মিগ-৩৫ হল একটি যুদ্ধবিমান যা মিগ-২৯এম/এম২ এবং মিগ-২৯কে/কেউইবি প্রযুক্তির একটি উন্নতমানের সংস্করণ। নকশা প্রস্তুতকারী সংস্থা মিকয়ান এটিকে চতুর্থ প্রজন্মের একটি জেট ফাইটার হিসেবে অবিহিত করেছে।[২] প্রথম প্রোটোটাইপটি একটি এয়ারক্রাফ্টের সংস্করণ ছিল যা পূর্বে মিগ-২৯এম২ হিসেবে কাজ করত। এ পর্যন্ত দশটি প্রোটোটাইপ নির্মাণ করা হয়েছে এবং বর্তমানে এগুলো পরীক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে।[৩]
এ্যারো ইন্ডিয়া ২০০৭ বিমান প্রদর্শনীতে এটিকে প্রথম জনসম্মুখে প্রদর্শন করা হয়।[৪] রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সার্গেই ইভানব যখন লোখবিৎসী মেশিন ভবন প্ল্যান্ট ‘এমএপিও-মিগ’ পরিদর্শণে যান তখনই মূলত অফিসিয়ালি এটি আলোচনায় আসে।[৫] মিগ-৩৫ এক আসন বিশিষ্ঠি এবং মিগ-৩৫ডি দু-আসন বিশিষ্ঠ। মিগ-৩৫ হচ্ছে মিগ-২৯এম২-এর উন্নত ভার্সন যাতে ]এইএসএ রাডার যুক্ত করা হয়েছে যা ১৬০ কি.মি. এর ভিতরে শত্রু বিমান শনাক্ত করতে পারবে এবং ৩০০ কি.মি. এর ভিতরে ভূমিতে যেকোনো কিছু শনাক্ত করতে পারবে। এছাড়াও সুত্রমতে, এটি দ্বারা আমেরিকান স্টিলথ বিমানও শনাক্ত করা সম্ভব। তিনটি বহিঃ ফুয়েল ট্যাংক নিয়ে সর্বমোট ৩১০০ কি.মি. পাড়ি দিতে সক্ষম এই বিমান। মোট ২৯৭০০ কেজি ওজন নিয়ে এটি ২.৪ মাক গতিতে ছুটে যেতে সক্ষম। এর হার্ডপয়েন্ট ৯টি। এর ম্যানুভারিটি ক্ষমতাও তুলনামূলকভাবে বেশি।
বৈশিষ্ট্য
ক্রু=একজন অথবা দুইজন
দৈর্ঘ্য=১৭.৩মিটার
এল্টিচিউড দৈর্ঘ্য=৫৬ ফুট ৯ ইঞ্চি
স্প্যান দৈর্ঘ্য=১২ মিটার
স্প্যান এল্টিচিউড=৩৯ ফুট ৪ ইঞ্চি
মূল উচ্চতা=৪.৭ মিটার
এল্টিচিউড উচ্চতা=১৫ ফুট ৫ ইঞ্চি
ক্ষেত্রফল=৩৮মিটার২
খালি অবস্থায় ওজন=১১,০০০ কেজি
লোডেড অবস্থায় ওজন=১৭,৫০০ কেজি
সর্বোচ্চ টেকঅফ ওজন=২৯,৭০০ কেজি
ব্যবহৃত অস্ত্রসমূহ
- বোমা
- মিসাইল
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