শন বিন |
---|
|
|
জন্ম | (1959-04-17) ১৭ এপ্রিল ১৯৫৯ (বয়স ৬৫)
|
---|
মাতৃশিক্ষায়তন | রয়েল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্ট |
---|
পেশা | অভিনেতা |
---|
কর্মজীবন | ১৯৮৩–বর্তমান |
---|
দাম্পত্য সঙ্গী | ডেব্রা জেমস (বি. ১৯৮১; বিচ্ছেদ. ১৯৮৮) মেলানি হিল (বি. ১৯৯০; বিচ্ছেদ. ১৯৯৭) অ্যাবিগেল ক্রাটেন্ডেন (বি. ১৯৯৭; বিচ্ছেদ. ২০০০) জর্জিনা সুটক্লিফ (বি. ২০০৮; বিচ্ছেদ. ২০১০) অ্যাশলি মুর (বি. ২০১৭) |
---|
সন্তান | ৩ |
---|
শন মার্ক বিন (ইংরেজি: Shaun Mark Bean; জন্ম ১৭ এপ্রিল ১৯৫৯), পেশাগতভাবে শন বিন () নামে পরিচিত, হলেন একজন ইংরেজ অভিনেতা। রয়েল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্ট থেকে পাস করে তিনি তার পেশাদারী অভিনয় জীবন শুরু করেন ১৯৮৩ সালে রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে। তার প্রথম সফলতা আসে আইটিভির ধারাবাহিক শার্প-এ রিচার্ড শার্প চরিত্রে অভিনয় করে। পরে তিনি এইচবিওর মহাকাব্যিক কাল্পনিক ধারাবাহিক গেম অব থ্রোনস-এ নেড স্টার্ক চরিত্র দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। পাশাপাশি তিনি বিবিসি ওয়ান চ্যানেলের কবিতা সংকলন অ্যাকিউসড এবং আইটিভির ঐতিহাসিক নাট্যধর্মী ধারাবাহিক অষ্টম হেনরি-এ অভিনয় করেন।
তার সবচেয়ে প্রসিদ্ধ চলচ্চিত্র ভূমিকা ছিল দ্য লর্ড অব দ্য রিংস (২০০১-০৩) চলচ্চিত্র ধারাবাহিকে বরোমির চরিত্রটি। তার অন্যান্য চলচ্চিত্র ভূমিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জেমস বন্ড চলচ্চিত্র ধারবাহিকের গোল্ডেন আই (১৯৯৫) ছবিতে আলেক ট্রেভেলিয়ান এবং ট্রয় (২০০৪) ছবিতে ওডেসিয়াস চরিত্র। এছাড়া তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হল প্যাট্রিয়ট গেমস (১৯৯২), রনিন (১৯৯৮), ন্যাশনাল ট্রেজার (২০০৪), নর্থ কান্ট্রি (২০০৫), দ্য আইল্যান্ড (২০০৫), সাইলেন্ট হিল (২০০৬), ব্ল্যাক ডেথ (২০১০), জুপিটার অ্যাসেন্ডিং (২০১৫) এবং দ্য মার্শিয়ান (২০১৫)। কণ্ঠ অভিনেতা হিসেবে বিন দ্য এল্ডার স্ক্রলস ৪ অবলিভিয়ন, সিড মেইয়ার্স সিভিলাইজেশন ৬ ভিডিও গেমে এবং দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস টেলিভিশন ধারাবাহিকে কাজ করেন। তিনি তার অভিনয় জীবনে একবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে আন্তর্জাতিক এমি পুরস্কার লাভ করেন এবং একবার বাফটা পুরস্কার ও স্যাটার্ন পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[২]
প্রারম্ভিক জীবন
বিন ১৯৫৯ সালের ১৭ এপ্রিল ইংল্যান্ডের শেফিল্ড শহরের উপকণ্ঠে হ্যান্ডসওর্থে (তৎকালীন ওয়েস্ট রাইডিং অব ইয়র্কশায়ার) জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ব্রায়ান বিন এবং মাতা রিটা (জন্মনাম টাকউড)।[৩] তার পিতা একটি ফেব্রিকেশন শপের মালিক ছিলেন, যেখানে ৫০ জন কর্মী কাজ করত। তার মাতা সেখানে সেক্রেটারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ধনী হওয়া সত্ত্বেও তার পরিবার তাদের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে যোগ সূত্র রাখার জন্য এই স্থান ত্যাগ করে যান নি। বিনের লরেইন নামে এক ছোট বোন রয়েছে।[৪] শৈশবে এক বাকবিতণ্ডায় তিনি একটি কাঁচের দরজায় লাথি দেন। এর ফলে একটি কাঁচের টুকরা তার পায়ে গেঁথে যায় এবং তার হাঁটায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং পায়ে ক্ষতের দাগ থেকে যায়। যার ফলে তিনি পেশাদারী ফুটবল দলে যোগ দিতে পারেন নি।[৩]
চলচ্চিত্রের তালিকা
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
উইকিমিডিয়া কমন্সে
শন বিন সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।