রংবাজ ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র[২]। ছবিটি পরিচালনা করেছেন জহিরুল হক। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অ্যাকশনের সূচনা করেন নায়করাজ রাজ্জাক তার 'রংবাজ' ছবির মাধ্যমে। এটিই বাংলাদেশের প্রথম অ্যাকশন ধর্মী ছবি।[৩] অভিনেতা রাজ রাজ্জাক এর নিজ চলচ্চিত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশন ব্যানারে ছবিটি নির্মাণ করা হয়।[৪] এবং 'রংবাজ' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে একজন প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন নায়ক রাজ রাজ্জাক।[৫] ছবির মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিখ্যাত অভিনেতা রাজ রাজ্জাক, কবরী, রোজি ও নওয়াব সিরাজদৌলা খ্যাত আনোয়ার হোসেন।
কাহিনী সংক্ষেপ
“রাজা” (রাজ্জাক) একটি বস্তি এলাকার রংবাজ, সে রংবাজি পকেটমারি সহ নানা ধান্দায় লিপ্ত থাকে সারাক্ষণ। ঐ বস্তিরই মেয়ে “মালা” (কবরী) রাজাকে খুব ভালবাসে। একদিন রাজা এক চাকরিজীবীর (আনোয়ার হোসেন) পকেট মারে, লোকটা সেদিনই কেবল বেতন পেয়ে ফিরছিল। এ কারণে পাওনা মিটাতে না পেরে লোকটাকে বাড়িওয়ালা সহ পাওনাদারদের কাছে চরম অপমান হজম করতে হয়। অন্য একদিন রাজা পকেট মারতে গিয়ে জনতার তাড়া খেয়ে ঐ লোকটার ঘরে তার স্ত্রী “শিরিন” (রোজি) এর সাহায্যে বেঁচে গেলে তাকে বোন সম্বোধন করে আসে। অক্ষম স্বামীর অজান্তে রাজা মায়ের মতো বোনকে অনেক সাহায্য করে এবং শেষ পর্যন্ত নিজ বাসায় নিয়ে আসে। এক সময় রাজা সকল খারাপ কাজ ছেড়ে দিলে রাজার মনের মানুষ মালার মনে প্রশ্ন জাগে- আমি হাজারবার বলার পর ও ভাল পথে এলোনা আর এই মহিলা আসতে না আসতেই ভাল হয়ে গেল? এদিকে শিরিনের স্বামীও সন্দেহ করছে স্ত্রীকে। পরিশেষে সবাই জানতে পারল রাজা একজন অসাধারণ মনের মানুষ, যে প্রতিটি মানুষকে যথাযথ সম্মান করতে জানে।
--এই রংবাজ জীবনের সমাপ্তি ঘটল ভগ্নিপতির পকেট মেরে।
শ্রেষ্ঠাংশে
সংগীত
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের গীতিতে[৬] রংবাজ ছবির সংগীত পরিচালনা করেন আনোয়ার পারভেজ।
সাউন্ড ট্র্যাক
খ্যাতি
রংবাজ ছবিটি ব্যবসাসফল হয় এবং জনপ্রিয়তা লাভ করে। রাজ্জাক এই সিনেমায় অভিনয় করে বাংলাদেশি সিনেমার “রংবাজ” হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। রংবাজ চলচ্চিত্রটি পরে ২০০০ সালে ওমর সানি ও মৌসুমীকে চিত্রায়িত করে “রঙিন রংবাজ” নামে পুনঃনির্মিত হয়।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