ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাব

ম্যানচেস্টার সিটি
পূর্ণ নামম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাব
ডাকনামদ্য সিটিজেনস[][]
দ্য ব্লুজ
দ্য স্কাই ব্লুজ[]
প্রতিষ্ঠিত১৮৮০; ১৪৩ বছর আগে (1880)
সেন্ট মার্ক'স হিসেবে
মাঠসিটি অব ম্যানচেস্টার স্টেডিয়াম
ধারণক্ষমতা৫৩,৪০০[]
সভাপতিইংল্যান্ড খালদুন আল মুবারক
ম্যানেজারস্পেন পেপ গার্দিওলা
লিগপ্রিমিয়ার লিগ
২০২২–২৩১ম (চ্যাম্পিয়ন)
ওয়েবসাইটক্লাব ওয়েবসাইট
বর্তমান মৌসুম

ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাব (ইংরেজি: Manchester City F.C.; সাধারণত ম্যানচেস্টার সিটি এফসি এবং সংক্ষেপে ম্যানচেস্টার সিটি নামে পরিচিত) হচ্ছে ম্যানচেস্টার ভিত্তিক একটি ইংরেজ পেশাদার ফুটবল ক্লাব। এই ক্লাবটি বর্তমানে ইংল্যান্ডের শীর্ষ স্তরের ফুটবল লিগ প্রিমিয়ার লিগে প্রতিযোগিতা করে। এই ক্লাবটি ১৮৮০ সালে সেন্ট মার্ক'স নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৫৩,৪০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট সিটি অব ম্যানচেস্টার স্টেডিয়ামে দ্য সিটিজেনস নামে পরিচিত ক্লাবটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে।[] বর্তমানে এই ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন স্পেনীয় সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় পেপ গার্দিওলা এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন খালদুন আল মুবারক[] বর্তমানে ইংরেজ রক্ষণভাগের খেলোয়াড় কাইল ওয়াকার এই ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।[][] ম্যানচেস্টার সিটি হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০২২–২৩ মৌসুমে ক্লাবের ইতিহাসে ৭ম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।

ঘরোয়া ফুটবলে, ম্যানচেস্টার সিটি এপর্যন্ত ৩৭টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে নয়টি প্রিমিয়ার লিগ, সাতটি এফএ কাপ এবং আটটি ইএফএল কাপ শিরোপা রয়েছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, এপর্যন্ত ৩টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে একটি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, একটি ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপ এবং একটি উয়েফা সুপার কাপ শিরোপা রয়েছে। দাভিদ সিলভা, সার্জিও আগুয়েরো, জো করিগান, রহিম স্টার্লিং এবং শন গোটারের মতো খেলোয়াড়গণ ম্যানচেস্টার সিটির জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

ইতিহাস

১৮৮৪ সালে সেইন্ট মার্কস (গর্টন) – জার্সিতে মালটিস ক্রসের কারণ এখনও অজানা।[]

১৮৯৯ সালে ইংরেজ ফুটবলের দ্বিতীয় বিভাগ জয়ের মাধ্যমে সিটি তাদের প্রথম সম্মাননা অর্জন করে এবং এর মাধ্যমে তারা ইংরেজ ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর প্রথম বিভাগে উঠে আসে। সিটি তাদের প্রথম কোন বড় সম্মাননা জিতে ১৯০৪ সালের ২৩ এপ্রিল। ক্রিস্টাল প্যালেসে বোল্টন ওয়ান্ডারার্সকে ১–০ গোলে পরাজিত করে তারা এফএ কাপ শিরোপা জিতে। সে বছর তারা লিগে রানার-আপ হয়। ম্যানচেস্টার সিটিই ম্যানচেস্টার শহরের প্রথম ক্লাব হিসেবে বড় কোন শিরোপা জিতে।[১০] এফএ কাপ জয়ের পরবর্তী মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। যার পরিণতিস্বরূপ ১৭ জন খেলোয়াড়কে ছাটাই করা হয়। এই খেলোয়াড়দের মধ্যে দলের অধিনায়ক বিলি মেরেডিথও ছিলেন, যিনি পরবর্তীতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে চলে যান।[১১] ১৯২০ সালে হাইড রোডের একটি অগ্নিকান্ডে প্রধান স্ট্যান্ড ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, ফলে ১৯২৩ সালে ক্লাবটি মস সাইডে তাদের নতুন বিশেষভাবে নির্মিত স্টেডিয়াম মেইন রোডে স্থানান্তরিত হয়।[১২]

১৯০৪ সালে এফএ কাপ জিতা ম্যানচেস্টার সিটি দল।

১৯৩০ এর দশকে ম্যানচেস্টার সিটি টানা দুইটি এফএ কাপের ফাইনালে পৌছায়। ১৯৩৩ সালে এভারটনের বিপক্ষে তারা পরাজিত হয় এবং ১৯৩৪ সালে পোর্টসমাউকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।[১৩] ১৯৩৪ সালের এফএ কাপের ৬ষ্ঠ পর্বে স্টোক সিটির বিপক্ষে খেলায় মেইন রোডে ইংরেজ ফুটবলের ইতিহাসে কোন ক্লাবের নিজেদের মাঠে সর্বোচ্চ সংখ্যক দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড গঠিত হয়। ঐ খেলার সময় মেইন রোডে ৮৪,৫৬৯ জন দর্শক উপস্থিত ছিলেন। এবং এই রেকর্ডটি এখন পর্যন্ত টিকে আছে।[১৪] সিটি ১৯৩৭ সালে প্রথমবারের মত প্রথম বিভাগের শিরোপা জিতে, কিন্তু পরবর্তী মৌসুমেই তাদের দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন ঘটে, যদিও তারা ঐ মৌসুমে লিগের অন্য যেকোন দলের চেয়ে অধিক সংখ্যক গোল করেছিল।[১৫] ২০ বছর পর, রিভি প্ল্যান নামক একটি নতুন কৌশলে পরিকল্পিত ম্যানচেস্টার সিটি দল পুনরায় টানা দুইটি এফএ কাপের ফাইনালে পৌছায়। ১৯৩০ এর দশকের মত এবারও তারা প্রথমটিতে ১৯৫৫ সালে নিউকাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে পরাজিত হয় এবং পরের বছর ১৯৫৬ সালে বার্মিংহাম সিটিকে ৩–১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে। এই ফাইনালটি সর্বকালের সেরা ফাইনালগুলোর মধ্যে অন্যতম। খেলায় ম্যানচেস্টার সিটির গোলরক্ষক বার্ট টাউটমানের ঘাড় ভেঙ্গে গেলেও, তিনি অজ্ঞাতসারে খেলতে থাকেন, যার ফলে খেলাটির কথা এখনও স্মরণ করা হয়[১৬]

