রেবতী কৃষ্ণা (তামিল: ரேவதி கிருஷ்ணா) হলেন একজন ভারতীয় বীণা বাদক। [১] তিনি কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি হালকা সংগীত এবং চলচ্চিত্র সংগীত উভয় ক্ষেত্রেই তাঁর দক্ষতার জন্য খ্যাতিমান।
জীবনের প্রথমার্ধ
চেলভাকুমার ও লক্ষ্মীর কন্যা রেবতী কৃষ্ণার শৈশবের নাম ছিল রেবতী চেলভাকুমার। রেবতীর ভাই, চন্দ্রন এখন অবসরপ্রাপ্ত কসমেটিক শল্যচিকিৎসক। রেবতী সুরকার ত্যাগরাজার শিষ্য বংশীয়। তাঁর প্রপিতামহ থিলাইস্থানম রামা আয়েঙ্গার ছিলেন ত্যাগরাজা সাধুর অনুগত শিষ্য। মাদুরাইয়ের থেরেলি রামস্বামী আয়েঙ্গারের কাছে কণ্ঠসুর সম্পর্কে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ পাওয়ার পরে,[২] তিনি ১২ বছর বয়সে হাতে তুলে নেন বীণা। তাঁর আগ্রহ দেখে তাঁর মা তাঁকে সুন্দরম আইয়ারের শিক্ষাধীন করেন। পরে তিনি শারদা শিবানন্দম এবং কে পি শিবানন্দমের অধীনে তাঁর বীণাবাদন শিল্পকে সূক্ষ্মতা প্রদান করেছিলেন। [৩]
চলচ্চিত্র সঙ্গীত
তিনি চলচ্চিত্রের গানে এবং মঞ্চে পরিবেশিত চলচ্চিত্রের গানেও বীণাবাদন করেছেন, যার কৃতিত্ব স্বরূপ তাঁর অনেক অডিও এবং ভিডিও অ্যালবাম রয়েছে। রজনীকান্ত, কমল হাসান এবং এ আর রহমানের সংগীতে তাঁর উপস্থাপনা ভক্তদের মধ্যে জনপ্রিয়। [৪]
পরিবেশনা
- রাজভবনে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল পিএস রাম মোহন রাওয়ের সম্মানে বিশেষ বীণাবাদন।
- ভারতের রাষ্ট্রপতি ডঃ এ পি জে আবদুল কালামের জন্য বিশেষ পরিবেশনা।
- জুলাই ২০১২-এ বিশ্ব তামিল সম্মেলনে পরিবেশনা। [৫]
- ২০০৭ সালে দিল্লি-ভিত্তিক বীণা ফাউন্ডেশন এবং ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় শিল্প কেন্দ্র কর্তৃক আয়োজিত বীণা নবরথীতে পরিবেশন করেছেন [৬]
- তিরুভাইয়ারুতে তায়াগরাজ আরাধনে নিয়মিত পরিবেশন করেন।
পুরস্কার এবং কৃতিত্ব
- বীণায় শ্রেষ্ঠত্বের জন্য কালাইমামণি পুরস্কার
- কুমার গন্ধর্ব পুরস্কার ২০০৮ [৭]
তথ্যসূত্র