শাহ মোস্তফা-এর বংশধর মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি মনু নদীর উত্তর তীরে কয়েকটি দোকানঘর স্থাপন করে ভোজ্যসামগ্রী ক্রয় বিক্রয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেন। মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ প্রতিষ্ঠিত এ বাজারে নৌ ও স্থলপথে প্রতিদিন লোকসমাগম বৃদ্ধি পেতে থাকে। ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমের মাধ্যমে মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে মৌলভীবাজারের খ্যাতি।
কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব : হয়রত শাহ মোস্তফা (র:), মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ, মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী হামিদুর রহমান,কবি মুজাফফর খান, সৈয়দ মুজতবা আলী, প্রাক্তন প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদ সদস্য, খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ ও দানশীল ব্যক্তিত্ব মো. কেরামত আলী,পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যমোহাম্মদ মুহিবুর রহমান[১], জাতীয় পরিষদ সিলেটের প্রথম মহিলা সদস্য বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী, সাবেক স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, গবেষক ড. রঙ্গলাল সেন প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধ : মুক্তিযুদ্ধে মৌলভীবাজার ছিল ৪ নং সেক্টরের অধীন। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন সি.আর.দত্ত। মৌলভীবাজার সদরের ঘরোয়া গ্রামের হত্যাকাণ্ড, নড়িয়া গ্রামের গণহত্যা, রাজনগর পাঁচগাঁও এর গণহত্যা, বড়লেখা ও কুলাউড়ার বধ্যভূমিতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ আজও মানুষকে কাঁদায়। ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার শত্রুমুক্ত হয়।
মৌলভীবাজার এর অর্থনীতির প্রধান ভীত হলো চা শিল্প ও রাবার শিল্প। এ জেলায় প্রচুর পরিমানে চা ও রাবার উৎপাদিত হয়। এ ছাড়াও জেলার অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পও বিশেষ ভাবে উল্ল্যেখযোগ্য, তা ছাড়াও এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় শিল্প- যা মৌলভীবাজার জেলার অর্থনীতিকে করছে সমৃদ্ধশালী।
↑বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে জেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৪।
↑"ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য"(পিডিএফ)। web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০২০।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: আসল-ইউআরএলের অবস্থা অজানা (link)