শরিফা খান একজন বাংলাদেশি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা যিনি সর্বশেষ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইতঃপূর্বে তিনি পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী ইনস্টিটিউট বিভাগের সদস্য ছিলেন।[১][২]
উল্লিখিত পদগুলি ছাড়াও তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের অনুষদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৩]
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা:
শরিফা খান টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করার পর তিনি ২৬ জানুয়ারী ১৯৯১ [৪] এ ৯ম ব্যাচে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক্সে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
কর্মজীবন
খান ২০১২ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের WTO সেলের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫] খান ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল[৪] যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনে কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি) এবং ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কাজ করেছেন।
২০২০ সালে, খান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ছিলেন।[৬] তিনি চীনের সাথে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়েছিলেন।[৭]
তিনি পদাধিকার বলে বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের পরিচালক।[৮]
খান পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য।[৯] তিনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১০] ৩১ অক্টোবর ২০২৩ সালে তিনি একই বিভাগে সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।[১১][১২]
১০ মার্চ ২০২৪ সালে সরকার শরিফা খানকে যোগদানের তারিখ হতে পরবর্তী তিন বছরের জন্য বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে।[১৩][১৪]
তথ্যসূত্র