ব্যক্তিমাফিক চিকিৎসাবিজ্ঞান (Personalized medicine), রোগীকেন্দ্রিক চিকিৎসাবিজ্ঞান (Patient-centered medicine), সম্যক চিকিৎসাবিজ্ঞান (Precision medicine) বা স্তরীকৃত চিকিৎসাবিজ্ঞান (Stratified medicine) বলতে চিকিৎসাসেবার একটি প্রতিমান (মডেল) বোঝায়, যেখানে একক রোগীর জন্য লাগসই বা উপযোগী করে তার দেহের প্রতিক্রিয়া ও ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে সব ধরনের চিকিৎসা-বিষয়ক সিদ্ধান্ত, হস্তক্ষেপ, চর্চা ও ঔষধ প্রয়োগ করা হয়।[১] অধুনা চিকিৎসাসেবাকে অধিকতর ব্যক্তিমাফিক (Personalized), প্রতিরোধমূলক (Preventative), পূর্বাভাসমূলক (Predictive) ও অংশগ্রহণমূলক (Participatory) করার নতুন ধারণাটিকে চার-"পি" চিকিৎসাবিজ্ঞান (পি-ফোর মেডিসিন P4 Medicine) হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।[১][২][২]
রোগীর চিকিৎসাকে ব্যক্তিমাফিক বা লাগসই করার চর্চা প্রাচীন হিপ্পোক্রাতেসের (হিপোক্রেটিস) কাল থেকেই প্রচলিত।[৩] কিন্তু একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে এসে এই ধারণাটির প্রচলন বৃদ্ধি পায়। এর কারণ বংশাণুসমগ্র বিজ্ঞান (জিনোমিক্স) ও তথ্যবিজ্ঞানের (ইনফরম্যাটিক্স) ধারণা প্রয়োগ করে রোগের আণবিক ভিত্তিকে বিশ্লেষণ করে নতুন নতুন রোগনির্ণয় কৌশলের আবির্ভাব, যেগুলির সাহায্যে রোগীদেরকে একাধিক সূক্ষ্মবিচারভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত করা সম্ভব।[১][৪][৫]
↑"The Case for Personalized Medicine"(পিডিএফ)। Personalized Medicine Coalition। ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৬।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)