রাজা মিত্র (১৭ জানুয়ারি ১৯৪৫ – ২০ ডিসেম্বর ২০২৪) [১]ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক এবং সঙ্গীত পরিচালক, যিনি মূলত বাংলা চলচ্চিত্রে কাজ করেন।[২] ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ফিচার ফিল্ম-একটি জীবন,[৩] চলচ্চিত্রের জন্য প্রথম আবির্ভাবে শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসাবে ৩৫ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তথা ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার লাভ করেন। [৪]তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেরস্বর্ণ কমল (গোল্ডেন লোটাস) লাভ করেন-
"অত্যন্ত সাহসী ও প্রথম প্রয়াসে সফল এমন একজন পরিচালক যিনি তার ভাষার সাংস্কৃতিক মূল্যের প্রতি দৃঢ় প্রত্যয়ে এবং এককভাবে আগামী প্রজন্মের কাছে এর সমৃদ্ধকরণের মূল্য উপলব্ধ করতে পেরেছেন এমন চলচ্চিত্র সৃষ্টির স্বীকৃতিস্বরূপ"।[৫]
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
রাজা মিত্রের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের কলকাতায়। তিনি ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরস্নাতক হন। [৬] তিনি বিভিন্ন সাহিত্য ও চলচ্চিত্র পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন। নিজে লেখালেখিও করতেন। কবিতা লিখতেন শোভন মিত্র নামে। এই শোভনই পরে রাজা মিত্র নামে পরিচিত হন। [১] তিনি ১৯৭৮ -৮০ খ্রিস্টাব্দের সময়কালে গৌতম ঘোষের সহকারী ছিলেন। [৬]
কর্মজীবন
১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে একটি তথ্যচিত্র এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসাবে রাজা মিত্র তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে তার প্রথম পরিচালনায় মুক্তি পায় বাংলা চলচ্চিত্র একটি জীবন[৭]
এই ছবিটিই প্রথম পরিচালনার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য ৩৫ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তথা ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার লাভ করেন এবং ছবিটি ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। তিনি পিসি বড়ুয়া পুরস্কারও পান ছবিটির জন্য। [৮]তারপর নয়নতারা, বেহুলা-র মত একাধিক ছবির পরিচালনা করেন। শুধু ফিচার ফিল্ম নয়, ৩২টি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তার পরিচালনায় নির্মিত- "ফ্রম এ গোল্ডেন ফাউন্ডেশন টু দ্য গোল্ডেন জুবিলী নিঃসন্দেহে ছিল এক উল্লেখযোগ্য তথ্যচিত্র। [১] তথ্যচিত্র স্ক্রল পেইন্টারস অফ বীরভূম ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র উৎসবে এবং ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে, ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে মুম্বাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়। স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি যতনের জমি প্রদর্শিত হয় ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে [৯] এবং কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে। [১০]
জীবনাবসান
জাতীয় পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক রাজা মিত্র ক্যানসারে ভুগছিলেন। ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসের গোড়ার দিকে ফুসফুসে ক্যান্সার ও মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে। কলকাতার এক সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের ১৯ ডিসেম্বর রাত তিন টায় ৭৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। [১১][১২]
মোবাইল মোটিফ - এ জার্নি ফ্রম রিজিওনাল টু ন্যাশনাল (২০০৯)
অ্যান অথর্ স্পিকস্
পুরস্কার এবং স্বীকৃতি
রাজা মিত্রের স্ক্রল পেইন্টারস অফ বীরভূম ছবিটি ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে ৩৬ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ শিল্প/সাংস্কৃতিক চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে[১৩] এবং বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হওয়ার পাশাপাশি ভারতীয় প্যানোরামাতেও প্রদর্শিত হয়।
১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে তার বেহুলা ছবিটি সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের ফিকশন ফিল্মের পুরস্কার পায় এবং কান চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রিত হয়। [৬]
১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে রাজা মিত্রের দ্বিতীয় ফিচার ফিল্ম ভারতীয় প্যানোরামাতে প্রদর্শিত হয়।
১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে তার যতনের জমি শ্রেষ্ঠ নন ফিচার ফিল্ম হিসাবে ৪৫ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে জন্য বিবেচিত হয়।[১৪] তিনি স্বর্ণ কমল (গোল্ডেন লোটাস) লাভ করেন।[১৫]
রাজা মিত্র ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে,১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসব এবং ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় প্যানোরামার এবং দেশের একাধিক ফেস্টিভ্যাল কমিটির চেয়ারম্যান ও জুরি সদস্য হয়েছেন। এছাড়াও,এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা তাকে একজন উচ্চ প্রশংসিত চলচ্চিত্র নির্মাতার স্বীকৃতি প্রদান করে।
↑"Documentary in India Today"। International Documentary Association (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯৯৯-০৩-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-২৮।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑"Raja Mitra"(পিডিএফ)। ২০১৮-১১-০৯ তারিখে মূল(পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-২৮।|url-status=bot:unknown অবৈধ (সাহায্য)উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑"PIB Press Releases"। ২০১২-০৩-১৯। Archived from the original on ২০১২-০৩-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-২৮।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link) উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: আসল-ইউআরএলের অবস্থা অজানা (link)
Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!