ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
ইতিহাস
এটি ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম বর্ষে মাত্র ১২০ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং তিনটি টেকনোলজি (সিভিল, ইলেট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল) নিয়ে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু হয়। পরর্বতীতে ফার্ম টেকনোলজি নামে নতুন একটি প্রযুক্তি চালু হয়। ৮০-র দশকে ফার্ম টেকনোলজি, "পাওয়ার টেকনোলজি" নামে রুপান্তরিত হয়। বর্তমানে অত্র প্রতিষ্ঠানে চার বছর মেয়াদী এই কোর্সে ৭টি টেকনোলজি ও একটি রিলেটড সাবজেক্টের জন্য নন-টেক বিভাগ চলমান রয়েছে।
অবস্থান
এ ইনস্টিটিউটটি মাসকান্দা এলাকায় অবস্থিত। এর উত্তরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, দক্ষিণে মাসকান্দা বাসষ্ট্যান্ড, দক্ষিণ পশ্চিমে সরকারি মৎস প্রজনন কেন্দ্র ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)। ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে।[১]
ক্যাম্পাস
মূল ক্যাম্পাসে তিনতলা বিশিষ্ট একটি ভবন, অফিস, লাইব্রেরী, আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ তিনটি বড় ওয়ার্কশপ ভবন, ল্যাবরেটরি এবং একটি ৪০০ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অডিটোরিয়াম।
এছাড়া মূল ভবনের দক্ষিণ পাশে রয়েছে মসজিদ ও শহীদ মিনার।
টেকনোলজি
- সিভিল টেকনোলজি
- ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি
- মেকানিক্যাল টেকনোলজি
- পাওয়ার টেকনোলজি
- ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি
- কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং টেকনোলজি
- ইলেক্ট্রো-মেডিক্যাল টেকনোলজি
- আরএস টেকনোলজি
ছাত্রাবাস
ছাত্রদের জন্য দুটি এবং ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক হল রয়েছে:
ল্যাব
- বেসিক ইলেকট্রিসিটি ল্যাব
- সিভিল শপ
- প্লাম্বিং শপ
- টেস্টিং ল্যাব (সিভিল)
- বেসিক ইলেকট্রনিক্স ল্যাব
- কম্পিউটার ল্যাব
- হিট ইঞ্জিন ল্যাব
- আরএসি ল্যাব
- অটোমোবাইল পাওয়ার সপ
- হাইড্রোলিক্স ল্যাব
- ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কশপ
- সিভিল উডশপ
- মেশিন শপ
- মেটাল শপ
- ওয়েল্ডিং শপ
- ফাউন্ড্রি শপ
- টেস্টিং ল্যাব (মেকানিক্যাল)
- রসায়ন ল্যাব
- পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব
অডিটরিয়াম
লাইব্রেরি
লাইব্রেরিতে একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি সাহিত্য, উপন্যাস, গল্প ও নাটকের বইয়ের বিশাল সমাহার৷
কৃষ্ণচূড়া চত্বর
ইনস্টিটিউটের অভ্যন্তরে "কৃষ্ণচূড়া চত্বর" নামে অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশের একটি জায়গা রয়েছে।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