রুশনারা আলী; (জন্ম ১৪ মার্চ ১৯৭৫) একজন ব্রিটিশ লেবার পার্টি রাজনীতিবিদ ও ইয়ং ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক যিনি একই সাথে বেথনাল গ্রিন এ্যান্ড বাউয়ের জন্য সংসদ সদস্য ২০১০ সাল থেকে।[১] রুশনারা আলী ২০১৪ সালে লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগপত্রে তিনি উল্ল্যেখ করেন যে তার দল ক্ষমতাসীন দলের সাথে একমত হয়ে ইরাকে যে সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছে তা কোনও সমাধান নয় এবং তা দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা তৈরি করবে। তিনি এ ধরনের যুদ্ধ কখনোই সমর্থন করতে পারেন না।[২]
প্রাথমিক জীবন
রুশনারা আলী ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে জন্ম নেন সিলেট জেলার বিশ্বনাথে। [৩] তিনি মাত্র ৭ বছর বয়সে পরিবারের সাথে লন্ডনের পূর্ব প্রান্তে অভিবাসিত হন যেখানে তিনি মালবেরি স্কুলস অব গার্লস ও টাওয়ার হ্যামলেট কলেজ-এ শিক্ষা লাভ করেন। টাওয়ার হ্যামলেটে বেড়ে ওঠার সময়ে তার বাবা হাতের কাজ করতেন।অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট জনস কলেজে তিনি দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেন যা ছিল তার পরিবারের জন্যই প্রথম ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার।
মাইকেল ইয়ং-এর গবেষণা সহকারী হিসেবে তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন ও টাওয়ার হ্যামলেটস সামার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সংস্কার প্রজেক্টের কাজ করেন, যেখানে মুক্ত শিক্ষার কর্মসূচী চালু আছে ১১ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের জন্য।ভাষা সংযোগ-এর উন্নতির জন্য তিনি কাজ করেন যা একটি জাতীয় দূরালাপনী ব্যাখাকারী কর্মকাণ্ড যেখানে ১০০টির মতো ভাষায় এটা করা হয়।১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি সংসদ সহকারী ছিলেন সংসদ সদস্য ওনা কিং-ইয়ের যিনি বেথনাল গ্রিন এ্যান্ড বাউ জন্য মনোনীত ছিলেন।.[৪]
মানবাধিকার বিষয়ে তিনি বিদেশী কার্যালয়ে কাজ করেন ২০০০ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত। এর আগে আলী একজন গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করেন আই পি পি আরে। বার্নলে, ওল্ডহ্যাম ও ব্র্যাড ফোর্ডে ২০০১ সালের দাঙ্গার ফলে স্থানীয় ও জাতীয় মাধ্যমকে গতিশীল করার জন্য একটি কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দেন তিনি যা সম্ভব হয়েছিল ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত হোম অফিসের কমিউনিটিস ডাইরেক্টরেট হিসেবে কাজ করে এবং এটা করা হয়েছিল যাতে আর কোন রকম বিশৃংখলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি না হয় ও কেন্দ্রীয় সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য।.[৫]
রুশনারা আলী ২০০৫ সাল থেকে বেথেল গ্রিনে অবস্থিত ইয়ং ফাউন্ডেসন-এর সহকারী পরিচালক যারা নতুন ধরনের সামাজিক বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি একই সাথে টাওয়ার হ্যামলেটস সামার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সদস্য,একজন কমিশনার লন্ডন শিশু দারিদ্র কমিশনের, বোর্ড সদস্য টাওয়ার হ্যামলেট কলেজের, পল হ্যাম্লাইন ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি ও টেট ব্রিটেন কাউন্সিলের সদস্য।[৬][৭]দ্যা গার্ডিয়ান, প্রসপেক্ট ও প্রগ্রেস ম্যাগাজিনে তিনি জাতীয় ও স্থানীয় নানা রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন।.[৮][৯][১০][১১] এছাড়াও তিনি কোয়েশ্চন টাইম এক্সট্রা, বিবিসি রেডিও ৪-এর ওমেন্স আওয়ার এবং থিঙ্কিং অ্যালোড-এ উপস্থিত হন।[১২][১৩] দ্যা গার্ডিয়ানের মতে তিনি ব্রিটেনের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মহিলাদের একজন। [১৪]
সংসদীয় জীবন
২০০৭ সালে এপ্রিলে লেবার পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বেথনাল গ্রিন এ্যান্ড বাউ এলাকার জন্য নির্বাচিত হন ও ৬ই মে ২০১০ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ১১৫৭৪ ভোট বেশি পেয়ে।.[১৫] তিনি হাউজ অব কমনসে নির্বাচিত প্রথম বাংলাদেশী [১৬][১৭] ও ২০১০ সালে নির্বাচিত প্রথম ৩ জন মুসলিম মহিলা এমপির অন্যতম।
পরে ২০১৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের কারণ হিসাবে তিনি উল্ল্যেখ করেন কোয়ালিশন সরকার ইরাকের এই এস এই এল এর বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তা তিনি মেনে নিতে পারেন না। তিনি মনে করেন যুদ্ধ কোন সমাধান নয়। বরং আরও এ ধরনের যুদ্ধ আরও রক্তাক্ত আগামি তৈরি করবে। তবে তিনি তার দলের প্রধানের জন্যে পদত্যাগ পত্রে শুভ কামনা করেন এবং বলেন তিনি বিশ্বাস করেন আগামি নির্বাচনে তার দল জিতবে। অন্যদিকে লেবার দলের প্রধান বলেন রুশনারার নিজের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়েই তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়েছে। [১৮][১৯]
↑British Bangladeshi Who's Who, 2008। British Bangla Media Group। ২০০৮। পৃষ্ঠা 45। Previously she worked at the Communities Directorate of the Home Office...অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
↑"User Profile, Rushanara Ali"। Social Innovation Exchange। ২ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।
↑"Rushanara Ali"। London Child Poverty Commission। ৪ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।