবে আলোকিত করা হয়েছে।
কিছু অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসী ভাষাগুলো এড়িয়ে চলা বক্তব্য বোঝাতে "শাশুড়ির ভাষা" ব্যবহার করে। বিশেষত উপ-ভাষাগুলি ব্যবহার করা হয় নিষিদ্ধ আত্মীয়দের বোঝাতে, বিশেষত শাশুড়িকে।
শ্বশুরবাড়ি হলো এক ধরনের বাসস্থান। সাধারণত একটি পারিবারিক বাড়ির মধ্যে অতিথির বাসস্থান যা বর্ধিত পরিবারের সদস্যদের জন্য ব্যবহার করা হয়।
ইসলামে শ্বশুর শ্বাশুড়ি
ইসলামে শ্বশুর শাশুড়িই একমাত্র সম্পর্ক, যা সরাসরি রক্ত সম্পর্ক না হয়েও মাহরাম বলে বিবেচিত হয়, অর্থাৎ তাদের সামনে পুত্রবধু ও মেয়ের জামাইদের পর্দা করা বাধ্যতামূলক নয়।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ "in-law"। Merriam-Webster। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "father-in-law"। Merriam-Webster। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "mother-in-law"। Merriam-Webster। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
বহিঃসংযোগ