১৯৬৩ সালে দ্বিতীয় বিভাগে অবনমনের পর, সিটির বিবর্ণ ভবিষ্যতের শঙ্কা দেখা দেয়। ১৯৬৫ সালের জানুয়ারিতে সুইনডাউন টাউনের বিপক্ষে খেলায় মাঠে মাত্র ৮,০১৫ জন দর্শক উপস্থিত ছিলেন, যা সিটির নিজেদের মাঠে সর্বনিম্ন দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড।[১৭] ১৯৬৫ সালের গ্রীষ্মে, জো মার্সার এবং ম্যালকম অ্যালিসনের ব্যবস্থাপনা দলকে নিযুক্ত করা হয়। মার্সারের অধীনে প্রথম মৌসুমেই সিটি দ্বিতীয় বিভাগের শিরোপা জিতে এবং তারা মাইক সামারবিকলিন বেলের মত গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের দলে ভিড়ায়।[১৮] দুই মৌসুম পর, ১৯৬৭–৬৮ তে, ম্যানচেস্টার সিটি দ্বিতীয়বারের মত লিগ শিরোপা জিতে। তাদের শিরোপা নির্ধারিত হয় লিগের একদম শেষ খেলায়। তারা ঐ খেলায় নিউকাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৪–৩ গোলে জয় লাভ করে।[১৯] তাদের জিতা পরবর্তী শিরোপাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৬৯ সালের এফএ কাপ, ১৯৭০ সালের ইউরোপীয় কাপ উইনার্স কাপ[২০] ঐ মৌসুমে সিটি লিগ কাপ শিরোপাও জিতে। এর মাধ্যমে তারা দ্বিতীয় ইংরেজ ক্লাব হিসেবে একই মৌসুমে একটি ইউরোপীয় শিরোপা ও একটি ঘরোয়া শিরোপা জিতার গৌরব অর্জন করে।

ক্লাবটির ১৯৭০ এর দশক ভালোই কাটে। তারা দুইটি মৌসুমে লিগ চ্যাম্পিয়নদের থেকে মাত্র এক পয়েন্ট পেছনে থেকে লিগ শেষ করে এবং ১৯৭৪ সালে লিগ কাপের ফাইনালে পৌছায়।[২১] এছাড়া এসময় সিটি সমর্থকদের কাছে অতি স্মরণীয় একটা খেলাও অনুষ্ঠিত হয়: ১৯৭৩–৭৪ মৌসুমের শেষ খেলায় ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার সিটি তাদের ঘোর প্রতিদ্বন্দী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখী হয়। অবনমন ঠেকানোর জন্য ইউনাইটেডের কাছে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না। কিন্তু তাদেরকে হতাশায় ডুবায় তাদেরই প্রাক্তন খেলোয়াড় ডেনিস ল। তার একমাত্র গোলেই সিটি ১–০ গোলে জয় লাভ করে এবং এতে ইউনাইটেডের অবনমন নিশ্চিত হয়।[২২][২৩] ক্লাবটির সবচেয়ে সফল সময়ের শেষ শিরোপা ছিল ১৯৭৬ সালের লিগ কাপ। তারা নিউকাসল ইউনাইটেডকে হারিয়ে ঐ শিরোপা জিতেছিল।

১৯৬০ ও ৭০ এর দশকের সফলতার পর ক্লাবটির দীর্ঘকালীন অধঃপতন ঘটে। ১৯৭৯ সালে ম্যালকম অ্যালিসন দ্বিতীয়বারের মত ক্লাবের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে তিনি স্টিভ ড্যালের মত অসফল খেলোয়াড়দের দলে ভিড়িয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ নষ্ট করেন। এরপর কয়েক বছর ঘন ঘন ম্যানেজার পরিবর্তন করা হয়। ১৯৮০’র দশকেই সাত জন ম্যানেজারকে পরিবর্তন করা হয়। ১৯৮১ সালে জন বন্ডের অধীনে এফএ কাপের ফাইনালে পৌছায় সিটি, তবে ফাইনালের রিপ্লে খেলায় টটেনহামের বিপক্ষে পরাজিত হয় তারা। ১৯৮০’র দশকে ক্লাবটির দুইবার দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন ঘটে (১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে)। তবে তারা ১৯৮৯ সালে পুনরায় প্রথম বিভাগে ফিরে আসে এবং ১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে পিটার রেইডের অধীনে পঞ্চম স্থানে থেকে লিগ শেষ করে।[২৪] অবশ্য, এটি কেবলমাত্র একটি অস্থায়ী অবকাশ ছিল। রেইড চলে যাওয়ার পর সিটি পুনরায় নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে। ১৯৯২ সালে প্রিমিয়ার লিগের প্রতিষ্ঠা হলে তারা তাতে অংশগ্রহণ করে, অর্থাৎ‍, তারা প্রিমিয়ার লিগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ক্লাব ছিল। প্রিমিয়ার লিগের প্রথম মৌসুমে নবম হওয়ার পর তিনটি মৌসুমে তাদেরকে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে যেতে হয়, এবং এরপর ১৯৯৬ সালে তাদের দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন ঘটে। ইংরেজ ফুটবলের সে সময়কার দ্বিতীয় বিভাগ অর্থাৎ‍ ফুটবল লিগ প্রথম বিভাগে দুই মৌসুম কাটানোর পর তাদের তৃতীয় বিভাগে অবনমন ঘটে। ম্যানচেস্টার সিটির ইউরোপীয় শিরোপা বিজয়ী দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে নিজ দেশের ঘরোয়া লিগের তৃতীয় বিভাগে অবনমন ঘটে।

