মমতাজ বেগম ৫ মে ১৯৭৪ সালে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[৩] মমতাজের মা উজালা বেগম, বাবা মধু বয়াতি ছিলেন বাউল শিল্পী। মমতাজ বেগমের দুই ভাই রয়েছে। মমতাজ প্রথম জীবনে বাবা মধু বয়াতি, পরে মাতাল রাজ্জাক দেওয়ান এবং শেষে লোক গানের শিক্ষক আবদুর রশীদ সরকারের কাছে গান শেখেন।
কর্মজীবন
দুই দশকের বেশি তার পেশাদারী সংগীত জীবনে ৭০০টির বেশি একক অ্যালবাম প্রকাশ পায়। লোক গানের শিক্ষক আব্দুর রশীদ সরকারের সাথে তার বিবাহ হয়। প্রথম জীবনে বাবা মধু বয়াতি, পরে মাতাল রাজ্জাক দেওয়ান এবং শেষে আব্দুর রশীদ সরকারের কাছে গান শেখেন।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংসদ সদস্য মনোনীত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন।[৪] তবে ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি একই আসন থেকে পরাজিত হন।[৫]
ব্যক্তিগত জীবন
মমতাজ বেগমের প্রথম স্বামী আবদুর রশীদ সরকার যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। পরে মমতাজ বেগম মোহাম্মদ রমজান আলীকে বিয়ে করেন, যার সাথে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। পরে মমতাজ বেগম মইনউদ্দিন হাসান চঞ্চলকে বিয়ে করেন।[৬] মমতাজ বেগমের ছেলের নাম মেহেদী খান ও পুত্রবধূর নাম চৈতি দেওয়ান। তার এক নাতনি রয়েছে।
মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে ভারতীয় আদালত থেকে মোট চারবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের একজন অনুষ্ঠান আয়োজকের সাথে একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ হন এবং অগ্রিম ১৪ লক্ষ ভারতীয় রুপি গ্রহণ করেন। তবে পরবর্তীতে মমতাজ সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের মূখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টে গড়ায়। মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে সর্বশেষ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৯ আগস্ট।[৮][৯]
ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি গ্রহণের অভিযোগ
২০২১ সালে মমতাজ বেগম ভারতের তামিলনাড়ুর গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায় এই নামে ভারতে অনুমোদিত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। ভারতের ইউজিসি অ্যাক্ট-১৯৫৬ অনুসারে অননুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রদান করা যেকোনো ডিগ্রি ভুয়া।[১০] টাকার বিনিময়ে ভুয়া ডিগ্রি প্রদানের সময় এসব নামসর্বস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময় ভারতীয় আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ অভিযান চালিয়েছে।[১১] মমতাজ বেগমের উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি গ্রহণের পর শুরু হয় সমালোচনা। যদিও মমতাজ বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে তার ভুয়া মনে হয়নি।[১২][১৩][১৪]
তথ্যসূত্র
↑"দৈনিক আমাদের সময়"। ৪ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
↑"১০ম জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা (বাংলা)"। parliament.gov.bd। ২০১৮-০৬-২৬। Archived from the original on ২০১৮-০৬-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১৭।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: আসল-ইউআরএলের অবস্থা অজানা (link)