ড. গোলাম মুর্তজা মালিক |
---|
|
|
|
জন্ম | ২৯ জানুয়ারি ১৯৪১ |
---|
মৃত্যু | ৭ মে ২০০২
|
---|
ধর্ম | ইসলাম |
---|
আখ্যা | সুন্নি |
---|
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
---|
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | বেরলভী |
---|
কাজ | ইসলামি পণ্ডিত |
---|
ইউটিউব তথ্য |
চ্যানেল | |
---|
কার্যকাল | ১৪ আগষ্ট ২০১০ – বর্তমান |
---|
ধারা | ইসলামি |
---|
সদস্য | ২.৫৩ হাজার |
---|
মোট ভিউ | ৯২ হাজার |
---|
সহযোগী শিল্পী | youtube.com/user/drmalikghulammurtaza |
---|
২৬ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত সদস্য এবং মোট ভিউ সংখ্যা হালনাগাদকৃত |
|
গোলাম মুর্তজা মালিক (১৯৪১-২০০২) ছিলেন একজন ইসলামিক পণ্ডিত [১] যিনি পাকিস্তানি ও সৌদি টেলিভিশনের নিয়মিত অলোচক ছিলেন। তাকে বেরলভী চিন্তাধারার সাথে যুক্ত একজোট "অ-বিতর্কিত" সুন্নি পন্ডিত মনে করা হয়। মুর্তজাকে ২০০২ সালে এক রহস্যজনক পরিস্থিতিতে হত্যা করা হয়। [২]
ব্যক্তিগত জীবন
মুর্তজা মালিক ১৯৪১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইসলামিক দর্শন ও অধিবিদ্যায় পিএইচডি স্কলার ছিলেন। তিনি দুটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন, যার মধ্যে একটি সরকারি কলেজ, লাহোর থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর এবং পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষায় স্নাতকোত্তর। [৩]
পেশাগত জীবন
গোলাম মুর্তজা মালিক ছিলেন পাকিস্তানের সবচেয়ে উদারপন্থী সুন্নি মুসলিম পণ্ডিতদের একজন। তিনি ধর্মীয় বিষয়ে ঘন ঘন টেলিভিশনে আলোচনা করতেন। তিনি পাকিস্তান এবং বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কুরআন এবং অন্যান্য ইসলামিক শিক্ষা প্রদান করছিলেন। তিনি ইসলাম সম্পর্কে তার আলোকিত দৃষ্টিভঙ্গি এবং ধর্মের চরমপন্থী ব্যাখ্যা গ্রহণে অস্বীকৃতির জন্য পরিচিত ছিলেন (তিনি বেরেলভি চিন্তাধারা অনুসারে তার অ-বিতর্কিত বক্তৃতার কারণে বিখ্যাত ছিলেন)। তিনি কখনই কোন সাম্প্রদায়িক বিষয়ে জড়িত ছিলেন না এবং প্রকৃতপক্ষে এমন একজন ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত ছিলেন যিনি এই জাতীয় সমস্যার ঊর্ধ্বে ছিলেন। [৪]
হত্যাকাণ্ড
২০০২ সালের মে মাসে আল্লামা ইকবাল টাউনে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে মুর্তজা মালিক (তার গাড়ির চালক সহ) নিহত হন। মুর্তজার চোয়ালে একটি গুলি লেগেছিল এবং তার ড্রাইভারের ঘাড়ের পেছনে দুটি বুলেট লেগেছিল। দুটি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অজান্তে, টহল দায়িত্বে থাকা টাইগার স্কোয়াডের দুই পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট না থাকাযর কারণে ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে বন্দুকধারীদের বাধা দেয়। বন্দুকধারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং এর ফলে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন [৫] মালিকের পরিবারের বর্ণনা অনুসারে, মুর্তজা মালিক একটি প্লট ক্রয়ের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। তিনি সে প্লটে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। [৬] দুই বছর পর, ২০০৪ সালে ড. গোলাম মুর্তজা মালিক ও তার গাড়ি চালককে হত্যার অভিযোগে পুলিশ দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করে। সুন্নি তেহরিক থেকে পরবর্তীতে তথ্য দেওয়া হয় যে ফারুক এবং আরশাদ (উভয় সন্দেহভাজন) ড. গোলাম মুর্তজা মালিক, অধ্যাপক আতাউর রহমান সাকিব এবং তার গাড়ি চালক, শিয়া নেতা সৈয়দ হাসান রাজা এবং মকবুল আহমেদ নামে একজন কনস্টেবল, চৌধুরী শাফকাত আহমেদ, পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট চৌধুরী শাফকাত আহমেদকে হত্যা সহ অনেক অপরাধ স্বীকার করেছে। সন্দেহভাজন দু'জনই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁদের মগজ ধোলাই করা হয়েছে। [৭]
উত্তরাধিকার
মায়মুনা মুর্তজা মালিক (ড. গোলাম মুর্তজা মালিকের কন্যা এবং উত্তরসূরি) একজন প্রখ্যাত মহিলা পণ্ডিত। তিনি বর্তমানে সৌদি আরবের রিয়াদে বসবাস করছেন। তিনি উর্দু ভাষায় সিরাত আল-নবী, আদব-ই-দুআ, তাজকিয়া-ই-নাফস ইত্যাদি বিষয়ে বক্তৃতা দেন। তিনি ইসলামে নারীর ভূমিকার মতো ইসলামিক বিশ্বের নারী সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করেন। তিনি তার বাবাকে অনেক ইসলামী বই লিখতে সাহায্য করেছিলেন (খুতবাতে হারাম, ওয়াজুদ-ই-বারী তালা, তাওহীদ ইত্যাদি)। তিনি এআরওয়াই কিউটিভি সহ অনেক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক চ্যানেলে অতিথি হন। [৮]
বই
- ইসলামের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উপর গবেষণাপত্র, ১৯৯০।
- শাহ ওয়ালিউল্লাহ কা ফালসাফাহ : মা বা'দুল্ত্বি'আত : হাকিকাত-ই কাইনাত, খাউদা অর ইনসান, ১৯৯০। শাহ ওয়ালীউল্লাহর দার্শনিক চিন্তাধারার উপর।
- কহতবাত-ই হারাম : হারাম-ই মদীনা, মসজিদ-ই নববী মে দরস ও তাকরির ওয়া দিগার ইলমি মাকালাত, ১৯৯০। ইসলাম সম্পর্কে বক্তৃতা এবং শিক্ষা।
- আনোয়ারুলকুরআন : কুরআন-ই কারিম কি সূরাতো কা তারুফ ও তালকিস, মাযহামিন-ই কুরআন ও মুনতাক্হাব আয়াত কি তাফসীর, ১৯৯৬। কোরানের আয়াতের বিষয়ভিত্তিক ভাষ্য।
- ইক্কিসভিন সাদি অওর হামারে উলামা', ১৯৯৮।
- জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ, কাতাল, ২০০০। ইসলামী শিক্ষা অনুযায়ী জিহাদের উপর বক্তৃতা প্রদান।
তথ্যসূত্র