অবনমনের পর, নতুন চেয়ারম্যান ডেভিড বার্নস্টাইন নতুন ধরনের আর্থনৈতিক শৃঙ্খলা প্রবর্তন করেন।[২৫] ম্যানেজার জো রয়লির অধীনে প্রথম মৌসুমেই প্রথম বিভাগে উঠে আসে ম্যানচেস্টার সিটি। গিলিংহ্যামের বিপক্ষে প্লে-অফে নাটকীয় জয় পায় তারা। তবে ২০০১ সালে তাদের পুনরায় দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন ঘটে। রয়লির স্থলাভিষিক্ত হন কেভিন কিগান এবং সিটি ২০০১–০২ ডিভিশন এক চ্যাম্পিয়নশিপ জিতার মাধ্যমে পুনরায় প্রথম বিভাগে উঠে আসে। এছাড়া ঐ মৌসুমে ক্লাবটির ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জন এবং সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ডও প্রতিষ্ঠিত হয়।[২৬] ২০০২–০৩ মৌসুমে মেইন রোডে সিটির শেষ মৌসুম ছিল। এ মৌসুমে তারা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে একটি খেলায় ৩–১ গোলে জয় লাভ করে। এবং এর মাধ্যমে ডার্বি খেলায় তাদের টানা ১৩ বছরের জয় ক্ষরার অবসান ঘটে।[২৭] এছাড়া সিটি ২৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত কোন ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। ২০০৩ সালের ক্লোজ মৌসুমে ক্লাবটি সিটি অফ ম্যানচেস্টার স্টেডিয়ামে চলে আসে। নতুন স্টেডিয়ামে আসার পর সিটির প্রথম চার মৌসুমে কাটে লিগ টেবিলের মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ স্ভেন-ইয়োরান ইয়েরিকসন ২০০৭ সালে ম্যানচেস্টার সিটির ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ক্লাবটির প্রথম বিদেশী কোচ।[২৮] মৌসুমের প্রথমার্ধ খুব ভালোভাবে কাটালেও শেষার্ধে গিয়ে দলের ছন্দপতন ঘটে এবং ২০০৮ সালের জুনে ইয়েরিকসনকে পদচ্যুত করা হয়।[২৯] দুই দিন পরের নতুন ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন মার্ক হিউজস[৩০]

২০০৮ সালের দিকে ক্লাবটি অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। এর এক বছর আগে ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন থাসকিন সিনাওয়াত্রা। তবে রাজনৈতিক কারণে তিনিও ক্লাবের ভাগ্য বদলাতে পারেননি।[৩১] এরপর ২০০৮ সালের আগস্টে, ক্লাবটিকে কিনে নেয় আবু ধাবি ইউনাইটেড গ্রুপ। এই অধিগ্রহণের পর বড় মাপের খেলোয়াড়দের জন্য প্রস্তাবের ফুলঝুড়ি ছুটতে থাকে। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ৩২.৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রবিনিয়োকে ক্রয় করার মাধ্যমে ব্রিটিশ ফুটবলে তারা নতুন রেকর্ড গড়ে।[৩২] এত অর্থ ব্যয়ের পরও সফলতা অধরাই রয়ে যায় এবং লিগে তারা ১০ম স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করে। অবশ্য, উয়েফা কাপে তারা কোয়ার্টার-ফাইনাল পর্যন্ত পৌছায়। ২০০৯ সালে গ্রীষ্মে, গ্যারেথ ব্যারি, রোকে সান্তা ক্রুজ, কোলো টোরে, এমানুয়েল আদাবায়ের, কার্লোস তেবেস এবং জোলিয়ন লেসকটের মত খেলোয়াড়দের ক্রয় করতে ১০০ মিলিয়নেরও অধিক ইউরো খরচ করে ক্লাবটি।[৩৩] ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে মার্ক হিউজস কে সরিয়ে দলের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় রবের্তো মানচিনিকে[৩৪][৩৫] ঐ মৌসুমে সিটি পঞ্চম স্থানে থেকে লিগ শেষ করে এবং অল্পের জন্য পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে অংশগ্রহণের সুযোগ হাতছাড়া করে, তবে তারা ২০১০–১১ মৌসুমে ইউরোপা লিগে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।

২০১১ চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটি এবং বায়ার্ন মিউনিখের মধ্যকার খেলার একটি মুহূর্ত।

