মাঝারি পাতা-নাক চামচিকা (বৈজ্ঞানিক নাম: Hipposideros larvatus) মাঝারি আকারের বাদুড়। আইইউসিএনের লাল বইয়ে এর অবস্থান ‘অবিপন্ন’ হিসেবে। প্রাকৃতিক বন ধ্বংসের কারণে এদের অবস্থান অবিপন্ন।[১]
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[২]
আকার
পাতা-নাক চামচিকাদের অনেকটা পাতার মতো নাক থাকে এবং তার সামনে-পেছনে আড়াআড়ি ও লম্বা পর্দাসহ প্রতিটি পাতা-নাকে তিনটি করে উপ বা অধ নাক-পাতা থাকে। এ গণের আর কোনো প্রজাতিতে এদের মত বৈশিষ্ট্য নেই। এদের নাক ত্রিশূলের মত। এক চিমটি লেজ এদের পায়ের দিক থেকে আসা পর্দায় লুকানো। ৮ সেন্টিমিটার লম্বা দেহে লেজটি সহজে চোখে পড়ে না। ডানা ৬ দশমিক ৪ সেন্টিমিটারের মত। সারা দেহে বাদামি থেকে গাঢ় বা লালচে বাদামি পশম থাকে।[১]
নিবাস
পাতা-নাক চামচিকার বসতি বাংলাদেশ থেকে ভারতের পূর্বাঞ্চল হয়ে একেবারে ভিয়েতনাম পর্যন্ত। বসবাস বনে এবং এরা কিছুটা বিরল।[১]
স্বভাব
দিনের বেলায় গুহা, গাছের ফোকর বা অন্ধকার পুল বা কালভার্টের গার্ডারে ঝুলে থাকে। কখনো কখনো পরিচিত কোনো গাছের ডালে বা কালভার্টের নিচে বিশ্রাম নেয়।[১]
খাবার
রাতের বেশির ভাগ সময় এরা নিশাচর কীটপতঙ্গ, দেয়ালি পোকা ও মথ খেয়ে বেড়ায়।[১]
গ্যালারি
-
মাঝারি পাতা-নাক চামচিকার সামনের দিক
-
মাঝারি পাতা-নাক চামচিকার পিছনের দিক
-
মাঝারি পাতা-নাক চামচিকার দল
তথ্যসূত্র