লি অ্যান্ডারসন গ্রান্ট (ইংরেজি: Lee Grant, ইংরেজি উচ্চারণ: /liː grɑːnt/; জন্ম: ২৭ জানুয়ারি ১৯৮৩; লি গ্রান্ট নামে সুপরিচিত) হলেন একজন ইংরেজ পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে গোলরক্ষক হিসেবে খেলেন।
১৯৯৮–৯৯ মৌসুমে, ১৫ বছর বয়সে, ইংরেজ ফুটবল ক্লাব ওয়াটফোর্ডের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে গ্রান্ট ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দলের হয়ে খেলার মাধ্যমেই তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০০০–০১ মৌসুমে, ইংরেজ ক্লাব ডার্বি কাউন্টির হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন; ডার্বি কাউন্টির হয়ে ৫ মৌসুমে ৭৪ ম্যাচে অংশগ্রহণ পর ২০০৭–০৮ মৌসুমে তিনি শেফিল্ড ওয়েঞ্জডেতে যোগদান করেছেন। এরপূর্বে বার্নলি এবং অল্ডাম অ্যাথলেটিকের হয়ে এক মৌসুমে করে ধারে খেলেছেন। শেফিল্ড ওয়েঞ্জডেতে তিন মৌসুম অতিবাহিত করার পর প্রায় ১.২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বার্নলির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় ১২৬ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। পরবর্তীকালে, তিনি ডার্বি কাউন্টি এবং স্টোক সিটির হয়ে খেলেছেন। ২০১৮–১৯ মৌসুমে, তিনি প্রায় ১.৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে স্টোক সিটি হতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদান করেছেন।
২০০০ সালে, গ্রান্ট ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে, গ্রান্ট বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০০২–০৩ মৌসুমে ডার্বি কাউন্টির বর্ষসেরা যুব খেলোয়াড় এবং ২০১২–১৩ মৌসুমের বার্নলির বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অন্যতম।[১][২]
প্রারম্ভিক জীবন
লি অ্যান্ডারসন গ্রান্ট ১৯৮৩ সালের ২৭শে জানুয়ারি তারিখে ইংল্যান্ডের হেমেল হেম্পস্টিডে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক ফুটবল
গ্রান্ট ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৬, ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৭, ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৮, ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ এবং ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০০ সালের ৯ই মার্চ তারিখে তিনি ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন। ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে তিনি ২০০২ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছেন,[৩] তবে তার দল উক্ত প্রতিযোগিতায় গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল। এই আসরে তিনি মাত্র ১ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[৪] ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি সর্বমোট ২২ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