পরের মৌসুমেও নতুন খেলোয়াড়দের জন্য বিনিয়োগ অব্যহত থাকে। নগর প্রতিদ্বন্দী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে সিটি ২০১১ এফএ কাপের ফাইনালে পৌছায়। ৩০ বছরের মধ্যে এই প্রথম তারা কোন বড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌছায়।[৩৬] ফাইনালে তারা স্টোক সিটিকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে পঞ্চমবারের মত এফএ কাপ শিরোপা জিতে। ১৯৭৬ সালে লিগ কাপ জিতার পর এটিই তাদের প্রথম বড় কোন শিরোপা। একই সপ্তাহে প্রিমিয়ার লিগে টটেনহাম হটস্পারকে হারিয়ে তারা পরবর্তী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগেও জায়গা করে নেয়।[৩৭] ২০১০–১১ মৌসুমের শেষ দিনে তারা আর্সেনালকে ছাড়িয়ে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে চলে আসে এবং সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব নিশ্চিত করে। ২০১১–১২ মৌসুমেও ক্লাবের সফলতার ধারা অব্যহত থাকে। তারা হোয়াইট হার্ট লেনে টটেনহাম হটস্পারকে ৫–১ গোলে পরাজিত করে এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে তাদের নিজেদের স্টেডিয়ামেই ৬–১ গোলে বিধ্বস্ত করে। তবে ক্লাবের এই দূর্দান্ত ফর্ম মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এসে হ্রাস পেয়ে যায় এবং লিগের মাত্র ছয়টি খেলা বাকি থাকতে সিটি তাদের প্রতিদ্বন্দীর থেকে আট পয়েন্ট পিছিয়ে যায়। তবে লিগের দুইটি খেলা বাকি থাকতে তারা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে পয়েন্ট সমতায় চলে আসে। এমনকি লিগের শেষ দিন পর্যন্ত তাদের পয়েন্ট সমান ছিল। সিটির শুধু প্রয়োজন ছিল অবনমন শঙ্কায় ভূগতে থাকা কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিপক্ষে বিজয়। কিন্তু সেই খেলায় তারা ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার পরও ২–১ গোলে পিছিয়ে ছিল। অন্যদিকে ইউনাইটেডের কিছু খেলোয়াড় খেলা শেষে লিগ শিরোপা জয়ের কথা ভেবে উল্লাস করছিল। তবে ইনজুরি সময়ে জেকো ও আগুয়েরোর গোলে এগিয়ে যায় সিটি। এর মধ্যে আগুয়েরোর গোলটি ছিল খেলার একদম শেষ মিনিটে। এবং এই শেষ মিনিটের জয়ে ৪৪ বছরের মধ্যে প্রথম লিগ শিরোপা জিতে সিটি। ১৯৯২ সালে প্রিমিয়ার লিগ প্রতিষ্ঠার পর তারা পঞ্চম দল হিসেবে এই শিরোপা জিতে। যুক্তরাজ্য এবং সেই সাথে সারা বিশ্বের কিছু সংবাদ মাধ্যম এটিকে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসের সেরা মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করে।[৩৮][৩৯] খেলাটি আরও স্মরণীয় হয়ে ওঠে সিটির প্রাক্তন খেলোয়াড় জোই বার্টনের কারণে। খেলায় তিনি মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানেই তিন জন আলাদা খেলোয়াড়কে ট্যাকল করেন যার সবগুলোই ছিল লাল কার্ড পাওয়ার মত। এরপর তাকে ১২টি খেলার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।[৪০]

খেলোয়াড়গণ

বর্তমান দল

টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।

নং অবস্থান খেলোয়াড়
ইংল্যান্ড কাইল ওয়াকার (৪র্থ অধিনায়ক)
পর্তুগাল রুবেন দিয়াস (সহ-অধিনায়ক)
ইংল্যান্ড ক্যালভিন ফিলিপ্স
ইংল্যান্ড জন স্টোন্স
নেদারল্যান্ডস নেথান অ্যাকে
জার্মানি ইল্কায় গুন্দোয়ান (অধিনায়ক)
নরওয়ে আর্লিং হালান্ড
১০ ইংল্যান্ড জ্যাক গ্রিলিশ
১৪ স্পেন এমেরিক লাপোর্ত
১৬ স্পেন রদ্রি (৫ম অধিনায়ক)
১৭ বেলজিয়াম কেভিন ডে ব্রয়না (৩য় অধিনায়ক)
১৮ গো জার্মানি স্তেফান ওর্তেগা
নং অবস্থান খেলোয়াড়
১৯ আর্জেন্টিনা হুলিয়ান আল্ভারেজ
২০ পর্তুগাল বের্নার্দো সিলভা
২১ স্পেন সের্হিও গোমেজ
২৫ সুইজারল্যান্ড মানুয়েল আকাঞ্জি
২৬ আলজেরিয়া রিয়াদ মাহরেজ
৩১ গো ব্রাজিল এডারসন
৩৩ গো ইংল্যান্ড স্কট কারসন
৪৭ ইংল্যান্ড ফিল ফোডেন
৮০ ইংল্যান্ড কোল পামার
৮৩ ইংল্যান্ড রিকো লুইস
- আর্জেন্টিনা ম্যাক্সিমো পেরোন

প্রথম দলে উপস্থিতিসহ অন্যান্য খেলোয়াড়

টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।

নং অবস্থান খেলোয়াড়
৫২ নরওয়ে অস্কার বব
৮৪ গো স্কটল্যান্ড কিরান স্লিকার
৯৩ ইংল্যান্ড অ্যালেক্স রবার্টসন
নং অবস্থান খেলোয়াড়
৯৪ ইংল্যান্ড ফিনলে বার্নস
৯৬ ইংল্যান্ড বেন নাইট

