মহারাজা বীরবিক্রম কলেজভারতেরত্রিপুরা অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে পুরাতন ডিগ্রী কলেজ। ত্রিপুরার মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের নামে কলেজটির নামকরণ করা হয়েছে। এই কলেজটি আগরতলা শহর হতে ৩ কিমি দূরে অবস্থিত। এটি এম. বি. বি. কলেজ নামে অধিক পরিচিত।
নামকরণ
কলেজটির নামকরণ করা হয়েছিল ত্রিপুরার পূর্ব মহারাজা বীর বিক্রম মানিক্য বাহাদুরের নামে।
ইতিহাস
মহারাজা বীর বিক্রম কলেজ ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ত্রিপুরা রাজ্যে পূর্ব পাকিস্তান থেকে অধিবাসীদের আগমনের ফলে জনসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটে। সেইসময় কলেজ সৃষ্টির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। মহারানী কাঞ্চন প্রভা দেবীর আনুকূল্যে এবং ত্রিপুরার শেষ রাজা বীর বিক্রমের তত্বাবধানে কলেজ টি স্থাপিত হয়। তদানীন্তন সময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থেকে পঠন পাঠন হতে থাকে।[১]
১৯৬০ এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৭০ এর দশকের গোড়ার দিকে এমবিবি কলেজকে স্নাতকোত্তর কলেজে উন্নীত করার পরিকল্পনা ছিল, সুতরাং ইতিহাস, অর্থনীতি ও গণিতে স্নাতকোত্তর ক্লাস শুরু হয়েছিল। ইউজিসি যখন একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর কেন্দ্র হিসাবে ত্রিপুরা অনুমোদিত করে তখন এই পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়। ১৯৮৬ সালে এই স্নাতকোত্তর কেন্দ্রটি ত্রিপুরার নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবর্তিত হয়েছিল।
ক্যাম্পাস
কলেজ ক্যাম্পাসটি 264 একর জায়গার চেয়ে বেশি ছড়িয়ে রয়েছে। বই এবং জার্নালগুলির সংগ্রহ সহ গ্রন্থাগার রয়েছে, যা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার হিসাবে পরিচিত।[২] এর সাথে IGNOU এবং LAW কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি এমবিবি কলেজের ক্যাম্পাস এলাকায় অবস্থিত।