উন্নয়নশীল দেশগুলিতে চরম দারিদ্র্য পরিমাপের প্রধান পদ্ধতিগুলোর মধ্যে মৌলিক চাহিদা হলো অন্যতম একটি পদ্ধতি। এটি দীর্ঘমেয়াদী সচ্ছল জীবনযাপনের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় ন্যূনতম চাহিদাগুলোকে (সাধারণত ভোগ্য সামগ্রীর ক্ষেত্রে) সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করে। দারিদ্র্যসীমাকে তখন সেই চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় আয়ের পরিমাণ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। ১৯৭৬ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বিশ্ব কর্মসংস্থান সম্মিলনে (ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট কনফারেন্সে) 'মৌলিক চাহিদা' পদ্ধতিটি চালু হয়েছিল। [১][২]
প্রচলিত ধারণায় খাদ্য (পানি সহ), বাসস্থান ও বস্ত্রকে তাৎক্ষণিক "মৌলিক চাহিদা" বলে ধরা হয়ে থাকে।[৩] আধুনিক কালের অনেক ধারণায় কেবল খাদ্য, পানি, বস্ত্র ও বাসস্থানই নয়, পয়ঃনিষ্কাশন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবাকেও ন্যূনতম স্তরের 'মৌলিক চাহিদা' হিসেবে ব্যবহারের উপর জোর দেয়। অবশ্য স্থান, কাল ও পাত্রভেদে মৌলিক চাহিদার তালিকা ভিন্ন হয়ে থাকে।
↑Richard Jolly (অক্টোবর ১৯৭৬)। "The World Employment Conference: The Enthronement of Basic Needs"। Development Policy Review। A9 (2): 31–44। ডিওআই:10.1111/j.1467-7679.1976.tb00338.x।