শেখ আব্দুর রশীদ (জন্ম: ৫ মে ১৯৫৭ ) একজন বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তা যিনি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন।[১] ২০২৪ সালে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে অবসর থেকে পুনরায় অতিরিক্ত সচিব হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নিয়োগ দেন। পরে তিনি সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের ২৫তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব।[২][৩][৪]
প্রাথমিক ও শিক্ষা জীবন
আব্দুর রশীদ ৫ মে ১৯৫৭ সালে সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় মেধাতালিকায় তৃতীয়স্থান অধিকার করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া নেদারল্যান্ডসের দি হেগ শহরের ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজ থেকে পাবলিক পলিসি অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে এমএ ডিগ্রি ও ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসন বিষয়ে পিএইচডি অর্জন করেন।[৩]
কর্মজীবন
শেখ আব্দুর রশীদ ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ১৯৮২ ব্যাচের সম্মিলিত মেধাতালিকায় চতুর্থ ও প্রশাসন ক্যাডারে প্রথমস্থান অর্জন করেন। পরে তিনি প্রশাসনে যোগদান করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসক হিসেবে মাঠ প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হন। এছাড়া তিনি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন।[৩][৪][৫]
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর শেখ আব্দুর রশীদকে মিথ্যা মামলায় তাকে ওএসডি করে। পরে তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও তাকে চার বছর পর জানানো হয়। ততক্ষণে তিনি অবসরে চলে যান। [৬]
শেখ রশীদ সিনিয়র সচিব হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এর দায়িত্বে ছিলেন। ৮ অক্টোবর ২০২৪ সালের এক প্রজ্ঞপনের মাধ্যমে ১৪ অক্টোবর ২০২৪ সাল থেকে ২ বছরের জন্য বাংলাদেশের ২৫তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। [৩][৭]
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলে অবসরে থাকা অবস্থায় ১৭ আগস্ট চুক্তিতে দুই বছরের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে নিয়োগ পান। একদিন পরেই ১৮ আগস্ট তাকের তাকে সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়।[৩][৮]
তথ্যসূত্র