লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি বাংলাদেশের একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত নন-ব্যাংকিং আর্থিক কোম্পানি।[১] মোহাম্মদ এ. মঈন লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান।[২] খাজা শাহরিয়ার লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।[৩]
ইতিহাস
লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড ১৯৯৭ সালে শ্রীলঙ্কার বণিক ইনকর্পোরেশন লিমিটেড এবং কিছু বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীদের দ্বারা একটি নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।[৪][৫] এটির মূল নাম ছিল বণিক বাংলাদেশ লিমিটেড, কিন্তু ২০০৩ সালে এর নাম পরিবর্তন করে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড রাখা হয়।[৫] ২০০৩ সালে সম্পদ ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংক পিএলসি এর শেয়ার ক্রয় করে নেয়।[৫]
২০০৫ সালে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড ১৯৯৮ সালে চালু করা পুরনো বণিক কার্ডের বদলে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স মাস্টারকার্ড চালু করে।[৬] ২০০৭ সালের মে মাসে এটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করে।[৭]
২০১০ সালে কোম্পানিটি লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সাথে প্রকাশ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা করে।[৮] মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত হন।[৯]
২০১৭ সালের ১ জুন খাজা শাহরিয়ার লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত হন।[১০]
বাংলাদেশের আর্থিক বাজারে তারল্য সংকট সত্ত্বেও লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড ২০১৯ সালে তাদের মুনাফা ১৪.৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে ফেলে।[১০] এটি ইসলামিক কর্পোরেশন ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব দ্য প্রাইভেট সেক্টর থেকে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গ্রহণ করেছে।[১১] ২০২০ সালের জুনে এটি ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।[১২]
২০২২ সালে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড র্যাংগস লিমিটেডের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।[১৩] এটি জুন মাসে নগদের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।[১৪] লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৬ বছর এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে টানা ১৫ বছর ধরে শীর্ষ স্টক ব্রোকার ছিল।[১৫] লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলামকে লংকাবাংলার ট্রেডএক্সপ্রেস অনুমোদন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে।[১৬] ২০২২ সালে এর ৪.৩৫ বিলিয়ন টাকা শ্রেণীবদ্ধ ঋণ ছিল।[১৭] নরওয়ের সরকারি পেনশন তহবিল লংকাবাংলা ফাইন্যান্সে ১.৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।[১৮]
২০২৩ সালে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড ট্রাস্ট আজিয়াটা পে'র সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।[১৯]
সহায়ক সংস্থা
- লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড[২০][২১]
- লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস[১০]
- লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি[১০]
- লংকাবাংলা ফাউন্ডেশন[২২]
পরিচালনা পরিষদ
তথ্যসূত্র