মডার্ন টাইমস হল ১৯৩৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নির্বাকহাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র। এটি রচনা, প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন চার্লি চ্যাপলিন। এই ছবিতে দেখানো হয় চ্যাপলিনের লিটল ট্রাম্প সত্তা আধুনিক শিল্পায়িত পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। ছবিতে মহামন্দা চলাকালীন বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান ও আর্থিক অবস্থার জন্য হতাশার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, যাকে চ্যাপলিন আধুনিক শিল্পায়নের সামর্থ্যের জন্য বলে বিবেচনা করেন। এতে অভিনয় করেন চার্লি চ্যাপলিন, পলেট গডার্ড, হেনরি বার্গম্যান ও চেস্টার কঙ্কলিন।
সিটি লাইট্স চলচ্চিত্র নিয়ে ইউরোপে গেলে মহামন্দার প্রভাবে মহাদেশটির শোচনীয় অবস্থা দেখে এবং মহাত্মা গান্ধীর সাথে আধুনিক প্রযুক্তির নিয়ে আলোচনা থেকে চ্যাপলিন মডার্ন টাইমস ছবি নির্মাণের অনুপ্রেরণা লাভ করেন। চ্যাপলিন বুঝতে পারেন নি গান্ধী কেন এর বিরোধিতা করছে, যদিও তিনি তা মঞ্জুর করে নিয়েছেন যে "শুধুমাত্র মুনাফার জন্য মেশিনের ব্যবহার" অনেক মানুষকে বেকার করে দিয়েছে এবং তার জীবন বরবাদ করেছে।[৩]
চ্যাপলিন তার প্রথম সবাক চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রয়াসে ১৯৩৪ সালে সংলাপ রচনা করেন এবং কয়েকটি সবাক দৃশ্য ধারণ করেন। পরে তিনি তার এই প্রচেষ্টা বাতিল করেন এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ শব্দ ও বিরল রকমের সংলাপসহ নির্বাক চলচ্চিত্রে ফিরে যান। চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়ন শুরু হয় ১১ অক্টোবর ১৯৩৪ এবং শেষ হয় ১৯৩৫ সালে ৩০ আগস্ট।[৪]
সঙ্গীত
দাপ্তরিক নথিপত্র অনুযায়ী চলচ্চিত্রের সুরায়োজন করেছেন চ্যাপলিন নিজে এবং তার সহকারী ছিলেন আলফ্রেড নিউম্যান। রোম্যান্স থিমটিতে পরবর্তীতে গীত প্রদান করা হয় এবং "স্মাইল" শীর্ষক গানটি পপ গানে মানদণ্ড হয়ে ওঠে। গানটি প্রথমে রেকর্ড করেন ন্যাট কিং কোল। পরে স্যামি ডেভিস জুনিয়র, হার্ব জেফ্রিস, ডিন মার্টিন, টনি বেনেট, ট্রিনি লোপেজ, এরিক ক্ল্যাপটন, বারবারা স্ট্রাইস্যান্ড, ডায়ানা রস, মাইকেল বাবল, পেটুলা ক্লার্ক, লিবারেস, জুডি গারল্যান্ড, মেডেলিন পেরোয়া, প্লাসিডো ডোমিঙ্গো ও ডিয়নে ওয়ারউইক, মাইকেল জ্যাকসন এবং রবার্ট ডাউনি জুনিয়রসহ অনেক শিল্পীরা গানটিকে কভার হিসেবে ব্যবহার করেন।