ধারে অন্য দলে

টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।

নং অবস্থান খেলোয়াড়
পর্তুগাল জুয়াও ক্যান্সেলো (বায়ার্ন মিউনিখে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত)
১২ ইংল্যান্ড টেলর হারউড-বেলিস (বার্নলিতে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত)
১৩ গো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জ্যাক স্টেফেন (মিডলসব্রায় ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত)
৩৭ ব্রাজিল কাইকি (বাহিয়ায় ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত)
৩৯ ব্রাজিল ইয়ান কুতো (জিরোনায় ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত)
৪৮ ইংল্যান্ড লিয়াম ডেলাপ (পিএনইতে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত)
নং অবস্থান খেলোয়াড়
৬৯ ইংল্যান্ড টমি ডয়ল (শেফিল্ড ইউনাইটেডে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত)
৭৯ ইংল্যান্ড লুক এম্বেতে-তাবু (বোল্টনে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত)
৮৫ গো ইংল্যান্ড জেমস ট্রাফোর্ড (বোল্টনে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত)
৮৭ ইংল্যান্ড জেমস ম্যাকআটি (শেফিল্ড ইউনাইটেডে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত)
৯৭ ইংল্যান্ড জশ উইলসন-এসব্র্যান্ড (কভেন্ট্রি সিটিতে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত)

বহিষ্কৃত

টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।

নং অবস্থান খেলোয়াড়
২২ ফ্রান্স বঁজামাঁ মঁদি

তুলে রাখা জার্সি

২০০৩ সাল থেকে ম্যানচেস্টার সিটি তাদের ২৩ নাম্বার জার্সিটি কাউকে দেয়নি। এই জার্সিটি তুলে রাখা হয়েছে সে সময়ে লিওঁতে ধারে খেলতে যাওয়া সিটির ক্যামেরুনিয়ান মিডফিল্ডার মার্ক-ভিভিয়েন ফোয়ের সম্মানে, যিনি ২০০৩ সালের ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে জাতীয় দলের হয়ে কলম্বিয়ার বিপক্ষে খেলা চলাকালীন আকস্মিকভাবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।

নং অবস্থান খেলোয়াড়
২৩ ক্যামেরুন মার্ক-ভিভিয়েন ফোয়ে (২০০২-০৩, মরণোত্তর সম্মাননা)

বর্তমান কর্মকর্তাগণ

পরিচালনা পরিষদ

অবস্থান নাম
চেয়ারম্যান সংযুক্ত আরব আমিরাত খালদুন আল মুবারাক
অ-নির্বাহী পরিচালক ইংল্যান্ড সাইমন পিয়ার্স
অ-নির্বাহী পরিচালক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্টি এডেলম্যান
অ-নির্বাহী পরিচালক সংযুক্ত আরব আমিরাত মোহাম্মাদ আল মাজরুয়া
অ-নির্বাহী পরিচালক ইংল্যান্ড জন ম্যাকবিথ
অ-নির্বাহী পরিচালক ইতালি আলবের্তো গালাস্সি

যৌথ পরিচালন

অবস্থান নাম
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্পেন ফেরান সরিয়ানো
প্রধান পরিচালন ও বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টম গ্লিক
ফুটবল পরিচালক স্পেন তিকি বেগিরিস্তাইন
ফুটবল প্রশাসন কর্মকর্তা ইংল্যান্ড জন উইলিয়ামস
সিটি ফুটবল গ্রুপের বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত পরিচালক ইতালি রোদলফো বোরেল
সিটি ফুটবল অ্যাকাডেমির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইংল্যান্ড ব্রায়ান মারউড

দল ব্যবস্থাপনা

ম্যানচেস্টার সিটির বর্তমান ম্যানেজার পেপ গার্দিওলা
অবস্থান নাম
ম্যনেজার স্পেন পেপ গার্দিওলা
যুগ্ম সহকারী ম্যানেজার ইংল্যান্ড ব্রায়ান কিড
যুগ্ম সহকারী ম্যানেজার স্পেন মিকেল আর্তেতা
যুগ্ম সহকারী ম্যানেজার স্পেন দমিনিক তোরেন্ত
গোলরক্ষক কোচ স্পেন জাবিয়ের মানসিসিদর
ফিটনেস কোচ স্পেন হোসে কাবেয়ো
প্ল্যাট লেন অ্যাকাডেমির প্রধান ইংল্যান্ড মার্ক অ্যালেন
অনূর্ধ্ব-২১ এলিট ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার ওয়েলস সিমন ডেভিস
অ্যাকাডেমি দলের ম্যানেজার ইংল্যান্ড জেসন উইলকক্স

উল্লেখযোগ্য ম্যানেজার

৭ মে ২০১৪ অনুসারে[৪১][৪২]
নাম কার্যকাল শুরু কার্যকাল শেষ খেলা জয় ড্র পরাজয় জয় % সম্মাননা/টীকা
স্কটল্যান্ড টম ম্যালে
১৯০২ ১৯০৬ ১৫০ ৮৯ ২২ ৩৯ ৫৯.৩৩ ১৯০৪ এফএ কাপ
ইংল্যান্ড উইল্ফ ওয়াইল্ড
১৯৩২ ১৯৪৬ ৩৫২ ১৫৮ ৭১ ১২৩ ৪৪.৮৯ ১৯৩৪ এফএ কাপ
১৯৩৬–৩৭ প্রথম বিভাগ
১৯৩৭ চ্যারিটি শিল্ড
স্কটল্যান্ড লেস ম্যাকডোয়াল
১৯৫০ ১৯৬৩ ৫৯২ ২২০ ১২৭ ২৪৫ ৩৭.১৬ ১৯৫৬ এফএ কাপ
ইংল্যান্ড জো মার্সার
১৯৬৫ ১৯৭১ ৩৪০ ১৪৯ ৯৪ ৯৭ ৪৩.৮২ ১৯৬৫–৬৬ দ্বিতীয় বিভাগ
১৯৬৭–৬৮ প্রথম বিভাগ
১৯৬৮ চ্যারিটি শিল্ড
১৯৬৯ এফএ কাপ
১৯৭০ ইউরোপীয় কাপ উইনার্স কাপ
১৯৭০ লিগ কাপ
ইংল্যান্ড টনি বুক
১৯৭৩ ১৯৮০ ২৬৯ ১১৪ ৭৫ ৮০ ৪২.৩৮ ১৯৭৬ লিগ কাপ
ইতালি রবের্তো মানচিনি
২০০৯ ২০১৩ ১৯১ ১১৩ ৩৮ ৪০ ৫৯.১৬ ২০১১ এফএ কাপ
২০১১-১২ প্রিমিয়ার লিগ
২০১২ কমিউনিটি শিল্ড
চিলি মানুয়েল পেল্লেগ্রিনি
২০১৩ ২০১৬ ৫৬ ৪০ ১০ ৭১.৪৩ ২০১৪ লিগ কাপ
২০১৩-১৪ প্রিমিয়ার লিগ
স্পেন পেপ গার্দিওলা
২০১৬ বর্তমান ১১৬ ৮০ ১৯ ১৭ ৬৮.৯৭ ২০১৮ লিগ কাপ
২০১৭-১৮ প্রিমিয়ার লিগ

