মুহাম্মদ সাঃ বর্তমান সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রের বনি হাশিম বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মের তারিখ ছিল ১২ ই রবিউল আওয়াল, ইংরেজি সন মোতাবেক ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে। প্রখ্যাত ইতিহাসবেত্তা উইলিয়াম মন্টগোমারি ওয়াট তার পুস্তকে ৫৭০ সনই ব্যবহার করেছেন।[১] তবে নবীর প্রকৃত জন্মতারিখ বের করা বেশ কষ্টসাধ্য। এজন্যই এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। যেমন এক বর্ণনা মতে তার জন্ম ৫৭১ সালের ২০ বা ২২ শে এপ্রিল। সাইয়েদ সোলাইমান নদভী, সালমান মনসুরপুরী এবং মুহাম্মদ পাশা ফালাকির গবেষণায় এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তবে শেষোক্ত মতই ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বেশি নির্ভরযোগ্য। যাই হোক, নবীর জন্মের বছরেই হস্তী যুদ্ধের ঘটনা ঘটে এবং সে সময় সম্রাট নরশেরওয়ার সিংহাসনে আরোহণের ৪০ বছর পূর্তি ছিল এ নিয়ে কারো মাঝে দ্বিমত নেই।
বাল্যকাল
ইসলামের হাদিস অনুসারে মোহাম্মদের জন্মের পূর্বে তার মাতা আমিনা স্বপ্নযোগে আশ্চর্যজনক বেশ কয়েকটি ঘটনা দেখেন। এছাড়া তার জন্মের সময়ও কিছু অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ বিভিন্ন হাদিস সূত্রে পাওয়া যায়। জন্মের পর নবীর দাদা আবদুল মোত্তালেবকে সংবাদ দেয়া হয় এবং তিনি নবজাতককে দেখে যারপরনাই খুশি হন। উল্লেখ্য নবীর জন্মের আগেই তার পিতা আবদুল্লাহ মারা যান। আবদুল মোত্তালেব নবজাতকের নাম রাখেন মোহাম্মদ যে নাম তৎকালীন আরবে খুব একটা প্রচলিত ছিলনা। আরবীতে এই শব্দের অর্থ প্রশংসিত। পরবর্তীকালে নবীর আরেকটি নামের উল্লেখ পাওয়া যায় যা তার মাতা রাখেন আর তা হল আহমাদ - এই শব্দের অর্থ প্রশংসাকারী।
প্রথম কয়েকদিন তিনি তার মায়ের বুকের দুধ পান করেন। এরপর কয়েকদিন তাকে দুধ পান করান আবু লাহাবের দাসী সাওবিয়া। উল্লেখ্য আবু লাহাব সম্পর্কে নবীর চাচা হতেন। সে সময় ছাওবিয়ার কোলেও একটি শিশুসন্তান ছিল যার নাম ছিল মাছরুহ। এই সাওবিয়াই এর আগে হামযা ইবনে আবদুল মোত্তালেব এবং পরে আবু সালমা সামা ইবনে আবদুল আছাদ মাখজুমিকে দুধ পান করিয়েছিলেন।