যায়নাব বিনতে আবি মুয়াবিয়া মুহাম্মাদ এর একজন নারী সাহাবা ছিলেন। তিনি একজন হস্তশিল্পী ও একজন ধনবান[১] মহিলা ছিলেন। তিনি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী ছিলেন।[২]
নাম ও বংশ পরিচয়
তিনি বিখ্যাত সাকিফ গোত্রের কন্যা ছিলেন। তার পিতার নাম আবদুল্লাহ আবু মুয়াবিয়া ইবনে উত্তাব।[৩] তিনি প্রখ্যাত সাহাবা আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ এর স্ত্রী ছিলেন। [২][৪][৫]
জীবন বৃত্তান্ত
যায়নাব বিনতে আবি মুয়াবিয়া একজন দক্ষ হস্তশিল্পী ছিলেন। নিজ হাতে হস্ত তৈজসপত্র তৈরি করে বিক্রী করতেন। এই মালামাল থেকে নিজের ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের জন্য ব্যয় করতেন। এবং এই হস্ত শিল্পতে তিনি সচ্ছলতাও অর্জন করেছিলেন। তিনি খায়বার অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।[৬]
তার স্বামী আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ৩২ হিজরিতে সনে ইনতিকাল করেন। অন্তিম অবস্থায় তিনি স্ত্রী ও কন্যাদের দেখাশুনা ও বিয়ে-শাদীর ব্যাপারে যুবায়র ইবনে আওয়াম ও আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়রকে সাহায্য করার অসীয়ত করে যান।[৭]
হাদিস বর্ণনা
যায়নাব বিনতে আবি মুয়াবিয়া ৮টি হাদিস বর্ণনা করেন। তিনি সরাসরি মুহাম্মাদ, তার স্বামী আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ও উমার ইবনে খাত্তাব থেকে হাদিস বর্ণনা করেন।[৮]
এবং তার থেকে অনেক তাবেয়ী হাদিস বর্ণনা করেছেন। উল্লেখযোগ্য নামগুলোঃ
একটি হাদিস,
“
|
যায়নাব বিনতে আবি মুয়াবিয়া বলেন, রাসুলুল্লাহ একদিন তাকে বললেন : যখন তুমি ঈশার নামাযের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হবে তখন সুগন্ধি স্পর্শ করবে না।[২][৩][৯]
|
”
|
মৃত্যু
যায়নাব বিনতে আবি মুয়াবিয়া ইনতিকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ধারণা করা হয়, তিনি স্বামীর ৩২ হিজরিতে মৃত্যুর পর বেশ কিছু দিন জীবিত ছিলেন এবং খুলাফায়ে রাশিদুন শেষের দিকে ইনতিকাল করেন।[১০]
তথ্যসূত্র
- ↑ [হিলায়াতুল আওলিয়া ওয়া তাবাকাত আসফিয়া-২/৬৯]।
- ↑ ক খ গ [তাবাকাত-৮/২৯০]।
- ↑ ক খ [আল-ইসতী‘আব-৪/৩১০]।
- ↑ [তাহযীব আত-তাহযী-১২/৪২২]।
- ↑ [উসুদুল গাবা-৫/৪৭০]।
- ↑ [মাজমা‘ আয-যাওয়ায়িদ -৬/১০]।
- ↑ [তাবাকাত-৩/১৫৯]।
- ↑ [নিসা’ মিন ‘আসর আন-নুবুওয়াহ্-৭২]।
- ↑ ক খ [আল-ইসাবা-৪/৩১৩]।
- ↑ [নিসা’ মিন ‘আসর আন-নুবুওয়াহ্-৭৬]।