সম্মাননা

ঘরোয়া

২০১১-১২ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতার পর শিরোপা হাতে অধিনায়ক ভিন্সেন্ট কোম্পানি।

ইউরোপ

ডাবল এবং ট্রেবল

ক্লাব রেকর্ড

সংসৃষ্ট ক্লাবসমূহ

সহ-মালিকানা

২০১৩ সালের ২১ মে ঘোষণা করা হয় যে ম্যানচেস্টার সিটি মার্কিন বেসবল ফ্রাঞ্চাইজ নিউ ইয়র্ক ইয়াঙ্কিসের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে মেজর লিগ সকারের ২০তম দল হিসেবে নিউ ইয়র্ক সিটি ফুটবল ক্লাব চালু করতে যাচ্ছে।
২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয় যে ম্যানচেস্টার সিটি অস্ট্রেলিয়ান এ-লিগের দল মেলবোর্ন হার্ট ফুটবল ক্লাবকে অধিগ্রহণ করার জন্য অস্ট্রেলিয়ান রাগবি লিগের ফ্রাঞ্চাইজ মেলবোর্ন স্টোর্মের অংশীদারিত্ব গ্রহণ করেছে। ক্লাবটির নতুন নাম হতে পারে মেলবোর্ন সিটি ফুটবল ক্লাব।

২০১৪ সালের ২০ মে ঘোষণা করা হয় যে ম্যানচেস্টার সিটি জাপানের গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নিশান এর সাথে অংশিদারিত্তের সুত্রে জে-লিগের দল ইয়োকোহামা এফ. ম্যারিনোস এর অংশীদারত্ব গ্রহণ করেছে।

তথ্যসূত্র

  1. "Cityzens at Home"ManCity.com। Manchester City FC। ২ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০২১ 
  2. "Cityzens"ManCity.com। Manchester City FC। ১৬ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০২৩ 
  3. "Manchester City – Historical Football Kits"। Historicalkits। ১১ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০২০ 
  4. https://www.mancity.com/etihad-stadium/visiting-the-etihad-stadium
  5. https://www.transfermarkt.com/manchester-city/stadion/verein/281/saison_id/2023
  6. https://www.transfermarkt.com/manchester-city/kader/verein/281/saison_id/2023
  7. https://www.mancity.com/players/mens
  8. https://www.worldfootball.net/teams/manchester-city/2024/2/
  9. "Club History – The Club – Manchester City FC"। ম্যানচেস্টার সিটি। ১৬ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৪ 
  10. James, Manchester City – The Complete Record, p32
  11. James, Manchester:The Greatest City, pp 59–65.
  12. Bevan, Chris (১১ মে ২০০৩)। "Maine Road through the ages"বিবিসি স্পোর্ট। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৪ 
  13. Ward, The Manchester City Story, pp. 31–33
  14. James, Gary (২২ এপ্রিল ২০১১)। "FA Cup special: Thrills, spills and a cast of thousands at Maine Road"। menmedia.co.uk। ১২ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৪ 
  15. "England 1937/38"আরএসএসএসএফ। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৪ 
  16. Rowlands, Trautmann – The Biography, pp. 178–184
  17. Ward, The Manchester City Story, p. 57
  18. Penney, Manchester City – The Mercer-Allison Years, pp. 27–36
  19. Penney, Manchester City – The Mercer-Allison Years, pp. 37–56
  20. Gardner, The Manchester City Football Book No. 2, pp. 13–22
  21. James, Manchester City – The Complete Record, pp. 410–420
  22. Ward, The Manchester City Story, p. 70
  23. "Manchester United 0-1 Manchester City It's Backheel Hell For United As 'Old Boy' Law Sends Them Hurtling Towards The Drop"। মিরর ফুটবল। ১৫ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৪ 
  24. James, Manchester City – The Complete Record, p. 68
  25. Buckley, Andy (২০০০)। Blue Moon Rising: The Fall and Rise of Manchester City। Bury: Milo। আইএসবিএন 0–9530847–4–4 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  26. Manchester City – The Complete Record, p. 265
  27. "Goater double gives City derby win"। RTÉ। ১৯ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৪ 
  28. "Eriksson named Man City manager"বিবিসি স্পোর্ট। ৬ জুলাই ২০০৭। ১৮ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৪ 
  29. [Eriksson's reign at Man City ends "http://news.bbc.co.uk/sport1/hi/football/teams/m/man_city/7430827.stm"] |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। বিবিসি স্পোর্ট। ২ জুন ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৪  |title= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  30. "Manchester City appoint Mark Hughes"। ম্যানচেস্টার সিটি। ৪ জুন ২০০৮। ১০ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৪ 
  31. Winrow, Ian (১২ আগস্ট ২০০৮)। "Thaksin Shinawatra's crisis ends Manchester City's European dream"দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৪ 
  32. "Man City beat Chelsea to Robinho"। বিবিসি স্পোর্ট। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৪ 
  33. "Lescott completes Man City move"। বিবিসি স্পোর্ট। ২৫ আগস্ট ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৪ 
  34. "Mark Hughes sacked as Man City appoint Mancini manager"। বিবিসি স্পোর্ট। ১৯ ডিসেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৪ 
  35. Wilson, Steve (১৯ ডিসেম্বর ২০০৯)। "Manchester City sack Mark Hughes and appoint Roberto Mancini as manager"। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৪ 
  36. "Man City 1 – 0 Man Utd"। বিবিসি স্পোর্ট। ১৬ এপ্রিল ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৪ 
  37. "Man City 1 – 0 Tottenham"। বিবিসি স্পোর্ট। ১০ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৪ 
  38. "Is Man City's title win really the best Premier League moment ever? See the Top 50 here.. and then tell us yours"। দ্য মিরর। ৯ আগস্ট ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৪ 
  39. "Reconstructing The Most Exciting Day In The History Of Soccer (And Maybe Sports, Period)"। deadspin.com। ১৬ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৪ 
  40. "Barton blow as bad boy is told he must serve ban at new club Marseille"দ্য ডেইলি মেইল। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৪ 
  41. নিচের ম্যানেজারদের সকলেই ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে অন্তত একটি প্রধান শিরোপা জিতেছেন। (কমিউনিটি শিল্ড শিরোপা ছাড়া) (শুধু প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খেলার হিসাব করা হয়েছে)
  42. "Managers"mcfcstats.com। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৪ 
  43. James, Manchester City – The Complete Record, p. 509
  44. James, Manchester City – The Complete Record, p. 511
  45. James, Manchester City – The Complete Record, p524
  46. James, Manchester City – The Complete Record, p. 155
  47. Clayton, Everything Under the Blue Moon, p.112.
  48. "Manchester City complete Sergio Aguero signing"বিবিসি। লন্ডন। ২৮ জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৪ 
  49. James, Manchester City – The Complete Record, p. 521
  50. "New Soccer Team Introduces a Director of Operations"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। ২২ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৪ 
  51. "The resources and power of Sheikh Mansoor makes this deal a seismic moment for the A-League"। Herald Sun। ২৩ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৪ 
  52. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ

