খান মুহাম্মাদ মুস্তাফা খালিদ পলাশ (জন্ম: ১৯৬৩; পলাশ নামেই সমধিক পরিচিত) একজন বাংলাদেশী স্থপতি। বর্তমান বাংলাদেশে তিনি একজন অগ্রগণ্য সমকালীন স্থপতি।[১] এছাড়া তিনি একজন শিল্পী এবং চিত্রকর।[২] পলাশ ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্য বিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।[৩] ১৯৯৮ পর্যন্ত তিনি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগে শিক্ষাদান করেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও তিনি ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়[৪] এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়েও[৫] স্থাপত্য বিষয়ে পাঠদান করেছেন।[৬]
কর্মজীবন
মুস্তাফা খালিদ পলাশের কাজ একবিংশ শতাব্দীর আবহযুক্ত এবং নিরীক্ষাধর্মী। স্থাপত্যের প্রায়োগিক ক্ষেত্রে তার অভিনব এবং অনন্য কাজ তাকে বাংলাদেশের স্থাপত্যে একক বৈশিষ্ট্যময় ব্যক্তিত্বতে আসীন করেছে। ১৯৯৮ সালে তিনি শিক্ষকতা পেশায় অব্যাহতি দেন এবং একই বছরে তিনি ভিস্তারা আর্কিটেক্টস প্রতিষ্ঠা করেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পলাশ দেশে এবং বিদেশে একাধিক সম্মাননা অর্জন করেছেন। তার স্থাপনা প্রতিষ্ঠান ভিস্তারা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে একাধিক প্রকল্প সম্পন্ন করেছে। রাজধানী ঢাকার জীবন, পরিবেশ তার ছবিতেও ফুঁটে উঠে এসেছে। আবহমান ঢাকার নির্মাণ-সামগ্রী, আবহ এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক উপাদান তার কাজে প্রতীয়মান। পলাশ দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন স্থাপত্য প্রদর্শনী, সভা, প্রকল্প প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেছেন।[৭][৮][৯][১০]
চিত্রকলা
স্থপতির পাশাপাশি পলাশ একজন তুখোড় চিত্রকরও। তার একক চিত্র প্রদর্শনী “অফ কনফ্লিক্ট এন্ড হারমনি” ঢাকার এশিয়াটিক সোসাইটির চিত্রশালায় ২০০৯ এ অনুষ্ঠিত হয়েছে।[১১][১২] ২০১১ এর জুনে তার “অফ টিয়ার্স এন্ড জয়” শীর্ষক তৃতীয় একক চিত্র প্রদর্শনী ঢাকা আর্ট সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।[১৩] খুব অল্প বয়স থেকেই চিত্রাঙ্কনের প্রতি আগ্রহ পলাশের। তার পিতা ছিলেন একজন পেশাদার চিত্রশিল্পী এবং ছোটকাল থেকেই পলাশ শৈল্পিক আবহে বড় হয়ে উঠতে থাকেন। এসময় তিনি তার কাল্পনিক জগৎ ও পর্যবেক্ষণকে রঙ ও তুলির মাধ্যমে ফুঁটিয়ে তুলতেন।[১৪]
প্রকল্প
বাণিজ্যিক ও দাপ্তরিক ভবন
- গ্রামীণফোন দপ্তর
- বাংলালিংক দপ্তর
- রবি দপ্তর
- উত্তরা মোটরস লিমিটেড
- গ্র্যান্ড ডেলভিস্তা
- বসুন্ধরা সিটি
- ইউনিক ট্রেড সেন্টার
- আব্দুল মোনেম ফিনান্সিয়াল ডিসট্রিক্ট
- অনাবিল টাওয়ার
- র্যাঙস ব্যাবিলনিয়া
- বিটিআই ল্যান্ডমার্ক
- রিচ সেন্টার
- পিপল জীবনবিমা ভবন
- সিয়াম টাওয়ার এসপিএল ওয়েস্টার্ণ টাওয়ার
- বসুন্ধরা ফিটনেস সেন্টার
- সাহারা সেন্টার
- বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার
হোটেল এবং হাসপাতাল
বিশ্ববিদ্যালয়
[৬]
পুরস্কার ও সম্মাননা
- চারুকলা ও স্থাপত্যের জন্য শিল্পাচার্য পুরস্কার ২০১১[১৫]
- বার্জার কমেন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স ইন আর্কিটেকচার (গ্রামিনফোন হাউস), ২০১১[১৬]
- ইন্সটিউট অফ আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (IAB) ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড ১৯৯৮[১৭]
- হোলসিম গ্রিন বিল্ট বাংলাদেশ পুরস্কার, ২০১০[১৮][১৯]
- বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স ইন আর্কিটেকচার, ২০০৭[২০]
- আর্কিটেক্ট অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার, আয়োজনে জেকে লক্ষ্মী সিমেন্ট, ভারত[২১]
আরও পড়ুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
|
---|
স্থাপত্যশৈলী | | |
---|
ভবন ও কাঠামো | |
---|
উল্লেখযোগ্য স্থাপতি | |
---|
অন্যান্য | |
---|
প্রতিষ্ঠান | |
---|
|