মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মিরপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ। এটি বাংলাদেশের বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে বাংলা মাধ্যম ও ইংরেজি মাধ্যম ও উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় প্রায় ৩৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে।
ইতিহাস
১৯৬৯ সালে নগন্য সংখ্যক ছাত্র- ছাত্রী নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। যাত্রাকালে বিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ ছিল ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৫ জন আর শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ছিল ১৩। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ বিদ্যালয়ে রুপান্তরিত হয়। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজে উন্নীত করা হয়। ২০১১ সালে ইংরেজি মাধ্যম চালু করা হয়।
অবস্থান
ঢাকা মহানগরীর মিরপুর থানার ১৩নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায়। যথাঃ
মূল বিদ্যালয় (বালিকা শাখা), মনিপুর
মূল বিদ্যালয় (বালক শাখা), মনিপুর
ব্রাঞ্চ-১ (বালক ও বালিকা শাখা), রুপনগর
ব্রাঞ্চ-২ (বালক ও বালিকা শাখা), ইব্রাহিমপুর
ব্রাঞ্চ-৩ (বালক, বালিকা ও কলেজ শাখা), শেওড়াপাড়া
কলেজ ভবন (বালক ও বালিকা শাখা), রূপনগর
ছাত্র-ছাত্রী
ক্যাম্পাস
প্রভাতি
দিবা
মূল (বালিকা)
৩৬৬৯
৩৫২৯
মূল (বালক)
৩৬৫১
৩৪৭৪
ব্রাঞ্চ-১
৩৬৩৩
৩৫৩৫
ব্রাঞ্চ-২
২৩১২
২১৬৯
ব্রাঞ্চ-৩
৪০৬৩
৩৫০৮
কলেজ ভবন
৭৬৩
৫১২
ইংরেজি মাধ্যম
৩৬৯
৫২৬
ছাত্র-ছাত্রী
ক্যাম্পাস
প্রভাতি
দিবা
মূল (বালিকা)
৩৬৬৯
৩৫২৯
মূল (বালক)
৩৬৫১
৩৪৭৪
ব্রাঞ্চ-১
৩৬৩৩
৩৫৩৫
ব্রাঞ্চ-২
২৩১২
২১৬৯
ব্রাঞ্চ-৩
৪০৬৩
৩৫০৮
কলেজ ভবন
৭৬৩
৫১২
ইংরেজি মাধ্যম
৩৬৯
৫২৬
শিফট
প্রতি ক্যাম্পাসে প্রভাতি ও দিবা ২টি করে মোট ১২ টি শিফট (প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত)
শিক্ষক সংখ্যা
মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এ সকল শাখা মিলে বর্তমানে ৫০০ জন শিক্ষক রয়েছে।
কর্মকর্তা-কর্মচারী সংখ্যা
মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এ সকল শাখা মিলে বর্তমানে ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে।
ক্লাসের সময়সূচি
৫ ক্যাম্পাসে মোট ১০টি শিফটে ক্লাস চলে।
প্রভাতি শাখাঃ
সকাল ০৭:০০ মিনিট থেকে বেলা ১১:৪৫ মিনিট
দিবা শাখাঃ
দুপুর ১২:২০ মিনিট থেকে বিকাল ০৫:১০ মিনিট।
(ঋতু ভেদে এ সময় সীমা খানিক টা পরিবর্তন হয়ে থাকে)
ফলাফল
২০০৭, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় স্কুলটি ৩য় স্থান অর্জন করে। এ পরীক্ষায় ২০০৮ ও ২০০৯ সালে যথাক্রমে ৬৫২ জন ও ৫৫৬ জন ছাত্রছাত্রীর এ+(জিপিএ ৫) অর্জন স্বাভাবিকভাবেই স্কুলটিকে জিপিএ ৫ প্রাপ্তির দিক থেকে বাংলাদেশের সেরা ৩য় স্কুলের সারিতে স্থান দেয়। ২০০৯ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে অনুষ্ঠিত অষ্টম শ্রেণীর মূল্যায়ন পরীক্ষায় ২য় স্থান অর্জন করে। ১৯৬৯ সালে স্থাপিত এ স্কুলটি এ পর্যন্ত দু’বার বাংলাদেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি লাভ করে।