Read other articles:

هذه المقالة يتيمة إذ تصل إليها مقالات أخرى قليلة جدًا. فضلًا، ساعد بإضافة وصلة إليها في مقالات متعلقة بها. (نوفمبر 2020) ألواح يهوياشين التموينيةمعلومات عامةمادة الإنشاء الطينالحجم ارتفاع 9.2 سم ، بعرض 10.5 سمخط الكتابة المسماريةموقع الاكتشاف في الفترة من 1899 إلى 1917 بالقرب من بو...

 

هذه المقالة يتيمة إذ تصل إليها مقالات أخرى قليلة جدًا. فضلًا، ساعد بإضافة وصلة إليها في مقالات متعلقة بها. (فبراير 2019) اضغط هنا للاطلاع على كيفية قراءة التصنيف كوماموناسية مولودة في الأرض المرتبة التصنيفية نوع  التصنيف العلمي  فوق النطاق  حيويات مملكة عليا  حيويات

 

This article is part of a series onIncome in theUnited States of America Topics Household Personal Affluence Social class Income inequality gender pay gap racial pay gap Lists by income States (by inequality) Counties (highest / lowest) Locations (lowest) Metropolitan statistical areas Urban areas ZIP Code Tabulation Areas Ethnic groups  United States portalvte Note: Map data from 2014 ACS 5-year Estimate report published by the US Census Bureau Indiana has the twenty-seventh hi...

This article is about a waterfalls in Kollam district. For the train service with similar name, see Palaruvi Express. Waterfall in Kerala, IndiaPalaruvi FallsPaalaruvi Waterfall പാലരുവി വെള്ളച്ചാട്ടംPalaruvi FallsLocationAryankavu, Kollam district, Kerala, IndiaTypeHorsetailTotal height91 metres (299 ft)Number of drops1WatercourseKallada River Palaruvi Falls (Malayalam: പാലരുവി വെള്ളച്ചാട്ടം) is a waterfall l...

 

Map all coordinates using: OpenStreetMap Download coordinates as: KML GPX (all coordinates) GPX (primary coordinates) GPX (secondary coordinates) This is a list of cathedrals in England, the Isle of Man, Guernsey and Jersey, as well as Gibraltar. Former and intended cathedrals are listed separately. A cathedral church is a Christian place of worship that is the chief, or mother church of a diocese and is distinguished as such by being the location for the cathedra or bishop's seat. In the str...

 

Overview of elementary schools in Japan An elementary school class in Japan Elementary school (小学校, Shōgakkō) in Japan is compulsory.[1] All children begin first grade in the April after they turn six[1]--kindergarten is growing increasingly popular, but is not mandatory—and starting school is considered a very important event in a child's life. History In the Edo period, some children attended terakoya or temple schools where they learned practical methods of readin...

  لمعانٍ أخرى، طالع المرجلة (توضيح). قرية المرجلة  - قرية -  تقسيم إداري البلد  اليمن المحافظة محافظة المحويت المديرية مديرية ملحان العزلة عزلة الشعاب السكان التعداد السكاني 2004 السكان 487   • الذكور 263   • الإناث 224   • عدد الأسر 71   • عدد المساكن 62 مع...

 

Plateau in British Columbia, Canada Spatsizi PlateauPlateauSpatsizi PlateauCoordinates: 57°50′00″N 128°29′00″W / 57.83333°N 128.48333°W / 57.83333; -128.48333LocationBritish Columbia, CanadaPart ofStikine PlateauGeologyFlood basalt The Spatsizi Plateau is a plateau in the upper basin of the Stikine River in north-central British Columbia, Canada. Most of the plateau, which is a sub-plateau of the Stikine Plateau, is enshrined in either Spatsizi Plateau Wild...

