মার্ক উইন্স (ইংরেজি: Mark Wiens; জন্ম ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬) একজন আমেরিকান ভ্রমণ ও খাদ্য বিষয়ক ব্লগার, ভ্লগার, ইউটিউব ব্যক্তিত্ব, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ভিত্তিক একটি রেস্তোরাঁর মালিক।[১][২][৩]
ব্যক্তিগত জীবন
উইন্স অ্যারিজোনাযর ফিনিক্সে খ্রিস্টান মিশনারিদের একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৪] তিনি জার্মান ও চীনা বংশোদ্ভূত।[৫][৬] তিনি ফ্রান্স, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র এবং কেনিয়ার নাইরোবিতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেছেন।[৪][৭] তিনি অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে যোগদান করে ২০০৮ সালে গ্লোবাল স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতক হওয়ার পর উইন্স দক্ষিণ আমেরিকায় ভ্রমণ করেন এবং পাতাগোনিয়ার পাহাড়ে ইংরেজি শেখানোর চাকরি পান।[৮]
থাইল্যান্ডে ইংরেজি পড়াতে গিয়ে স্ত্রী ইং-এর সঙ্গে দেখা হয় উইন্সের। ২০১৬ সালে তাঁদের ছেলের জন্ম হয়।[৯][১০]
কর্মজীবন
উইন্সকে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাদ্য ভ্লগারদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[১১][১২]
উইন্স ছাত্র থাকাকালীন অ্যান্থনি বোর্ডেইনকে দেখেছিলেন এবং তাঁকে অগ্রগামী বলে অভিহিত করেছেন।[১৩]
২০০৯ সালে উইন্স মাইগ্রেশনোনলজি ডট কম নামে তাঁর ফুড ব্লগ শুরু করেন।[৮] ২০১২ সালে তিনি দ্য ইটিং থাই ফুড গাইড নামে একটি ই-বুক প্রকাশ করেন এবং পূর্ণকালীন ব্লগিং ও ইউটিউব ভিডিও তৈরির জন্য তাঁর চাকরি ছেড়ে দেন। উইন্সের ভ্রমণ ভ্লগ বিষক ভিডিওগুলোতে তাঁর কয়েক ডজন দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নথিভুক্ত করেন। নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিন,[১৪] সিএনএন[১৫] এবং অ্যান্ড্রু জিমার্ন[১৬] তাঁকে একজন থাই খাদ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
২০১৯ সালে উইনস, খুন তান (থাই ফুড ব্লগার), খুন পংথেপ (ডিজাইনার ও অভিনেতা), শেফ গিগের (শেফ ও থাই আয়রন শেফ চ্যাম্পিয়ন) সঙ্গে ব্যাংককে เผ็ดมาร์ค (ফেড মার্ক) নামে একটি পাট কাপ্রাও[১৭][১৮][১৯] রেস্তোরাঁ খোলেন।[২০]
২০২০ সালে উইনস ব্যাংকক-ভিত্তিক ট্যুর কোম্পানি ব্যাংককভ্যানগার্ডের সাথে সহযোগিতায় "দ্য আলটিমেট ব্যাংকক ফুড ট্যুর" চালু করেন।[২১][২২]
২০২২ সালে মার্ক উইন্সের সাথে এইচবিও এশিয়ার ধারাবাহিক ফুড অ্যাফেয়ার উইথ মার্ক উইন্স-এর উপস্থাপক হিসেবে উইন্সকে ঘোষণা করা হয়েছিল। ধারাবাহিকটি সিঙ্গাপুরের রন্ধনপ্রণালীকে কেন্দ্র করে সিঙ্গাপুর পর্যটন বোর্ডের সাথে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এবং এরিক খু পরিচালিত।[২৩][২৪][২৫][২৬][২৭][২৮]
ছায়াছবি
তথ্যসূত্র
- ↑ "The Future of Food and Travel Influencers"। Forbes India। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২, ২০২০।
- ↑ Haque, Fahima (২০২০-১০-১৩)। "Jimmy O. Yang's Week: Watching Rom-Coms as 'Homework'"। The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-০৮।
- ↑ "'Food Affair with Mark Wiens' set to premiere this November on HBO Go"। Lifestyle Asia Singapore (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১০-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-০৮।
- ↑ ক খ Mendoza, Angel। "International YouTube food blogger Mark Wiens reflects on his Arizona roots"। The Arizona Republic (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১০।
- ↑ "The universal language of tasty food blogger, YouTuber Mark Wiens"। The Jerusalem Post | JPost.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৬।
- ↑ "My DNA Test Results!"। YouTube।
- ↑ "The untold story of Mark Wiens"। TheNetline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১০।
