যোধপুরী স্যুট বা বন্ধগলা স্যুট, হল ভারতে অনুষ্ঠান উপলক্ষে পরিধানযোগ্য পোশাক। এটি ভারতের প্রাচীনতম প্রথামাফিক স্যুট।[১] যখন আমরা ভারতীয় এবং পশ্চিমী পোশাকের নিখুঁত সংমিশ্রণের কথা বলি, আমাদের মনে প্রথমেই যে নামটি আসে তা হল বন্ধগলা স্যুট। এটি পুরুষদের জন্য প্রাচীনতম ইন্দো-ওয়েস্টার্ন পোশাক হিসাবে গণ্য হয়।[১]
এটি যোধপুর রাজত্ব থেকে উদ্ভূত হয়েছিল এবং ভারতে ১৯ শতকের মাঝামাঝি - ২০ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ব্রিটিশ জনগণের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। এটি একটি কোট এবং ট্রাউজার্সের সমন্বয়, কখনও কখনও সঙ্গে একটি ওয়েস্ট কোট বা নেহরু জ্যাকেট পরা হয়। [২] এটি বিবাহ এবং আনুষ্ঠানিক সমাবেশের মতো অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।
বর্ণনা
এই পোশাকের উপাদান মূলত সিল্ক হতে পারে। সাধারণত, পোশাকটির কলার এবং বোতামের ঘর বরাবর সূচিকর্ম করা থাকে। এটি সাধারণ, জ্যাকার্ড অথবা জামেয়ার উপাদান থেকে তৈরি হতে পারে। সাধারণত, ট্রাউজারের রং কোটের রংয়ের সাথে মেলে। আবার বিপরীত রংয়ের ট্রাউজার্স পরার প্রবণতাও রয়েছে। বলা হয় যে যোধপুরী হল বিলাসিতা এবং রাজমর্যাদার প্রতীক।[৩]
ইতিহাস
আংরাখাকে বন্ধগলার পূর্বসূরী হিসাবে মনে করা হয়। আংরাখা প্রাচীন ও ধ্রুপদী ভারতে ঐতিহ্যশালী নিয়মমাফিক পোশাক ছিল যেটি কোনও ব্যক্তি স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে পরতে পারতেন। বন্ধগলা আচকানের একটি খাটো সংস্করণ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। এটি দ্রুত রাজস্থান এবং শেষ পর্যন্ত সারা ভারত জুড়ে একটি জনপ্রিয় আনুষ্ঠানিক এবং আধা-আনুষ্ঠানিক পোশাক হয়ে ওঠে। পোশাক পরিকল্পক ওয়েন্ডেল রড্রিক্স পর্যবেক্ষণ করেছেন যে বন্ধগলার মতো আনুষ্ঠানিক পোশাকটি ৬০০০ বছরের পুরানো পোশাকের ক্রমশ বিবর্তনের ফল।[৪]