 

2007 television anime This article is about the television series. For the video game of the same name, see Bakugan Battle Brawlers (video game). Bakugan redirects here. Not to be confused with Bakuman. It has been suggested that portions about Bakugan as a toyline and media franchise (from 2007 to present day) be split out into another article titled Bakugan. (Discuss) (July 2023) Bakugan Battle BrawlersJapanese DVD cover of protons volume 13 featuring the main characters (from top left ...

Eritrean telecommunication company EriTelTypeState-owned enterpriseIndustryCommunications servicesFounded1996[1]HeadquartersAsmara, EritreaProductsLocal wireline telecommunication services, Digital TV mobile phone operator and ISPWebsitewww.eritel.com.er The Eritrean Telecommunication Services Corporation (formerly the Telecommunications Service of Eritrea), more commonly known as EriTel, is the sole operator of landline telephone communication infrastructure in Eritrea. It is also th...

 

У этого термина существуют и другие значения, см. Кена (значения). Кена Классификация Продольная флейта Родственные инструменты Сяо, Сякухати, Тансо  Медиафайлы на Викискладе Ке́на (кечуа quena-quena[1]) — продольная флейта индейцев горных районов Южной Америки — П...

 

Algerian academic (born 1958) This biography of a living person needs additional citations for verification. Please help by adding reliable sources. Contentious material about living persons that is unsourced or poorly sourced must be removed immediately from the article and its talk page, especially if potentially libelous.Find sources: Noureddine Melikechi – news · newspapers · books · scholar · JSTOR (July 2023) (Learn how and when to remove this te...

Dalam artikel ini, nama keluarganya adalah Ong. Melvyn OngOng pada tahun 2019Lahir1975 (umur 47–48)SingapuraPengabdianSingapuraDinas/cabangAngkatan Darat SingapuraLama dinas1994–2023PangkatLetnan JenderalNRP57509358F[1]KomandanPanglima Angkatan PertahananPanglima Angkatan DaratKepala Satuan PengawalKepala Departemen Rencana Bersama dan TransformasiKomandan Brigade Infanteri ke-7PenghargaanLihat PenghargaanAlmamaterLondon School of Economics (BS, MS) Melvyn Ong Su Kia...

 

American artist and photographer (born 1945) Amanda Means (born 1945) is an American artist and photographer. She currently lives and works in Beacon, NY. Early life and education Means was born in 1945 in Marion, New York. She grew up on a farm in Upstate New York. The region consisted largely of family-owned small farms that produced the state's apples, dairy, and vegetables. Our cobblestone farmhouse, built in the early 1800s, was constructed with small palm-sized stones naturally rounded ...

 

Suburb of Perth, Western AustraliaSwanbournePerth, Western AustraliaSwanbourne Nedlands Surf Life Saving Club buildingCoordinates31°58′08″S 115°46′01″E / 31.969°S 115.767°E / -31.969; 115.767Population4,592 (SAL 2021)[1]Established1892[2]Postcode(s)6010Area3.6 km2 (1.4 sq mi)Location11 km (7 mi) W of the Perth CBDLGA(s)City of NedlandsState electorate(s)CottesloeFederal division(s)Curtin Suburbs around Swanbourn...

Bygone Texas music hall in Austin The Armadillo World Headquarters (behind the Skating Palace) in 1976 Armadillo World Headquarters (The 'Dillo or Armadillo WHQ) was an influential Texas music hall and beer garden in Austin at 5251⁄2 Barton Springs Road – at South First Street – just south of the Colorado River and downtown Austin. The 'Dillo flourished from 1970 to 1980.[1][2][3][4] The structure that housed it, an old National Guard Armory, was demo...

 

Human settlement in EnglandTufnell ParkTufnell ParkLocation within Greater LondonOS grid referenceTQ295855London boroughCamdenIslingtonCeremonial countyGreater LondonRegionLondonCountryEnglandSovereign stateUnited KingdomPost townLONDONPostcode districtN7, N19Postcode districtNW5Dialling code020PoliceMetropolitanFireLondonAmbulanceLondon UK ParliamentIslington NorthHolborn & St PancrasLondon AssemblyBarnet and CamdenNorth East List of plac...

 

Borough in Ocean County, New Jersey, United States Borough in New Jersey, United StatesLakehurst, New JerseyBoroughCathedral of the Air wordmarklogoMotto: Airship Capital of the WorldLocation of Lakehurst in Ocean County highlighted in red (right). Inset map: Location of Ocean County in New Jersey highlighted in orange (left).Census Bureau map of Lakehurst, New JerseyLakehurstLocation in Ocean CountyShow map of Ocean County, New JerseyLakehurstLocation in New JerseyShow map of New Jersey...

2003 studio album by Massive Attack100th WindowStudio album by Massive AttackReleased10 February 2003Recorded2002StudioSony (London)Genre Electronica post-rock downtempo ambient dub[1] Length73:52LabelVirginProducer Robert Del Naja Neil Davidge Massive Attack chronology Singles 90/98(1998) 100th Window(2003) Danny the Dog(2004) Singles from 100th Window Special CasesReleased: 24 February 2003 Butterfly CaughtReleased: 16 June 2003 100th Window is the fourth studio album by Eng...

 

Indian general of the Maratha Empire This article needs additional citations for verification. Please help improve this article by adding citations to reliable sources. Unsourced material may be challenged and removed.Find sources: Murarbaji – news · newspapers · books · scholar · JSTOR (July 2017) (Learn how and when to remove this template message) MurarbajiStatue of Murarbaji Deshpande at Purandar Fort.BornMahadOccupationmilitary general Murarbaji D...

 

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!