- ↑ ক খ Bronner, Stephen J. (২০১৮-০৪-১১)। "This Man Makes Money Off YouTube Traveling the World and Eating Street Food and Other Local Delights"। Entrepreneur (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৪।
- ↑ Neaupane, Sushil (৯ মে ২০২১)। "Food Vlogger Mark Wiens Wife's Challenging Motherhood Journey"। hollywoodmask (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২১।
- ↑ Nyota, Caren (২০২২-১১-০১)। "He was broke: Mark Wiens discloses he met wife while teaching in Thailand"। Tuko.co.ke - Kenya news. (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৪।
- ↑ Burch, Cathalena E. (জুলাই ২০২১)। "Famed food blogger Wiens features Tucson Mexican restaurants in latest videos"। Arizona Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৪।
- ↑ cue (২০২২-১১-১৩)। "Meet Mark Wiens, the man who eats his way to international fame | The Straits Times"। www.straitstimes.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৪।
- ↑ "Mark Wiens Will Travel For Food"। vogue.ph (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১১-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৬।
- ↑ Parks, Andrew। "Go Deeper: What to Read, Watch, and Download Before Visiting Bangkok"। New York Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১০।
- ↑ "40 Thai foods in Bangkok we can't live without"। CNN। ১২ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩, ২০২০।
- ↑ "Tasting Thailand with Migrationology"। Andrew Zimmern। জানুয়ারি ৮, ২০১৬।
- ↑ "Phed Mark เผ็ดมาร์ค - Pad Kaprao Restaurant, Ekamai, Bangkok"। phedmark.com।
- ↑ "Phed Mark: A Popular Restaurant In Bangkok That Specializes In Pad Kaprao"। মার্চ ২৬, ২০২০।
- ↑ "Marks Wiens dishes on life, street food and his new restaurant"। bk.asia-city.com। সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯।
- ↑ "เผ็ดมาร์ค (Phed Mark)"। เผ็ดมาร์ค (Phed Mark)।
- ↑ "The Ultimate Bangkok Food Tour!"। Migrationology - Food Travel Blog (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০২।
- ↑ "The Ultimate Bangkok Food Tour"। bangkokvanguards (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০২।
- ↑ Goggler (২০২২-১২-২২)। "Food Affair with Mark Wiens: A Conversation on the Art of the Food Show"। Goggler (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৪।
- ↑ Asilo, Rito P. (২০২২-১১-১৪)। "Mark Wiens makes the big jump from YouTube to mainstream TV"। INQUIRER.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৪।
- ↑ "Nothing's spicy enough in Singapore for popular YouTuber Mark Wiens - so he goes around with his personal bottle of ghost peppers"। AsiaOne (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১০-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৪।
- ↑ Tomada, Nathalie M.। "HBO Asia serves hot new show about Singapore's 'food obsession'"। Philstar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৪।
- ↑ "Popular YouTuber Mark Wiens has a new HBO series that's all about Singapore's obsession with food"। CNA Lifestyle (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৪।
- ↑ "YouTuber Mark Wiens Will Host HBO Series Exploring Stories Behind S'pore Dishes"। Must Share News - Independent News For Singaporeans (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১০-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৪।
বহিঃসংযোগ
লেখা