ড. শেখ আব্দুর রশিদ (জন্ম: ৫ মে, ১৯৫৭) একজন বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তা যিনি বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[১][২]
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
তিনি ১৯৫৭ সালের ৫ মে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় জন্ম গ্রহণ করেন।[৩] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[৪] তিনি নেদারল্যান্ডসের দি হেগ শহরে অবস্থিত ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজ হতে পাবলিক পলিসি অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে লোকপ্রশাসন বিষয়ে পিএইচডি লাভ করেন।[৪] ইতিপূর্বে তিনি এসএসসি ও এইচএসসিতে উভয় পরীক্ষার মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। তিনি বিসিএসের ১৯৮২ ব্যাচের সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৪র্থ ও প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম স্থান অর্জন করেন।[৪]
কর্মজীবন
মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ এর আগে ১৭ আগস্ট তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।[৩] অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্বে থেকে অবসরে যাওয়া এই কর্মকর্তা বিসিএস ৮২ ব্যাচের ছিলেন।[৫] তিনি তার ব্যাচে ফার্স্ট হয়েছিলেন।[৩] তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অতিরিক্ত সচিব থেকে অবসরে যান। ১৩ আগস্ট ২০২৪ সালে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান পদ থেকে ড. এম খায়রুল হোসেন পদত্যাগ করায় নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ড. শেখ আব্দুর রশীদ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নিয়েই মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে ওএসডি করে। পরে তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও তাঁকে চার বছর পর জানানো হয়, যখন অবসরে যান তিনি। তখন তিনি বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।[৩] বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ইউএনও, ফেনী জেলার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং টাঙ্গাইল জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।[৪]
আব্দুর রশীদ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমি ও লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অনুষদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জননিরাপত্তা বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা বিভাগের উপসচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪]
এছাড়াও আব্দুর রশীদ পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪]
ব্যক্তিগত জীবন
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। তার সহধর্মিণী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা যিনি অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে অবসর নেন।[৪]
তথ্যসূত্র
- ↑ "নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ"। প্রথম আলো। ২০২৪-১০-০৮। Archived from the original on ২০২৪-১০-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৮।
- ↑ "নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ"। দ্য ডেইলি স্টার বাংলা। ৮ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ ক খ গ ঘ "নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ"। দৈনিক ইনকিলাব। ৮ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন শেখ আব্দুর রশিদ"। সমকাল। ৮ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "ব্যতিক্রম নিয়মে হওয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব আব্দুর রশিদ"। দ্য ডেইলি স্টার বাংলা। ৮ অক্টোবর ২০২৪।