শেখ লুৎফুর রহমান (জন্ম: ১৮৮১ - মৃত্যু: ৩০ মার্চ, ১৯৭৫) ছিলেন একজন সেরেস্তাদার, ব্রিটিশ ভারতের গোপালগঞ্জ দেওয়ানী আদালতের নথি সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা একজন কর্মকর্তা।[১] তার পুত্র শেখ মুজিবুর রহমান । লুৎফুরের বাবা শেখ আবদুল হামিদ, ছিলেন শেখ বোরহানউদ্দিন ও শেখ কুদরোতুল্লাহর বংশধর। তিনি সায়েরা খাতুনকে বিয়ে করেন। লুৎফর ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম।[২] তিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতামহ।[৩][৪]
প্রাথমিক জীবন
শেখ লুৎফর রহমানের জন্ম শেখ আবদুল হামিদের ঘরে। তিনি তার চাচাতো বোন সায়েরা খাতুনকে বিয়ে করেন। তিনি চাকরির খোঁজে বাড়ি ছেড়ে যান। বর্তমান গোপালগঞ্জ দেওয়ানি আদালতে তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।[৫]
মধুমতি নদীর উপর গোপালগঞ্জ-পিরোজপুর মহাসড়কের সংযোগকারী সেতুটি তার নামে নামকরণ করা হয় শেখ লুৎফর রহমান সেতু, যা ২০০০ সালের ২৩ ডিসেম্বর তার নাতনী শেখ হাসিনা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।[৮] ২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরকার সেতুটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসলে এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা এই সেতু উদ্বোধন করেন।[৮] এছাড়াও গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সরকারি কলেজটি তার নামে শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ রাখা হয়।[৯]